ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনে পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৮:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনে চলছে তিন দিনব্যাপী পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্প। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ (চঙঝই)- এর ৯ সদস্যের একটি টিম এই মেডিকেল ক্যাম্পে রোগী দেখার জন্য চুয়াডাঙ্গা ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনে আসেন। প্রত্যেকেই দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও এনআইটিওআর (নিটর)-এর পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ। যে সকল বাচ্চাদের প্রসবের সময় প্রতিবন্ধকতা যেমন মুগুর পা ও সেরিব্রাল রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে তাদেরকে এই পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্পের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তিন দিনের এই পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্পটির সঞ্চালনা করছেন চুয়াডাঙ্গা ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ডা. শফিউল কবির।

এদিকে, শুধু চুয়াডাঙ্গা জেলা নয়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুগুর পা ও সেরিব্রাল রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীদের পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্পে আনেন অভিভাবকরা। পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্পের চিকিৎসক টিমের প্রধান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ডা. কাজী শাহিদ আল আলমসহ মেডিকেল টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি)-এর পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ডা. কাইসার রাব্বি, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ডা. তাজউদ্দীন মোল্লা, পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ডা. এ কে এম শাহজাহান, ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের (এনআইটিওআর)-এর পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ডা. ডা. তাপশ মণ্ডল, প্রফেসর ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম (অ্যানেসথেসিয়া), ডা. শুভা প্রশাদ দাশ, ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ডা. মুশফিকুর রহমান ও শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ডা. তাপশ তালুকদার।

জানা যায়, পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ (চঙঝই)- এর কর্ণধর প্রফেসর ডা. সারওয়ার ইবনে সালাম (রোমেল)-এর তত্ত্বাবধানে ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় দেশের বিভিন্ন জেলার মুগুর পা ও সেরিব্রাল রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ ও অপারেশন করে আসছে এই সংগঠন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের হলরুমে পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্পের চিকিৎসকগণ ৩৯ জন শিশু রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে। এর মধ্যে ২৮ জন শিশু রোগীর পায়ের অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের দুটি অপারেশনে থিয়েটারে ৯ সদস্যদের এই মেডিকেল টিম দুটি টিমে বিভক্ত হয়ে ১৫ জন শিশুরোগীর ২২টি পায়ের অপারেশন করতে সক্ষম হন। বাকি শিশুদের পায়ের অপারেশন আজ সকাল আটটা থেকে শুরু করবে একই টিম।

গত ২ ডিসেম্বরের ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশনের পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্প চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়া শিশু খন্দকার জুনায়েদের (১১) পিতা খন্দকার টিটু বলেন, ‘জন্মের সময়ে আমার ছেলের একটি পায়ে সমস্য ছিল। একটু বড় হওয়ার পর তার দুই পায়েই সমস্যা দেখা দেয়। সে দুই পা মাটিতে ফেলে হাঁটতে পারত না, ঠিকমতো বসতেও পারত না। তিন মাস পূর্বে ইম্প্যাক্ট হাসপাতালে বাইরে থেকে আসা চিকিৎসকদের দেখায়। তারা সেদিনই আমার ছেলের পায়ের অপারেশন করেন। এখন সে প্রায় সম্পূর্ণ সুস্থ। এর পূর্বে ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে দেখিয়েছি। কিন্তু অপারেশনের জন্য এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানায়। কিন্তু এখানে শুধুমাত্র ওষুধ খরচ বাবদ কয়েক হাজার টাকা দিয়ে এত ভালো চিকিৎসা পেয়েছি। আমার ছেলের সুস্থতায় আমি ও আমার পরিবারের সবাই অনেক খুশি।’

