ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের ৭ প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনই ব্যবসায়ী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১০৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:

এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দারের ১৫ বছরে সম্পদ বেড়েছে ২০ গুন

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টানা তিনবারের সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দাখিলকৃত হলফনামায় তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ২২ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৬ টাকা। ১৫ বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ২০ গুন। বর্তমানে নগদ টাকাসহ ৪ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৯৬৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক তিনি। ১৫ বছরে তাঁর স্ত্রীর সম্পদও বেড়েছে প্রায় ৬ গুন। ২০০৮ সালে তাঁর স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬৮ লাখ ১০ হাজার ১০ টাকা। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী ৪ কোটি ৬২ লাখ ৪৯ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, ছেলুন জোয়ার্দ্দারের নগদ রয়েছে ২১ হাজার ২৯১ টাকা, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ থেকে বার্ষিক আয় ৪৬ লাখ ৩৫২ টাকা। এর মধ্যে কৃষিখাত থেকে ৪৯ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ১০ লাখ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে আয় ৬ লাখ ১ হাজার ৮০০ টাকা, অন্যান্য পারিতোষিক ও ভাতাদি থেকে প্রাপ্ত আয় ২৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫২ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭১ হাজার ৭০৯ টাকা, সঞ্চয়পত্র ৩০ লাখ টাকা, যানবাহন থেকে আয় ৯৫ লাখ ২৬ হাজার টাকার, স্বর্ণের অলঙ্কার ১২ হাজার টাকা, টিভি-ফ্রিজ ৪০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৪০ হাজার টাকার ও ডিপিএস ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এছাড়া তাঁর স্থাবর সম্পদ হিসেবে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত কৃষিজমি ২ একর, অকৃষি জমি ১.৪৪ একর এবং ৫ কাঠা জমি কিনেছেন। যার মূল্য ২০ লাখ ১৭ হাজার ৯৬৬ টাকা।

তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে নগদ ১ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭২ টাকা, সঞ্চয়পত্র ২ কোটি টাকা, ব্যবসায় বিনিয়োগ ১ কোটি ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ৯২৮ টাকা। স্থাবর সম্পদ অকৃষি জমি ৮৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার এবং ঢাকার লালমাটিয়ায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার মূল্য ৪০ লাখ টাকা। ২০০৮ সালে যখন তিনি নির্বাচন করেন, তখন তাঁর কৃষিখাত থেকে আয় ছিল ২০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা, মৎস্য চাষ ও ব্যাংক সুদ থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। সে সময় স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ২২ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৬ টাকার।

এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে সময় তাঁর বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪৮ লাখ ৬৭ হাজার ৪০২ টাকা। কৃষিখাত থেকে আয় হয় ২০ হাজার টাকা। ওই সময় তাঁর হাতে নগদ ছিল ১ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ছিল ৩৯ লাখ ৪১ হাজার ৩১৯ টাকা। এই টাকাসহ তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ২ কোটি ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬৫ টাকার।

২০১৮ সালের নির্বাচনে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৪২ লাখ ৭ হাজার ২৯৩ টাকা। ওই সময় তাঁর কৃষিখাত থেকে আয় ছিল ৩০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ও অন্যান্য পারিতোষিক ভাতাদি, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও ব্যাংক সুদ থেকে ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৩ টাকা। নগদ ১ লাখ টাকাসহ অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ছিল ব্যাংকে জমা ৩২ লাখ ৭ হাজার ৯১১ টাকা, সঞ্চয়পত্র ৯০ লাখ টাকা, বাস-ট্রাক যানবাহন ৯২ লাখ ৯০ হাজার টাকা, স্বর্ণ ১২ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র ৮০ হাজার টাকা এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ ৩৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮৯ টাকা। ২০১৮ সালে তাঁর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ২ একর কৃষিজমি, ১.৪৪ একর অকৃষি জমি, একটি বাড়িসহ তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৬ টাকা।

২৩১ কোটি টাকার সম্পদের মালিক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

