ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

দর্শনায় ড্রাগন ফল ও পেয়ারায় ইনজেকশনের মাধ্যমে ‘টনিক’ ওষুধ প্রয়োগ

খোলা বাজারে বড় সাইজের ড্রাগন, চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪২ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস:
দর্শনায় চাষকৃত ড্রাগন ফল ও পেয়ারায় ইনজেকশনের মাধ্যমে ‘টনিক’ নামক এক প্রকার ওষুধের প্রয়োগ করা হচ্ছে। ভারত থেকে অবৈধ পথে দেশে আসা এই টনিকের প্রয়োগে দ্রুত বড় হওয়ায় ফলগুলি কতটা স্বাস্থ্যসম্মত, তা নিয়ে ভোক্তা সাধারণের মনে প্রশ্ন উঠেছে। এ ফল খাওয়া স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা। খোলা বাজারে এসব ফল বিক্রি হচ্ছে, সাধারণ ক্রেতারা না বুঝে পরিবারের জন্য এসব ফল কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন।

দর্শনা বাজারের ড্রাগন ফলের একজন ক্রেতা বলেন, ভারতের এক ধরণের টনিক ইনজেকশনের ব্যবহারে ড্রাগন স্বাভাবিকের থেকে বেশি বড় করা হচ্ছে। এক একটি ড্রাগন ফল যেখানে ২০০-২৫০ গ্রাম হওয়ার কথা সেখানে ১ কেজির বেশিও হচ্ছে এসব ড্রাগন। দোকানে ও খোলা বাজারে ঝুড়িতে বিক্রি করছে, সবাই কিনছে।

দর্শনা হঠাৎপাড়া এলাকার ড্রাগন চাষী শাহাবুদ্দিন পিনার বলেন, ‘আমার বাগানের ড্রাগনে যে ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেটি হলো এসিড প্রাণ হরমন, এর নাম টনিক। এটিতে ফসলের কোনো ক্ষতি হয় না। ড্রাগনসহ পেয়েরা ও বেগুনেও অনেকে টনিক পুশ করছে।’
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমীন সুলতানা বলেন, ‘কোনো কৃষককে আমরা টনিক হরমন ব্যবহারের পরামর্শ দিই না। এটি পাশের দেশ ভারত থেকে অবৈধ পথে আসছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অভিযোগও পেয়েছি। পরীক্ষার জন্য এসব ফল ও ওষুধের নমুনা ঢাকা মহাখালী পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে এসব ফল খাওয়া খাওয়ার উপযোগী কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যাবে।’

জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা ফল খাওয়াই উত্তম। কোনো ওষুধ প্রয়োগকৃত ফল খাওয়া ঠিক হবে না। কারণ কোন হরমন শরীরের জন্য ভালো বা খারাপ, অথবা এসব হরমন শরীরের কী ধরণের প্রতিক্রিয়া ঘটাবে, এটা বলা সম্ভব নয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, ‘আমি জেলা প্রশাসকের কাছে বলে তথ্য বিভাগের মাধ্যমে ড্রাগন চাষীদের সচেতন করার ব্যবস্থা নেব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনায় ড্রাগন ফল ও পেয়ারায় ইনজেকশনের মাধ্যমে ‘টনিক’ ওষুধ প্রয়োগ

খোলা বাজারে বড় সাইজের ড্রাগন, চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি!

আপলোড টাইম : ০৪:৪২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

দর্শনা অফিস:
দর্শনায় চাষকৃত ড্রাগন ফল ও পেয়ারায় ইনজেকশনের মাধ্যমে ‘টনিক’ নামক এক প্রকার ওষুধের প্রয়োগ করা হচ্ছে। ভারত থেকে অবৈধ পথে দেশে আসা এই টনিকের প্রয়োগে দ্রুত বড় হওয়ায় ফলগুলি কতটা স্বাস্থ্যসম্মত, তা নিয়ে ভোক্তা সাধারণের মনে প্রশ্ন উঠেছে। এ ফল খাওয়া স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা। খোলা বাজারে এসব ফল বিক্রি হচ্ছে, সাধারণ ক্রেতারা না বুঝে পরিবারের জন্য এসব ফল কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন।

দর্শনা বাজারের ড্রাগন ফলের একজন ক্রেতা বলেন, ভারতের এক ধরণের টনিক ইনজেকশনের ব্যবহারে ড্রাগন স্বাভাবিকের থেকে বেশি বড় করা হচ্ছে। এক একটি ড্রাগন ফল যেখানে ২০০-২৫০ গ্রাম হওয়ার কথা সেখানে ১ কেজির বেশিও হচ্ছে এসব ড্রাগন। দোকানে ও খোলা বাজারে ঝুড়িতে বিক্রি করছে, সবাই কিনছে।

দর্শনা হঠাৎপাড়া এলাকার ড্রাগন চাষী শাহাবুদ্দিন পিনার বলেন, ‘আমার বাগানের ড্রাগনে যে ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেটি হলো এসিড প্রাণ হরমন, এর নাম টনিক। এটিতে ফসলের কোনো ক্ষতি হয় না। ড্রাগনসহ পেয়েরা ও বেগুনেও অনেকে টনিক পুশ করছে।’
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমীন সুলতানা বলেন, ‘কোনো কৃষককে আমরা টনিক হরমন ব্যবহারের পরামর্শ দিই না। এটি পাশের দেশ ভারত থেকে অবৈধ পথে আসছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অভিযোগও পেয়েছি। পরীক্ষার জন্য এসব ফল ও ওষুধের নমুনা ঢাকা মহাখালী পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে এসব ফল খাওয়া খাওয়ার উপযোগী কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যাবে।’

জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা ফল খাওয়াই উত্তম। কোনো ওষুধ প্রয়োগকৃত ফল খাওয়া ঠিক হবে না। কারণ কোন হরমন শরীরের জন্য ভালো বা খারাপ, অথবা এসব হরমন শরীরের কী ধরণের প্রতিক্রিয়া ঘটাবে, এটা বলা সম্ভব নয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, ‘আমি জেলা প্রশাসকের কাছে বলে তথ্য বিভাগের মাধ্যমে ড্রাগন চাষীদের সচেতন করার ব্যবস্থা নেব।’