ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় আজ থেকে শুরু হচ্ছে কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ-২০২২ উপলক্ষে ব্রিফিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘দক্ষ পুলিশ, সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনসে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম (বিপিএম-সেবা)।

এসময় তিনি, বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজ মঙ্গলবার থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। নিয়োগের ভিত্তি হবে যোগ্যতা এবং শুধুমাত্র যোগ্যতা। সকল প্রার্থীর সামনে খোলা মাঠে শারীরিক পরীক্ষা হবে। কাজেই কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কোনো সুযোগই নেই। লিখিত পরীক্ষার খাতা কোডিং করে নাম-ঠিকানা লেখা অংশ রেখে শুধু উত্তর লেখা অংশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে প্রেরণ করা হবে। ভিন্ন বোর্ড খাতা মূল্যায়ন করবে। যারা খাতা দেখবে, তাদের পক্ষে কার খাতা সেটা দূরে থাক, কোন জেলার খাতা সেটা বুঝারও কোনো সুযোগ নেই। সর্বাধুনিক এই নিয়োগ পদ্ধতিতে পুলিশ সুপার বা অন্য কোনো সদস্যের কাউকে সহায়তা করার সুযোগ নেই। তাই অযথা প্রতারিত হবেন না। কেউ যদি টাকা-পয়সা বা অন্য কিছুর বিনিময়ে চাকরির আশ্বাস দেয়, তবে আপনি নিশ্চিত থাকুন সে প্রতারক। প্রতারককে পুলিশে সোপর্দ করুন।

ছোট দেশ, পুলিশের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তার সাথে অনেকের পরিচয় বা আত্মীয়তা থাকতেই পারে। তারা আপনার সামনে থেকে তাদের ফোন করে কুশল বিনিময় করে আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। বিভ্রান্ত হবেন না। আপনি পরীক্ষায় না টিকলে পুলিশ বা অন্য বিভাগের কোনো কর্তাব্যক্তির কোন ক্ষমতা নাই আপনাকে পুলিশের চাকরি দেবার। যদি কেউ আশ্বাস দিয়ে থাকে তবে আপনি নিশ্চিত থাকুন সে ঠক, ভণ্ড ও প্রতারক। আসলে শুধু কর্মকর্তা নন, কারোরই ক্ষমতা নেই আপনাকে চাকরি দেবার। আপনাকে চাকরি দিতে পারেন কেবল আপনিই, সকল পরীক্ষায় ভালো করে। সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কাউকেই বিশ্বাস করবেন না, নিজের ওপর আস্থা রাখুন। কোনোভাবেই প্রতারকের খপ্পরে পড়বেন না যেন। তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার সবর্ত্র সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। আসন্ন কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগে অবৈধভাবে জড়িত কারো সন্ধান পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম সকল পুলিশ সদস্য ও বোর্ড সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ অবস্থান থেকে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের আহ্বান জানান। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অসদুপায়ে কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশের কোনো সদস্য নিয়োগের সাথে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ব্রিফিং সেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস, সহকারী পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাসসহ নিয়োগ বোর্ড সংশ্লিষ্ট অফিসার ফোর্সগণ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় আজ থেকে শুরু হচ্ছে কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া

আপলোড টাইম : ০৮:৩৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ-২০২২ উপলক্ষে ব্রিফিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘দক্ষ পুলিশ, সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনসে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম (বিপিএম-সেবা)।

এসময় তিনি, বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজ মঙ্গলবার থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। নিয়োগের ভিত্তি হবে যোগ্যতা এবং শুধুমাত্র যোগ্যতা। সকল প্রার্থীর সামনে খোলা মাঠে শারীরিক পরীক্ষা হবে। কাজেই কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কোনো সুযোগই নেই। লিখিত পরীক্ষার খাতা কোডিং করে নাম-ঠিকানা লেখা অংশ রেখে শুধু উত্তর লেখা অংশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে প্রেরণ করা হবে। ভিন্ন বোর্ড খাতা মূল্যায়ন করবে। যারা খাতা দেখবে, তাদের পক্ষে কার খাতা সেটা দূরে থাক, কোন জেলার খাতা সেটা বুঝারও কোনো সুযোগ নেই। সর্বাধুনিক এই নিয়োগ পদ্ধতিতে পুলিশ সুপার বা অন্য কোনো সদস্যের কাউকে সহায়তা করার সুযোগ নেই। তাই অযথা প্রতারিত হবেন না। কেউ যদি টাকা-পয়সা বা অন্য কিছুর বিনিময়ে চাকরির আশ্বাস দেয়, তবে আপনি নিশ্চিত থাকুন সে প্রতারক। প্রতারককে পুলিশে সোপর্দ করুন।

ছোট দেশ, পুলিশের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তার সাথে অনেকের পরিচয় বা আত্মীয়তা থাকতেই পারে। তারা আপনার সামনে থেকে তাদের ফোন করে কুশল বিনিময় করে আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। বিভ্রান্ত হবেন না। আপনি পরীক্ষায় না টিকলে পুলিশ বা অন্য বিভাগের কোনো কর্তাব্যক্তির কোন ক্ষমতা নাই আপনাকে পুলিশের চাকরি দেবার। যদি কেউ আশ্বাস দিয়ে থাকে তবে আপনি নিশ্চিত থাকুন সে ঠক, ভণ্ড ও প্রতারক। আসলে শুধু কর্মকর্তা নন, কারোরই ক্ষমতা নেই আপনাকে চাকরি দেবার। আপনাকে চাকরি দিতে পারেন কেবল আপনিই, সকল পরীক্ষায় ভালো করে। সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কাউকেই বিশ্বাস করবেন না, নিজের ওপর আস্থা রাখুন। কোনোভাবেই প্রতারকের খপ্পরে পড়বেন না যেন। তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার সবর্ত্র সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। আসন্ন কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগে অবৈধভাবে জড়িত কারো সন্ধান পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম সকল পুলিশ সদস্য ও বোর্ড সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ অবস্থান থেকে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের আহ্বান জানান। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অসদুপায়ে কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশের কোনো সদস্য নিয়োগের সাথে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ব্রিফিং সেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস, সহকারী পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাসসহ নিয়োগ বোর্ড সংশ্লিষ্ট অফিসার ফোর্সগণ।