প্রথম বারের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন ব্যবসায়ী নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় জুয়েলারি ও ডায়মন্ড ব্যবসায়ী তিনি। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ মিলে তাঁর রয়েছে ২৩১ কোটি টাকার সম্পদ। স্ত্রীর নামেও রয়েছে অঢেল সম্পদ। দিলীপ আগরওয়ালা চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বড়বাজার পাড়া পুরাতন গলির অমিয় কুমার আগরওয়ালার ছেলে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের একাধিকবার নির্বাচিত পরিচালক এবং বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা থেকে জানা যায়, তাঁর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। দিলীপ কুমার আগরওয়ালার আয়ের উৎস- ভাড়া থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২ কোটি ৩২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৯৪ টাকা, শেয়ার, ব্যাংক আমানত ৪১ লাখ ১৫ হাজার ৩৬০ টাকা, সম্মানী ভাতা ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। তাঁর বার্ষিক আয় ৪ কোটি ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮৫৪ টাকা। তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের আয়ের উৎস- ব্যবসা থেকে ৪১ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৪ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত ২২ লাখ ৩৩ হাজার ১১৮ টাকা, চাকরি ও সম্মানি ভাতা ২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। নির্ভরশীলদের মোট আয় ৩ কোটি ৫৭ লাখ ১২ হাজার ৩৮২ টাকা।

যেকোনো প্রার্থীর চেয়ে তাঁর অস্থাবর সম্পদ রয়েছে অনেক বেশি। নগদ টাকা ৪ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার ২০৩ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা (ইউএসডি) ২১ হাজার ৪৯৮ ডলার, ব্যাংকে জমা ৭৬ লাখ ৮ হাজার ৯১৩ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ, কোম্পানির শেয়ার ১৬৫ কোটি ৮৮ লাখ ৩৩ হাজার ৪৯৫ টাকা, পোস্টাল সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত ২ কোটি ১৬ লাখ ৮৪ হাজার ৪১৯ টাকা, যানবাহন ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, স্বর্ণ ১৮৮ ভরি, ডায়মন্ড ৪৬ গ্রাম, যার মূল্য ১ কোটি ৫ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ৩১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৪১ লাখ টাকা, অন্যান্য ১৩ কোটি ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৪ টাকা। অস্থাবর সম্পদ রয়েছে মোট ১৯১ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ৭৩৪ টাকার।

স্ত্রীর নামেও রয়েছে অস্থাবর সম্পদ ৪৯ কোটি ৭৯ লাখ ২১ হাজার ৩১১ টাকার। নগদ টাকা ৬২ লাখ ১২ হাজার ৮৯৩ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা (ইউএসডি) ৭ হাজার ৩৬২ ডলার, ব্যাংকে জমা ১৬ লাখ ১৯ হাজার ১৪০ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ, কোম্পানির শেয়ার ২৫ কোটি ৬৮ লাখ ১৪ হাজার ৪৬ টাকা, পোস্টাল সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যানবাহন ৮৩ লাখ ১০ হাজার টাকা, স্বর্ণ ২৩৯ ভরি, ডায়মন্ড ৬২ গ্রাম, যার মূল্য ৮৫ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ২৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৪৩ লাখ টাকা, অন্যান্য ২০ কোটি ৭১ লাখ ৯০ হাজার ২৩২ টাকা।

তার ওপর নির্ভরশীলদের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৩৫ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার ৪৮২ টাকা। নগদ টাকা ৯ কোটি ৪৮ লাখ ৩৪ হাজার ৮৪৭ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা (ইউএসডি) ১৮ হাজার ১৫৩ ডলার, ব্যাংকে জমা ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৫৮০ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ, কোম্পানির শেয়ার ২০ কোটি ৫১ লাখ ৯৭ হাজার ২৫৫ টাকা, পোস্টাল সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত ২২ লাখ টাকা, স্বর্ণ ২৫৫ ভরি, ২৪ ক্যারেট ডায়মন্ডের মূল্য অজানা, সোনার মূল্য দেখানো হয়নি, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ টাকা, আসবাবপত্র ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, অন্যান্য ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

স্থাবর সম্পদ রয়েছে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গায়। কৃষি জমি রয়েছে ৫ একরের বেশি, যার মূল্য ৭ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৭৪ টাকার। অকৃষি জমি রয়েছে এক একরের বেশি, যার মূল্য ৮০ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ টাকা। দালান রয়েছে ৯৪ হাজার ৮৪৯ বর্গফুট। যার মূল্য ৩০ কোটি ৪৭ লাখ ৯৩ হাজার ১৮৮ টাকা। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ২৫২৬ বর্গফুট, যার মূল্য ৭৫ লাখ ৭ হাজার ৮০০ টাকা। অকৃষি জমি ১ হাজার ৪৭২ একর যার মূল্য ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দালান আবাসিক ৯৪৫ বর্গফুট যার বাজার মূল্য ৪১ লাখ ৭ হাজার ৮০ টাকা।

