ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

গাংনীর পীরতলায় বিএনপির গণসমাবেশ

প্রতিবেদক, গাংনী:
  • আপলোড টাইম : ১১:২৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

গত ১৭ বছর ধরে শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কণ্ঠরোধ করে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিলেন। তবে জনগণের গণবিপ্লবের মাধ্যমে তার পতন ঘটেছে। যদি তার অপরাধের যথাযথ বিচার না হয়, তবে দেশে আবারও ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারে। এ জন্য তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি জানিয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু। গতকাল বুধবার বিকেলে গাংনী উপজেলার পীরতলা স্কুলমাঠে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই দাবি জানান।
কাজিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে এবং পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সুলেরী আলভীর সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহববুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, ‘গত ১৭ বছর ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দেশের মানুষকে সংগঠিত করে আসছেন। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের নায়ক তারেক রহমান। তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত সময়ের অপকর্মের জন্য শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী-এমপি এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার করতে হবে। শুধু ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করলেই হবে না, এদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করার দাবিতে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে।’
কাজিপুর ইউনিয়নে গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান থাকার ফলে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। তাই অবিলম্বে ইউনিয়নের তালিকা বাতিল করে দলমত নির্বিশেষে গরিব মানুষের মধ্যে সেবাগুলো বণ্টনের দাবি জানান। তিনি আরও দাবি করেন, কাজিপুর ইউনিয়নের যানবাহন বামুন্দী ক্যাম্পে ডিউটির জন্য রিক্যুইজিশন বন্ধ করতে হবে এবং কাজিপুরের গাড়িগুলো স্থানীয় ক্যাম্পেই থাকবে।
৫ আগস্টের গণআন্দোলনের আগে তার গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করে বাবলু বলেন, ‘জেলে থাকা অবস্থায় তার মেয়ে ঢাকার রাজপথে ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে। শেখ হাসিনার পতন না হলে কতদিন জেলে থাকতে হতো তা জানতেন না। তবে তিনি স্পষ্ট করেন যে, হাসিনার পতন হলেও আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি। বিএনপি ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা উলামা দলের সভাপতি ইনামুল হক, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহজাহান সেলিম, উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুজ্জামান হকা, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুসাইন, সহ সভাপতি রেজওয়ানুল ইমন, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনি, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আমিনুল বারী মোতালেবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গাংনীর পীরতলায় বিএনপির গণসমাবেশ

আপলোড টাইম : ১১:২৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

গত ১৭ বছর ধরে শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কণ্ঠরোধ করে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিলেন। তবে জনগণের গণবিপ্লবের মাধ্যমে তার পতন ঘটেছে। যদি তার অপরাধের যথাযথ বিচার না হয়, তবে দেশে আবারও ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারে। এ জন্য তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি জানিয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু। গতকাল বুধবার বিকেলে গাংনী উপজেলার পীরতলা স্কুলমাঠে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই দাবি জানান।
কাজিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে এবং পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সুলেরী আলভীর সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহববুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, ‘গত ১৭ বছর ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দেশের মানুষকে সংগঠিত করে আসছেন। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের নায়ক তারেক রহমান। তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত সময়ের অপকর্মের জন্য শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী-এমপি এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার করতে হবে। শুধু ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করলেই হবে না, এদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করার দাবিতে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে।’
কাজিপুর ইউনিয়নে গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান থাকার ফলে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। তাই অবিলম্বে ইউনিয়নের তালিকা বাতিল করে দলমত নির্বিশেষে গরিব মানুষের মধ্যে সেবাগুলো বণ্টনের দাবি জানান। তিনি আরও দাবি করেন, কাজিপুর ইউনিয়নের যানবাহন বামুন্দী ক্যাম্পে ডিউটির জন্য রিক্যুইজিশন বন্ধ করতে হবে এবং কাজিপুরের গাড়িগুলো স্থানীয় ক্যাম্পেই থাকবে।
৫ আগস্টের গণআন্দোলনের আগে তার গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করে বাবলু বলেন, ‘জেলে থাকা অবস্থায় তার মেয়ে ঢাকার রাজপথে ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে। শেখ হাসিনার পতন না হলে কতদিন জেলে থাকতে হতো তা জানতেন না। তবে তিনি স্পষ্ট করেন যে, হাসিনার পতন হলেও আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি। বিএনপি ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা উলামা দলের সভাপতি ইনামুল হক, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহজাহান সেলিম, উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুজ্জামান হকা, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুসাইন, সহ সভাপতি রেজওয়ানুল ইমন, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনি, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আমিনুল বারী মোতালেবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।