ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

গরুর গাড়ির ধাক্কায় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:১৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৩৮ বার পড়া হয়েছে

জীবননগরে ধানভর্তি গরুর গাড়ির ধাক্কায় আল আমিন (দেড় বছর) নামের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আল আমিন জীবননগর সীমান্ত ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার উজ্জল হোসেনের ছেলে।

মাহবুল হোসেন নামের এক প্রত্যাক্ষদর্শী বলেন, ‘হাবিবপুর গ্রামে খড়ের মাঠে অনেক কৃষক তাঁদের ধান কেটেছেন। দুপুরে খড়ের মাঠ থেকে গরুর গাড়িতে ধানভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছিল গাড়িচালক ডুবো মিয়াসহ আরও দুয়েকজন। সে সময় নিজ বাড়ির সামনে খেলা করছিল শিশু আল আমিন। হঠাৎ ডুবোর চিৎকার শুনি। ছুটে যেয়ে দেখি ডুবো শিশুটিকে রাস্তা থেকে তুলছেন। আমি সেখানে গেলে সে বলে, গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে, দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে। এসময় স্থানীয় কয়েকজন আল আমিনকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। ডাক্তার বলেছে হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বেই মৃত্যু হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, দিনমজুর মাঠ শ্রমিক উজ্জল হোসেনের তিন ছেলে-মেয়ে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে আলি আমিন সবার ছোট। এই পরিবারের সর্বাপেক্ষা কনিষ্ঠ সদস্যের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উৎপলা বিশ্বাস বলেন, ‘বিকেল চারটার দিকে কয়েকজন ব্যক্তি শিশুটিকে জরুরি বিভাগে নেয়। তাদের থেকে জানতে পারি শিশুটির সঙ্গে গরুর গাড়ির ধাক্কা লেগে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে। তবে জরুরি বিভাগে শিশুটিকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে শিশুটির শরীরে কোনো জখম বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে শিশুটির বুকের একটি হাড় ভাঙা আছে বলে মনে হয়েছে।’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ‘জীবননগর থানাধীন হাবিবপুর গ্রামের রাস্তায় খেলা করার সময় গরুর গাড়ির ধাক্কা লেগে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ও তাদের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

গরুর গাড়ির ধাক্কায় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

আপলোড টাইম : ১০:১৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১

জীবননগরে ধানভর্তি গরুর গাড়ির ধাক্কায় আল আমিন (দেড় বছর) নামের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আল আমিন জীবননগর সীমান্ত ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার উজ্জল হোসেনের ছেলে।

মাহবুল হোসেন নামের এক প্রত্যাক্ষদর্শী বলেন, ‘হাবিবপুর গ্রামে খড়ের মাঠে অনেক কৃষক তাঁদের ধান কেটেছেন। দুপুরে খড়ের মাঠ থেকে গরুর গাড়িতে ধানভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছিল গাড়িচালক ডুবো মিয়াসহ আরও দুয়েকজন। সে সময় নিজ বাড়ির সামনে খেলা করছিল শিশু আল আমিন। হঠাৎ ডুবোর চিৎকার শুনি। ছুটে যেয়ে দেখি ডুবো শিশুটিকে রাস্তা থেকে তুলছেন। আমি সেখানে গেলে সে বলে, গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে, দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে। এসময় স্থানীয় কয়েকজন আল আমিনকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। ডাক্তার বলেছে হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বেই মৃত্যু হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, দিনমজুর মাঠ শ্রমিক উজ্জল হোসেনের তিন ছেলে-মেয়ে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে আলি আমিন সবার ছোট। এই পরিবারের সর্বাপেক্ষা কনিষ্ঠ সদস্যের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উৎপলা বিশ্বাস বলেন, ‘বিকেল চারটার দিকে কয়েকজন ব্যক্তি শিশুটিকে জরুরি বিভাগে নেয়। তাদের থেকে জানতে পারি শিশুটির সঙ্গে গরুর গাড়ির ধাক্কা লেগে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে। তবে জরুরি বিভাগে শিশুটিকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে শিশুটির শরীরে কোনো জখম বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে শিশুটির বুকের একটি হাড় ভাঙা আছে বলে মনে হয়েছে।’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ‘জীবননগর থানাধীন হাবিবপুর গ্রামের রাস্তায় খেলা করার সময় গরুর গাড়ির ধাক্কা লেগে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ও তাদের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়ায় পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।