দিলীপ কুমার আগরওয়ালার রয়েছে ব্যাংক ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ, ব্যবসায়িক দায় ও অন্যান্য রয়েছে ৬১ কোটি ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৭২১ টাকা। মোট সম্পদ রয়েছে ২৩১ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯৬ টাকার। এর বিপরীতে দায় রয়েছে ৬১ কোটি ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৭২১। নীট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭০ কোটি ২২ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৫ টাকা। স্ত্রীর নীট সম্পদ রয়েছে ৫০ কোটি ৮৯ লাখ ৮৮ হাজার ৩৯১ টাকা।

৫০৭ কোটি টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজ্জাক খান

এম. এ. রাজ্জাক খানের সম্পদের পরিমাণ সাড়ে ২৮ কোটি টাকার। এর বিপরীতে তার মাথায় ঋণের বোঝা ৫০৭ কোটি টাকার। চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে এম. এ. রাজ্জাক খানের জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। হলফনামায় দেখা গেছে, ৫০৭ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে রাজ্জাক খানের অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ রয়েছে ২৮ কোটি ৪৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকার। এম. এ. রাজ্জাক খানের সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা এম.ফিল। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। আয়ের উৎস দেখিয়েছেন ব্যবসা খাত। তার ওপর নির্ভরশীলদের আয়ের খাতও দেখিয়েছেন।

বছরে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান থেকে ভাড়া পান ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭২০ টাকা, ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৭ হাজার ৩৯১ টাকা, শেয়ার-ব্যাংক আমানত থেকে ২১ হাজার ৮১ টাকা, অন্যান্য পারিতোষিক থেকে ৬০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা আয় করেন প্রত্যেক বছরে। সর্বমোট বছরে আয় ৭২ লাখ ৬ হাজার ১৯২ টাকা। তার ওপর নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৪৯৩ টাকা একই খাত থেকে। অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ২০ কোটি ৬৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৬৩ টাকার।

রাজ্জাক খানের স্ত্রীর রয়েছে ১৪ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার ৭৪২ টাকার সম্পদ। এম. এ. রাজ্জাক খানের নগদ ৭৯ লাখ ১১ হাজার ৭৩৩ টাকা, ব্যাংকে জমা ২৭ লাখ ৬২ হাজার ৩০ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ, কোম্পানির শেয়ার ১৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, যানবাহন রয়েছে ১০ লাখ টাকার, স্বর্ণ ও অন্য অলংকার ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও আসবাবপত্র ৮ লাখ ১০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। স্ত্রীর রয়েছে নগদ ৪ লাখ ১৫ হাজার ৪৮১ টাকা, ব্যাংকে জমা ৮১ লাখ ৪৪ হাজার ২৬১ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ, কোম্পানির শেয়ার ১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকার, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৭০ লাখ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার সাড়ে ৫৪ ভরি যার বাজার মূল্য ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ও কোম্পানিকে ঋণ প্রদান ২৩ লাখ টাকা। বর্তমান বাজার দরে স্বর্ণের মূল্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা।

স্থাবর সম্পদ রয়েছে এম. এ. রাজ্জাক খানের ৭ কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার ৮৪০ টাকার। স্ত্রীর রয়েছে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকার। ১৪.৫৬০ একর কৃষি জমির মূল্য দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৭৪ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকা, অকৃষি জমি ৩ কোটি ২২ লাখ ১ হাজার ২০৫ টাকা, ঢাকার উত্তরা ও চুয়াডাঙ্গায় বাড়ি, এপার্টমেন্ট ১ কোটি ৮৬ লাখ ৪ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে। স্ত্রীর রয়েছে অকৃষি জমি ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকার, ঢাকার উত্তরা ও চুয়াডাঙ্গায় বাড়ি, এপার্টমেন্ট ১ কোটি ৮৩ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ।

এম. এ. রাজ্জাক খান মিনিস্টার ও মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে দেশের তিনটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের চেয়ে প্রায় ১৭ গুণ বেশি ঋণগ্রস্ত রয়েছেন তিনি। ঋণের ভার নিয়ে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি থেকে ২৫২.৫ কোটি টাকা, দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড থেকে ২৩০ কোটি টাকা ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড থেকে ২৪ কোটি ২০ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে তাঁর। দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের ঋণ পুনঃতফসিল করেছে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩১ মে। অন্য দুটি ব্যাংকের ঋণ পুনঃতফসিল করেননি।

স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের চেয়ে প্রায় ১৭ গুণ বেশি ঋণের বোঝা এম. এ রাজ্জাক খানের মাথায়। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন রাজ্জাক খান। মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র হয়ে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তিনি। এছাড়া রাজ্জাক খান একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

