ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হত্যা মামলার নারী হাজতীর মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৩২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হালিমা খাতুন (৬৫) নামের এক হত্যা মামলার হাজতী আসামির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে কারারক্ষীরা তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় জেলা কারাগারের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমানও জরুরি বিভাগে উপস্থিত ছিলেন। নিহত হালিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার মৃত আবু বক্কর সিদ্দীকের স্ত্রী।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসের ৯ তারিখের এসটিসি-৪৭৪/১৮, জিআর ৪৯/১৬, ৩০২ পিসি ধারার আসামি। গত ৬ অক্টোবর ২০২১ তারিখে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে তাঁকে প্রেরণ করা হয়। সেখানে অবস্থানকালে গতকাল বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এসমর কর্তব্যরত কারারক্ষীরা তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় জেলা কারাগারের মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান জরুরি বিভাগে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা কারাগারের মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান বলেন, কারাগারে মধ্যে অবস্থানকালে হালিমা খাতুন নামের এক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়লে কারারক্ষীরা তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নেয়। তিনি স্ট্রোক করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে জরুরি বিভাগে নিলে তাঁর মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘বিকেল পাঁচটা ১৫ মিনিটের দিকে জেলা কারাগার থেকে এক মহিলা হাজতীকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এসময় ডা. মশিউর রহমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। জরুরি বিভাগে আমরা তাঁকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের জেল সুপার (অ.দা.) ও সহকারী কমিশনার বিএম তারিক উজ-জামান মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। ডেথ সার্টিফিকেট এখনো হাতে পায়নি। তবে কারাগারের মেডিকেল অফিসারের দেওয়া তথ্য মতে তিনি স্ট্র্রোক করে মারা গেছেন। হাজতীর মৃত্যু পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত হাজতী হালিমা খাতুনের মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের লাশঘরে রাখা ছিল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হত্যা মামলার নারী হাজতীর মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৯:৪৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হালিমা খাতুন (৬৫) নামের এক হত্যা মামলার হাজতী আসামির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে কারারক্ষীরা তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় জেলা কারাগারের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমানও জরুরি বিভাগে উপস্থিত ছিলেন। নিহত হালিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার মৃত আবু বক্কর সিদ্দীকের স্ত্রী।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসের ৯ তারিখের এসটিসি-৪৭৪/১৮, জিআর ৪৯/১৬, ৩০২ পিসি ধারার আসামি। গত ৬ অক্টোবর ২০২১ তারিখে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে তাঁকে প্রেরণ করা হয়। সেখানে অবস্থানকালে গতকাল বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এসমর কর্তব্যরত কারারক্ষীরা তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় জেলা কারাগারের মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান জরুরি বিভাগে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা কারাগারের মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান বলেন, কারাগারে মধ্যে অবস্থানকালে হালিমা খাতুন নামের এক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়লে কারারক্ষীরা তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নেয়। তিনি স্ট্রোক করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে জরুরি বিভাগে নিলে তাঁর মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘বিকেল পাঁচটা ১৫ মিনিটের দিকে জেলা কারাগার থেকে এক মহিলা হাজতীকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এসময় ডা. মশিউর রহমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। জরুরি বিভাগে আমরা তাঁকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের জেল সুপার (অ.দা.) ও সহকারী কমিশনার বিএম তারিক উজ-জামান মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। ডেথ সার্টিফিকেট এখনো হাতে পায়নি। তবে কারাগারের মেডিকেল অফিসারের দেওয়া তথ্য মতে তিনি স্ট্র্রোক করে মারা গেছেন। হাজতীর মৃত্যু পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত হাজতী হালিমা খাতুনের মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের লাশঘরে রাখা ছিল।