ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালন, আলোচনা সভায় বক্তারা

মাটিকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করার আহ্বান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১০:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় নানা আয়োজনে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০২৩ উদ্যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট কুষ্টিয়ার আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে। শোভাযাত্রাটি পুনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। আলোচনা সভার শুরুতেই পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট কুষ্টিয়ার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুল মওলা। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল, জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার সাইফুল ইসলাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোমরেজ আলী, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. শেখ মো. মশিউর রহমান, জেলা বাজার ও বিপণন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান মৃত্তিকা বা মাটি, যা আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরিচালিত করছে। মাটি-পানি ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকব। এ জন্য মাটিকে দূষণের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। প্রাণের সূচনা হয়েছে মাটি ও পানি থেকে। আবার সকল প্রাণিরই বেঁচে থাকার অবলম্বন এই মাটি ও পানি। পৃথিবী নামক এ গ্রহকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে রেখে যাওয়ার শাশ্বত অঙ্গীকারের প্রেক্ষিতে মাটি ও পানির গুরুত্ব অপরিসীম। পৃথিবীতে হাজার হাজার বছর চাষাবাদ হয়েছে মাটির নিজস্ব উর্বর শক্তিতে। তখন প্রয়োজন ছিল না বাড়তি কোনো সার ও কীটনাশকের। মাটিতে বিদ্যমান অনুজীব, মাটি ও পানির সমন্বিত মিথস্ক্রিয়ায় মাটি থাকত উর্বর। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে মাটি ও পানি দূষিত হচ্ছে। এছাড়াও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য বাড়তি খাদ্য চাহিদা মেটাতে ও শিল্পায়নের কারণে প্রতিনিয়ত মাটি ও পানি দূষিত হচ্ছে। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মাটি ও পানির সঠিক ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। টেকসই কৃষির পাশাপাশি প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র (ইকো-সিস্টেম) সুরক্ষার জন্য মাটি ও পানি সম্পদের সামগ্রিক এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালন, আলোচনা সভায় বক্তারা

মাটিকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করার আহ্বান

আপলোড টাইম : ১১:১০:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় নানা আয়োজনে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০২৩ উদ্যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট কুষ্টিয়ার আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে। শোভাযাত্রাটি পুনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। আলোচনা সভার শুরুতেই পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট কুষ্টিয়ার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুল মওলা। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল, জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার সাইফুল ইসলাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোমরেজ আলী, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. শেখ মো. মশিউর রহমান, জেলা বাজার ও বিপণন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান মৃত্তিকা বা মাটি, যা আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরিচালিত করছে। মাটি-পানি ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকব। এ জন্য মাটিকে দূষণের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। প্রাণের সূচনা হয়েছে মাটি ও পানি থেকে। আবার সকল প্রাণিরই বেঁচে থাকার অবলম্বন এই মাটি ও পানি। পৃথিবী নামক এ গ্রহকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে রেখে যাওয়ার শাশ্বত অঙ্গীকারের প্রেক্ষিতে মাটি ও পানির গুরুত্ব অপরিসীম। পৃথিবীতে হাজার হাজার বছর চাষাবাদ হয়েছে মাটির নিজস্ব উর্বর শক্তিতে। তখন প্রয়োজন ছিল না বাড়তি কোনো সার ও কীটনাশকের। মাটিতে বিদ্যমান অনুজীব, মাটি ও পানির সমন্বিত মিথস্ক্রিয়ায় মাটি থাকত উর্বর। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে মাটি ও পানি দূষিত হচ্ছে। এছাড়াও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য বাড়তি খাদ্য চাহিদা মেটাতে ও শিল্পায়নের কারণে প্রতিনিয়ত মাটি ও পানি দূষিত হচ্ছে। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মাটি ও পানির সঠিক ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। টেকসই কৃষির পাশাপাশি প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র (ইকো-সিস্টেম) সুরক্ষার জন্য মাটি ও পানি সম্পদের সামগ্রিক এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য।