৭৫ লাখ টাকা সম্পদের মালিক জাতীয় পার্টির অ্যাড. সোহরাব

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন। তাঁর বার্ষিক আয় ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। তাঁর মোট স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৭৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা। তার নামে কোনো ঋণ ও মামলা নেই। তিনি বিএসসি ও এলএলবি উত্তীর্ণ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া তাঁর হলফনামা অনুযায়ী জাতীয় পার্টি মনোনীত অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেনের নগদ ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা, মোটরসাইকেল, টিভি, ফ্রিজ, মোবাইলসহ নিজ নামে ৭ লাখ ৩৬ হাজার অস্থাবর সম্পদ আছে। তাঁর স্ত্রীর নামে ১ লাখ ২ হাজার এবং তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের নামে ফ্রিজ, কম্পিউটার, মোবাইল ও স্বর্ণসহ অনান্য মিলিয়ে ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ আছে। তাঁর মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১২ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এছাড়াও, অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেনের নিজ নামে ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৩.৩ একর কৃষি জমি, ০.৫০ একর ৩ লাখ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি ও স্ত্রীর নামে ২০ লাখ টাকা মূল্যের বাড়িসহ মোট ৬৩ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ আছে।

এনপিপি মনোনীত ইদ্রিস চৌধুরীর বার্ষিক আয় ৪ লাখ টাকা

এনপিপি মনোনীত প্রার্থী ইদ্রিস চৌধুরীর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ২ হাজার ৫ শ টাকা। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণ। হলফনামায়, এনপিপি মনোনীত প্রার্থী ইদ্রিস চৌধুরীর কৃষিখাত থেকে ৭৫ হাজার টাকা ও ব্যবসা খাত থেকে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৫ শ টাকা বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে। স্থাবর সম্পদ বলতে পৈত্রিক সূত্রে তিন ভাই-বোনদের কাছ থেকে কেনা ১ লাখ টাকার কৃষি জমি এবং অস্থাবর সম্পদ নগদ ১৭ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণ, ইক্ট্রেনিক সামগ্রী ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও আসবাবপত্র ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। তিনি হলফনামায় স্বশিক্ষিত বলে জানিয়েছেন। তাঁর নামে কোনো মামলা এবং ঋণ নেই।

মাত্র ৭ লাখ টাকা নিয়ে নির্বাচনে জাকের পার্টির সালাম

জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী সালাম উদ্দিনের বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী জাকের পার্টি মনোনীত সালাম উদ্দিনের কৃষিখাত থেকে ৩০ হাজার ও ব্যবসা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বার্ষিক আয়। স্থাবর সম্পদের বিবরণিতে কিছু নেই। নগদ ২ লাখ টাকা, একটি মোটরসাইকেল ৯২ হাজার টাকা, টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান মোবাইলসহ অন্যান্য মিলিয়ে অস্থাবর সম্পদ মোট ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর মধ্যে স্ত্রীর নামে ৫ ভরি স্বর্ণসহ অনান্য মিলিয়ে মোট ৩ লাখ ২ হাজার টাকা আছে। তার নামে কোনো মামলা এবং ঋণ নেই। তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।

সাবেক নৌ কমান্ডার এম শহিদুরের ৭৬ লাখ টাকার সম্পদ

স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক নৌ কমান্ডার এম শহিদুর রহমানের বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪৫ টাকা। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৭৬ লাখ টাকা। সাবেক নৌ কমান্ডার এম শহিদুর রহমানের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৪৫ টাকার পেনশন ও বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র থেকে বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪৫ টাকা। ৪০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ১০ লাখ ৫০ টাকার মোটরগাড়ি, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণ, ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্রসহ মোট অস্থাবর সম্পদ ৫৭ লাখ টাকা মূল্যের। তার স্থাবর সম্পদের বিবরণীতে গাজীপুর ও ভাটারায় ১১ লাখ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি ও পিতৃসূত্রে পাওয়া ৮ লাখ টাকা মূল্যের একটি বাড়ি দেখানো হয়েছে। এছাড়াও, ঢাকা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন ভাটারা থানায় ৫ কাঠা প্লট বাবদ ৯ লাখ ৫ হাজার টাকা ঋণের তথ্য দেওয়া হয়েছে। যাতে আরও ৩ লাখ ২০ হাজার সমন্বয় করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ আছে। তিনি এসএসসি, নেভাল স্টাফ কোর্স ও মাস্টার অফ ডিফেন্স স্টাডিজ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের ৭ প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনই ব্যবসায়ী

