ইপেপার । আজ সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পরেও নড়ে উঠল শিশু!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:২০:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মেহেরপুরের গাংনীতে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইবনে মায়াজ (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার সকালে নানার বাড়ির সিঁড়ির নীচে খেলা করার সময় সেখানে থাকা পানির পাম্পের তার ধরে টান দিলে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এসময় পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে পরিবারের সদস্যরা শিশুটির মৃতদেহ নিয়ে ফিরে গেলে শিশুটি নড়ে উঠলে সে বেঁচে আছে সন্দেহে পরিবারের সদস্যরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। পরে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিশুটিকে পুনরায় মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিশু মায়াজ মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী গ্রামের বুলবুল আহমেদের ছেলে।

জানা যায়, কয়েকদিন পূর্বে মায়াজ তার মায়ের সঙ্গে মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা শহরের ভিটেপাড়ায় নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত রোববার নানার বাড়ির সিঁড়ির নীচে খেলা করার সময় সেখানে থাকা বৈদ্যুতিক পানির পাম্পের তার ধরে টান দিলে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এসময় পরিবারের সদস্যরা দ্রুত মায়াজকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের সদস্যরা মায়াজের মৃতদেহ নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেলে তার মায়ের মনে হয় মৃতদেহটি নড়ে ওঠে। এসময় পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিশু মায়াজকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিশু মায়াজের পরিবারের সদস্যরা জানান, মেহেরপুর হাসপাতালের চিকিৎসক মায়াজকে মৃত ঘোষণা করলে মায়াজের মরদেহ নিয়ে পবিারের সদস্যরা বাড়িতে ফিরে যান। বাড়িতে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই শিশুটির মায়ের মনে হয় শিশুটি একবার নড়ে উঠেছে। শিশুটি বেঁচে আছে সন্দেহে পরিবারের সদস্যরা এবার দ্রুত তাকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উৎপলা বিশ্বাস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মায়াজকে মৃত ঘোষণা করেন।

মেহেরপুরের গাংনী থানার তদন্ত কর্মকর্তা মনোজ কুমার নন্দী বলেন, ‘মায়াজ তার নানার বাড়ির সিঁড়ির নীচে থাকা পানির পাম্পের তার ধরে টান দিলে সেটি ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরিবারের লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে মায়াজের অবস্থার অবনতি হলে তাকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উৎপলা বিশ্বাস বলেন, ‘জরুরি বিভাগে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। এখানে নেওয়ার পূর্বে তার মৃত্যু হয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পরেও নড়ে উঠল শিশু!

আপলোড টাইম : ১২:২০:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: মেহেরপুরের গাংনীতে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইবনে মায়াজ (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার সকালে নানার বাড়ির সিঁড়ির নীচে খেলা করার সময় সেখানে থাকা পানির পাম্পের তার ধরে টান দিলে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এসময় পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে পরিবারের সদস্যরা শিশুটির মৃতদেহ নিয়ে ফিরে গেলে শিশুটি নড়ে উঠলে সে বেঁচে আছে সন্দেহে পরিবারের সদস্যরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। পরে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিশুটিকে পুনরায় মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিশু মায়াজ মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী গ্রামের বুলবুল আহমেদের ছেলে।

জানা যায়, কয়েকদিন পূর্বে মায়াজ তার মায়ের সঙ্গে মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা শহরের ভিটেপাড়ায় নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত রোববার নানার বাড়ির সিঁড়ির নীচে খেলা করার সময় সেখানে থাকা বৈদ্যুতিক পানির পাম্পের তার ধরে টান দিলে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এসময় পরিবারের সদস্যরা দ্রুত মায়াজকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের সদস্যরা মায়াজের মৃতদেহ নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেলে তার মায়ের মনে হয় মৃতদেহটি নড়ে ওঠে। এসময় পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিশু মায়াজকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিশু মায়াজের পরিবারের সদস্যরা জানান, মেহেরপুর হাসপাতালের চিকিৎসক মায়াজকে মৃত ঘোষণা করলে মায়াজের মরদেহ নিয়ে পবিারের সদস্যরা বাড়িতে ফিরে যান। বাড়িতে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই শিশুটির মায়ের মনে হয় শিশুটি একবার নড়ে উঠেছে। শিশুটি বেঁচে আছে সন্দেহে পরিবারের সদস্যরা এবার দ্রুত তাকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উৎপলা বিশ্বাস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মায়াজকে মৃত ঘোষণা করেন।

মেহেরপুরের গাংনী থানার তদন্ত কর্মকর্তা মনোজ কুমার নন্দী বলেন, ‘মায়াজ তার নানার বাড়ির সিঁড়ির নীচে থাকা পানির পাম্পের তার ধরে টান দিলে সেটি ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরিবারের লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে মায়াজের অবস্থার অবনতি হলে তাকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উৎপলা বিশ্বাস বলেন, ‘জরুরি বিভাগে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। এখানে নেওয়ার পূর্বে তার মৃত্যু হয়েছে।’