চুয়াডাঙ্গা ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ডা. শফিউল কবির বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে চঙঝই (চধবফরধঃৎরপ ঙৎঃযড়ঢ়বফরপ ঝড়পরবঃু ড়ভ ইধহমষধফবংয) এর অন্যতম কর্ণধর প্রফেসর ডা. সারওয়ার ইবনে সালাম (রোমেল)-এর তত্ত্বাবধানে আমাদের ৩টি হাসপাতালে মুগুর পা ও পায়ের শিরটান রোগীদের অপারেশন করে আসছি। গত ২রা ও ৩রা ডিসেম্বর ২০২১ মাসে প্রায় ১০০ জন রোগীর অপারেশন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আজ থেকে আগামী শুক্রবার (৪ মার্চ) পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী এই ক্যাম্পে ৩০-৩৫ পা অপারেশন করতে সক্ষম হবো। এ ধরনের চিকিৎসা ঢাকা মহানগর ছাড়া অত্র অঞ্চলে প্রায় অসম্ভব। যা আমরা চুয়াডাঙ্গা ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক হাসপাতালে করে থাকি। এ অপারেশনের জন্য প্রতি রোগীর এক ও দুই পা অপারেশনের জন্য শুধুমাত্র অষুধ খরচ বাবদ ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়।’

ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনে অনুষ্ঠিত পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্পের চিকিৎসক টিমের প্রধান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক কনসালটেন্ট ডা. কাজী শাহিদ আল আলম বলেন, ‘পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ (চঙঝই)- এর কর্ণধর প্রফেসর ডা. সারওয়ার ইবনে সালাম (রোমেল) স্যারের নির্দেশনায় আমরা প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করা মুগুর পা ও সেরিব্রাল রোগে আক্রান্ত শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও অপারেশন করে আসছি। আমাদের এই সোসাইটির লক্ষ্য প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করা মুগুর পা ও সেরিব্রাল রোগে আক্রান্ত শিশুদেরকে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেওয়া। আমরা চাই এই শিশুরা যেন স্বাভাবিকভাবে প্রতিবন্ধকতা ছাড়ায় নিজের জীবন অতিবাহিত করতে পারে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনে পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

আপলোড টাইম : ০৮:৩৮:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চুয়াডাঙ্গায় ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনে চলছে তিন দিনব্যাপী পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্প। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ (চঙঝই)- এর ৯ সদস্যের একটি টিম এই মেডিকেল ক্যাম্পে রোগী দেখার জন্য চুয়াডাঙ্গা ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনে আসেন। প্রত্যেকেই দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও এনআইটিওআর (নিটর)-এর পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ। যে সকল বাচ্চাদের প্রসবের সময় প্রতিবন্ধকতা যেমন মুগুর পা ও সেরিব্রাল রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে তাদেরকে এই পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্পের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তিন দিনের এই পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্পটির সঞ্চালনা করছেন চুয়াডাঙ্গা ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ডা. শফিউল কবির।

এদিকে, শুধু চুয়াডাঙ্গা জেলা নয়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুগুর পা ও সেরিব্রাল রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীদের পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্পে আনেন অভিভাবকরা। পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্পের চিকিৎসক টিমের প্রধান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ডা. কাজী শাহিদ আল আলমসহ মেডিকেল টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি)-এর পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ডা. কাইসার রাব্বি, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ডা. তাজউদ্দীন মোল্লা, পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ডা. এ কে এম শাহজাহান, ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের (এনআইটিওআর)-এর পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ডা. ডা. তাপশ মণ্ডল, প্রফেসর ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম (অ্যানেসথেসিয়া), ডা. শুভা প্রশাদ দাশ, ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ডা. মুশফিকুর রহমান ও শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ডা. তাপশ তালুকদার।