আপলোড টাইম : ১১:৫২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:

এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দারের ১৫ বছরে সম্পদ বেড়েছে ২০ গুন

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টানা তিনবারের সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দাখিলকৃত হলফনামায় তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ২২ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৬ টাকা। ১৫ বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ২০ গুন। বর্তমানে নগদ টাকাসহ ৪ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৯৬৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক তিনি। ১৫ বছরে তাঁর স্ত্রীর সম্পদও বেড়েছে প্রায় ৬ গুন। ২০০৮ সালে তাঁর স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬৮ লাখ ১০ হাজার ১০ টাকা। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী ৪ কোটি ৬২ লাখ ৪৯ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, ছেলুন জোয়ার্দ্দারের নগদ রয়েছে ২১ হাজার ২৯১ টাকা, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ থেকে বার্ষিক আয় ৪৬ লাখ ৩৫২ টাকা। এর মধ্যে কৃষিখাত থেকে ৪৯ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ১০ লাখ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে আয় ৬ লাখ ১ হাজার ৮০০ টাকা, অন্যান্য পারিতোষিক ও ভাতাদি থেকে প্রাপ্ত আয় ২৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫২ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭১ হাজার ৭০৯ টাকা, সঞ্চয়পত্র ৩০ লাখ টাকা, যানবাহন থেকে আয় ৯৫ লাখ ২৬ হাজার টাকার, স্বর্ণের অলঙ্কার ১২ হাজার টাকা, টিভি-ফ্রিজ ৪০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৪০ হাজার টাকার ও ডিপিএস ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এছাড়া তাঁর স্থাবর সম্পদ হিসেবে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত কৃষিজমি ২ একর, অকৃষি জমি ১.৪৪ একর এবং ৫ কাঠা জমি কিনেছেন। যার মূল্য ২০ লাখ ১৭ হাজার ৯৬৬ টাকা।

তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে নগদ ১ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭২ টাকা, সঞ্চয়পত্র ২ কোটি টাকা, ব্যবসায় বিনিয়োগ ১ কোটি ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ৯২৮ টাকা। স্থাবর সম্পদ অকৃষি জমি ৮৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার এবং ঢাকার লালমাটিয়ায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার মূল্য ৪০ লাখ টাকা। ২০০৮ সালে যখন তিনি নির্বাচন করেন, তখন তাঁর কৃষিখাত থেকে আয় ছিল ২০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা, মৎস্য চাষ ও ব্যাংক সুদ থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। সে সময় স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ২২ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৬ টাকার।

এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে সময় তাঁর বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪৮ লাখ ৬৭ হাজার ৪০২ টাকা। কৃষিখাত থেকে আয় হয় ২০ হাজার টাকা। ওই সময় তাঁর হাতে নগদ ছিল ১ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ছিল ৩৯ লাখ ৪১ হাজার ৩১৯ টাকা। এই টাকাসহ তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ২ কোটি ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬৫ টাকার।

২০১৮ সালের নির্বাচনে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৪২ লাখ ৭ হাজার ২৯৩ টাকা। ওই সময় তাঁর কৃষিখাত থেকে আয় ছিল ৩০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ও অন্যান্য পারিতোষিক ভাতাদি, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও ব্যাংক সুদ থেকে ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৩ টাকা। নগদ ১ লাখ টাকাসহ অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ছিল ব্যাংকে জমা ৩২ লাখ ৭ হাজার ৯১১ টাকা, সঞ্চয়পত্র ৯০ লাখ টাকা, বাস-ট্রাক যানবাহন ৯২ লাখ ৯০ হাজার টাকা, স্বর্ণ ১২ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র ৮০ হাজার টাকা এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ ৩৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮৯ টাকা। ২০১৮ সালে তাঁর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ২ একর কৃষিজমি, ১.৪৪ একর অকৃষি জমি, একটি বাড়িসহ তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৬ টাকা।

২৩১ কোটি টাকার সম্পদের মালিক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

প্রথম বারের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন ব্যবসায়ী নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় জুয়েলারি ও ডায়মন্ড ব্যবসায়ী তিনি। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ মিলে তাঁর রয়েছে ২৩১ কোটি টাকার সম্পদ। স্ত্রীর নামেও রয়েছে অঢেল সম্পদ। দিলীপ আগরওয়ালা চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বড়বাজার পাড়া পুরাতন গলির অমিয় কুমার আগরওয়ালার ছেলে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের একাধিকবার নির্বাচিত পরিচালক এবং বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা থেকে জানা যায়, তাঁর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। দিলীপ কুমার আগরওয়ালার আয়ের উৎস- ভাড়া থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২ কোটি ৩২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৯৪ টাকা, শেয়ার, ব্যাংক আমানত ৪১ লাখ ১৫ হাজার ৩৬০ টাকা, সম্মানী ভাতা ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। তাঁর বার্ষিক আয় ৪ কোটি ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮৫৪ টাকা। তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের আয়ের উৎস- ব্যবসা থেকে ৪১ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৪ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত ২২ লাখ ৩৩ হাজার ১১৮ টাকা, চাকরি ও সম্মানি ভাতা ২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। নির্ভরশীলদের মোট আয় ৩ কোটি ৫৭ লাখ ১২ হাজার ৩৮২ টাকা।

যেকোনো প্রার্থীর চেয়ে তাঁর অস্থাবর সম্পদ রয়েছে অনেক বেশি। নগদ টাকা ৪ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার ২০৩ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা (ইউএসডি) ২১ হাজার ৪৯৮ ডলার, ব্যাংকে জমা ৭৬ লাখ ৮ হাজার ৯১৩ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ, কোম্পানির শেয়ার ১৬৫ কোটি ৮৮ লাখ ৩৩ হাজার ৪৯৫ টাকা, পোস্টাল সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত ২ কোটি ১৬ লাখ ৮৪ হাজার ৪১৯ টাকা, যানবাহন ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, স্বর্ণ ১৮৮ ভরি, ডায়মন্ড ৪৬ গ্রাম, যার মূল্য ১ কোটি ৫ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ৩১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৪১ লাখ টাকা, অন্যান্য ১৩ কোটি ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৪ টাকা। অস্থাবর সম্পদ রয়েছে মোট ১৯১ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ৭৩৪ টাকার।

স্ত্রীর নামেও রয়েছে অস্থাবর সম্পদ ৪৯ কোটি ৭৯ লাখ ২১ হাজার ৩১১ টাকার। নগদ টাকা ৬২ লাখ ১২ হাজার ৮৯৩ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা (ইউএসডি) ৭ হাজার ৩৬২ ডলার, ব্যাংকে জমা ১৬ লাখ ১৯ হাজার ১৪০ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ, কোম্পানির শেয়ার ২৫ কোটি ৬৮ লাখ ১৪ হাজার ৪৬ টাকা, পোস্টাল সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যানবাহন ৮৩ লাখ ১০ হাজার টাকা, স্বর্ণ ২৩৯ ভরি, ডায়মন্ড ৬২ গ্রাম, যার মূল্য ৮৫ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ২৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৪৩ লাখ টাকা, অন্যান্য ২০ কোটি ৭১ লাখ ৯০ হাজার ২৩২ টাকা।

তার ওপর নির্ভরশীলদের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৩৫ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার ৪৮২ টাকা। নগদ টাকা ৯ কোটি ৪৮ লাখ ৩৪ হাজার ৮৪৭ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা (ইউএসডি) ১৮ হাজার ১৫৩ ডলার, ব্যাংকে জমা ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৫৮০ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ, কোম্পানির শেয়ার ২০ কোটি ৫১ লাখ ৯৭ হাজার ২৫৫ টাকা, পোস্টাল সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত ২২ লাখ টাকা, স্বর্ণ ২৫৫ ভরি, ২৪ ক্যারেট ডায়মন্ডের মূল্য অজানা, সোনার মূল্য দেখানো হয়নি, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ টাকা, আসবাবপত্র ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, অন্যান্য ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

স্থাবর সম্পদ রয়েছে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গায়। কৃষি জমি রয়েছে ৫ একরের বেশি, যার মূল্য ৭ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৭৪ টাকার। অকৃষি জমি রয়েছে এক একরের বেশি, যার মূল্য ৮০ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ টাকা। দালান রয়েছে ৯৪ হাজার ৮৪৯ বর্গফুট। যার মূল্য ৩০ কোটি ৪৭ লাখ ৯৩ হাজার ১৮৮ টাকা। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ২৫২৬ বর্গফুট, যার মূল্য ৭৫ লাখ ৭ হাজার ৮০০ টাকা। অকৃষি জমি ১ হাজার ৪৭২ একর যার মূল্য ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দালান আবাসিক ৯৪৫ বর্গফুট যার বাজার মূল্য ৪১ লাখ ৭ হাজার ৮০ টাকা।