জানা যায়, পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ (চঙঝই)- এর কর্ণধর প্রফেসর ডা. সারওয়ার ইবনে সালাম (রোমেল)-এর তত্ত্বাবধানে ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় দেশের বিভিন্ন জেলার মুগুর পা ও সেরিব্রাল রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ ও অপারেশন করে আসছে এই সংগঠন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের হলরুমে পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্পের চিকিৎসকগণ ৩৯ জন শিশু রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে। এর মধ্যে ২৮ জন শিশু রোগীর পায়ের অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের দুটি অপারেশনে থিয়েটারে ৯ সদস্যদের এই মেডিকেল টিম দুটি টিমে বিভক্ত হয়ে ১৫ জন শিশুরোগীর ২২টি পায়ের অপারেশন করতে সক্ষম হন। বাকি শিশুদের পায়ের অপারেশন আজ সকাল আটটা থেকে শুরু করবে একই টিম।

গত ২ ডিসেম্বরের ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশনের পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্প চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়া শিশু খন্দকার জুনায়েদের (১১) পিতা খন্দকার টিটু বলেন, ‘জন্মের সময়ে আমার ছেলের একটি পায়ে সমস্য ছিল। একটু বড় হওয়ার পর তার দুই পায়েই সমস্যা দেখা দেয়। সে দুই পা মাটিতে ফেলে হাঁটতে পারত না, ঠিকমতো বসতেও পারত না। তিন মাস পূর্বে ইম্প্যাক্ট হাসপাতালে বাইরে থেকে আসা চিকিৎসকদের দেখায়। তারা সেদিনই আমার ছেলের পায়ের অপারেশন করেন। এখন সে প্রায় সম্পূর্ণ সুস্থ। এর পূর্বে ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে দেখিয়েছি। কিন্তু অপারেশনের জন্য এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানায়। কিন্তু এখানে শুধুমাত্র ওষুধ খরচ বাবদ কয়েক হাজার টাকা দিয়ে এত ভালো চিকিৎসা পেয়েছি। আমার ছেলের সুস্থতায় আমি ও আমার পরিবারের সবাই অনেক খুশি।’

চুয়াডাঙ্গা ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ডা. শফিউল কবির বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে চঙঝই (চধবফরধঃৎরপ ঙৎঃযড়ঢ়বফরপ ঝড়পরবঃু ড়ভ ইধহমষধফবংয) এর অন্যতম কর্ণধর প্রফেসর ডা. সারওয়ার ইবনে সালাম (রোমেল)-এর তত্ত্বাবধানে আমাদের ৩টি হাসপাতালে মুগুর পা ও পায়ের শিরটান রোগীদের অপারেশন করে আসছি। গত ২রা ও ৩রা ডিসেম্বর ২০২১ মাসে প্রায় ১০০ জন রোগীর অপারেশন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আজ থেকে আগামী শুক্রবার (৪ মার্চ) পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী এই ক্যাম্পে ৩০-৩৫ পা অপারেশন করতে সক্ষম হবো। এ ধরনের চিকিৎসা ঢাকা মহানগর ছাড়া অত্র অঞ্চলে প্রায় অসম্ভব। যা আমরা চুয়াডাঙ্গা ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক হাসপাতালে করে থাকি। এ অপারেশনের জন্য প্রতি রোগীর এক ও দুই পা অপারেশনের জন্য শুধুমাত্র অষুধ খরচ বাবদ ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়।’

ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনে অনুষ্ঠিত পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক ক্যাম্পের চিকিৎসক টিমের প্রধান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক কনসালটেন্ট ডা. কাজী শাহিদ আল আলম বলেন, ‘পেডিয়াট্রিক অর্থপেডিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ (চঙঝই)- এর কর্ণধর প্রফেসর ডা. সারওয়ার ইবনে সালাম (রোমেল) স্যারের নির্দেশনায় আমরা প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করা মুগুর পা ও সেরিব্রাল রোগে আক্রান্ত শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও অপারেশন করে আসছি। আমাদের এই সোসাইটির লক্ষ্য প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করা মুগুর পা ও সেরিব্রাল রোগে আক্রান্ত শিশুদেরকে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেওয়া। আমরা চাই এই শিশুরা যেন স্বাভাবিকভাবে প্রতিবন্ধকতা ছাড়ায় নিজের জীবন অতিবাহিত করতে পারে।’