দিলীপ কুমার আগরওয়ালার রয়েছে ব্যাংক ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ, ব্যবসায়িক দায় ও অন্যান্য রয়েছে ৬১ কোটি ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৭২১ টাকা। মোট সম্পদ রয়েছে ২৩১ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯৬ টাকার। এর বিপরীতে দায় রয়েছে ৬১ কোটি ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৭২১। নীট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭০ কোটি ২২ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৫ টাকা। স্ত্রীর নীট সম্পদ রয়েছে ৫০ কোটি ৮৯ লাখ ৮৮ হাজার ৩৯১ টাকা।

৫০৭ কোটি টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজ্জাক খান

এম. এ. রাজ্জাক খানের সম্পদের পরিমাণ সাড়ে ২৮ কোটি টাকার। এর বিপরীতে তার মাথায় ঋণের বোঝা ৫০৭ কোটি টাকার। চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে এম. এ. রাজ্জাক খানের জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। হলফনামায় দেখা গেছে, ৫০৭ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে রাজ্জাক খানের অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ রয়েছে ২৮ কোটি ৪৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকার। এম. এ. রাজ্জাক খানের সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা এম.ফিল। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। আয়ের উৎস দেখিয়েছেন ব্যবসা খাত। তার ওপর নির্ভরশীলদের আয়ের খাতও দেখিয়েছেন।

বছরে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান থেকে ভাড়া পান ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭২০ টাকা, ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৭ হাজার ৩৯১ টাকা, শেয়ার-ব্যাংক আমানত থেকে ২১ হাজার ৮১ টাকা, অন্যান্য পারিতোষিক থেকে ৬০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা আয় করেন প্রত্যেক বছরে। সর্বমোট বছরে আয় ৭২ লাখ ৬ হাজার ১৯২ টাকা। তার ওপর নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৪৯৩ টাকা একই খাত থেকে। অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ২০ কোটি ৬৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৬৩ টাকার।

রাজ্জাক খানের স্ত্রীর রয়েছে ১৪ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার ৭৪২ টাকার সম্পদ। এম. এ. রাজ্জাক খানের নগদ ৭৯ লাখ ১১ হাজার ৭৩৩ টাকা, ব্যাংকে জমা ২৭ লাখ ৬২ হাজার ৩০ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ, কোম্পানির শেয়ার ১৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, যানবাহন রয়েছে ১০ লাখ টাকার, স্বর্ণ ও অন্য অলংকার ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও আসবাবপত্র ৮ লাখ ১০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। স্ত্রীর রয়েছে নগদ ৪ লাখ ১৫ হাজার ৪৮১ টাকা, ব্যাংকে জমা ৮১ লাখ ৪৪ হাজার ২৬১ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ, কোম্পানির শেয়ার ১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকার, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৭০ লাখ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার সাড়ে ৫৪ ভরি যার বাজার মূল্য ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ও কোম্পানিকে ঋণ প্রদান ২৩ লাখ টাকা। বর্তমান বাজার দরে স্বর্ণের মূল্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা।

স্থাবর সম্পদ রয়েছে এম. এ. রাজ্জাক খানের ৭ কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার ৮৪০ টাকার। স্ত্রীর রয়েছে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকার। ১৪.৫৬০ একর কৃষি জমির মূল্য দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৭৪ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকা, অকৃষি জমি ৩ কোটি ২২ লাখ ১ হাজার ২০৫ টাকা, ঢাকার উত্তরা ও চুয়াডাঙ্গায় বাড়ি, এপার্টমেন্ট ১ কোটি ৮৬ লাখ ৪ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে। স্ত্রীর রয়েছে অকৃষি জমি ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকার, ঢাকার উত্তরা ও চুয়াডাঙ্গায় বাড়ি, এপার্টমেন্ট ১ কোটি ৮৩ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ।

এম. এ. রাজ্জাক খান মিনিস্টার ও মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে দেশের তিনটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের চেয়ে প্রায় ১৭ গুণ বেশি ঋণগ্রস্ত রয়েছেন তিনি। ঋণের ভার নিয়ে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি থেকে ২৫২.৫ কোটি টাকা, দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড থেকে ২৩০ কোটি টাকা ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড থেকে ২৪ কোটি ২০ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে তাঁর। দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের ঋণ পুনঃতফসিল করেছে সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩১ মে। অন্য দুটি ব্যাংকের ঋণ পুনঃতফসিল করেননি।

স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের চেয়ে প্রায় ১৭ গুণ বেশি ঋণের বোঝা এম. এ রাজ্জাক খানের মাথায়। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন রাজ্জাক খান। মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র হয়ে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তিনি। এছাড়া রাজ্জাক খান একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

৭৫ লাখ টাকা সম্পদের মালিক জাতীয় পার্টির অ্যাড. সোহরাব

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন। তাঁর বার্ষিক আয় ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। তাঁর মোট স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৭৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা। তার নামে কোনো ঋণ ও মামলা নেই। তিনি বিএসসি ও এলএলবি উত্তীর্ণ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া তাঁর হলফনামা অনুযায়ী জাতীয় পার্টি মনোনীত অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেনের নগদ ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা, মোটরসাইকেল, টিভি, ফ্রিজ, মোবাইলসহ নিজ নামে ৭ লাখ ৩৬ হাজার অস্থাবর সম্পদ আছে। তাঁর স্ত্রীর নামে ১ লাখ ২ হাজার এবং তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের নামে ফ্রিজ, কম্পিউটার, মোবাইল ও স্বর্ণসহ অনান্য মিলিয়ে ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ আছে। তাঁর মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১২ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এছাড়াও, অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেনের নিজ নামে ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৩.৩ একর কৃষি জমি, ০.৫০ একর ৩ লাখ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি ও স্ত্রীর নামে ২০ লাখ টাকা মূল্যের বাড়িসহ মোট ৬৩ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ আছে।

এনপিপি মনোনীত ইদ্রিস চৌধুরীর বার্ষিক আয় ৪ লাখ টাকা

এনপিপি মনোনীত প্রার্থী ইদ্রিস চৌধুরীর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ২ হাজার ৫ শ টাকা। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণ। হলফনামায়, এনপিপি মনোনীত প্রার্থী ইদ্রিস চৌধুরীর কৃষিখাত থেকে ৭৫ হাজার টাকা ও ব্যবসা খাত থেকে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৫ শ টাকা বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে। স্থাবর সম্পদ বলতে পৈত্রিক সূত্রে তিন ভাই-বোনদের কাছ থেকে কেনা ১ লাখ টাকার কৃষি জমি এবং অস্থাবর সম্পদ নগদ ১৭ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণ, ইক্ট্রেনিক সামগ্রী ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও আসবাবপত্র ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। তিনি হলফনামায় স্বশিক্ষিত বলে জানিয়েছেন। তাঁর নামে কোনো মামলা এবং ঋণ নেই।

মাত্র ৭ লাখ টাকা নিয়ে নির্বাচনে জাকের পার্টির সালাম

জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী সালাম উদ্দিনের বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী জাকের পার্টি মনোনীত সালাম উদ্দিনের কৃষিখাত থেকে ৩০ হাজার ও ব্যবসা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বার্ষিক আয়। স্থাবর সম্পদের বিবরণিতে কিছু নেই। নগদ ২ লাখ টাকা, একটি মোটরসাইকেল ৯২ হাজার টাকা, টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান মোবাইলসহ অন্যান্য মিলিয়ে অস্থাবর সম্পদ মোট ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর মধ্যে স্ত্রীর নামে ৫ ভরি স্বর্ণসহ অনান্য মিলিয়ে মোট ৩ লাখ ২ হাজার টাকা আছে। তার নামে কোনো মামলা এবং ঋণ নেই। তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।

সাবেক নৌ কমান্ডার এম শহিদুরের ৭৬ লাখ টাকার সম্পদ

স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক নৌ কমান্ডার এম শহিদুর রহমানের বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪৫ টাকা। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৭৬ লাখ টাকা। সাবেক নৌ কমান্ডার এম শহিদুর রহমানের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৪৫ টাকার পেনশন ও বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র থেকে বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪৫ টাকা। ৪০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ১০ লাখ ৫০ টাকার মোটরগাড়ি, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণ, ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্রসহ মোট অস্থাবর সম্পদ ৫৭ লাখ টাকা মূল্যের। তার স্থাবর সম্পদের বিবরণীতে গাজীপুর ও ভাটারায় ১১ লাখ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি ও পিতৃসূত্রে পাওয়া ৮ লাখ টাকা মূল্যের একটি বাড়ি দেখানো হয়েছে। এছাড়াও, ঢাকা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন ভাটারা থানায় ৫ কাঠা প্লট বাবদ ৯ লাখ ৫ হাজার টাকা ঋণের তথ্য দেওয়া হয়েছে। যাতে আরও ৩ লাখ ২০ হাজার সমন্বয় করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ আছে। তিনি এসএসসি, নেভাল স্টাফ কোর্স ও মাস্টার অফ ডিফেন্স স্টাডিজ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।