ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:২০:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:

জীবননগর হাইস্কুল পাড়ার তরুণ ব্যবসায়ী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মামলা ১৯ দিন অতিবাহিত হলেও গ্রেপ্তার করা হয়নি প্রধান আসামিকে। তাই গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে জীবননগর উপজেলাবাসীর আয়োজনে খুনিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে জীবননগর পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, জীবননগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আর বাবু, সাধারণ সম্পাদক কাজী শামসুর রহমান চঞ্চল, সাপ্তাহিক জীবননগর বার্তার সম্পাদক শামসুল আলম, জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী নাসির উদ্দিননসহ আবু সাঈদের স্বজনরা অংশ নেয়। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন আবু সাঈদের বাবা।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে আবু সাঈদের বাবা রইচ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘২ এপ্রিল ভোরে সেহরি শেষে মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য বাড়ি থেকে বের হয় আবু সাঈদ। এরপর আর সে বাড়িতে ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল। তবে পুলিশ কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এর চার দিন পর জীবননগর বসুতিপাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের বেসমেট থেকে আমার ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। আমি যখন থানায় জিডি করেছিলাম, পুলিশ যদি একটু গুরুত্ব দিত, তাহলে হয়ত আমার ছেলেটা প্রাণে বেঁচে যেত। আমার ছেলেকে কে মেরেছে, কেন মেরেছে, এখন পর্যন্ত আমরা কিছু জানতে পারলাম না। ১৮টা দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ আসল হত্যাকারীকে আটক করতে পারেনি। লোক দেখানোর জন্য কয়েকজনকে আটক করেছে। আমি কি আমার সন্তান হত্যার বিচার পাব না?’

তিনি পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, ‘পুলিশের সদিচ্ছা না থাকায় আসামিরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না। পুলিশ চেষ্টা করলেই আমার ছেলের আসল হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারবে।’ এদিকে, আবু সাঈদ হত্যার পর বসুতিপাড়ার বেশ কয়েকজনকে সন্দেহমূলকভাবে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এ কারণে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিনযাপন করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৭ আসামিকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

আপলোড টাইম : ০৭:২০:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩

জীবননগর অফিস:

জীবননগর হাইস্কুল পাড়ার তরুণ ব্যবসায়ী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মামলা ১৯ দিন অতিবাহিত হলেও গ্রেপ্তার করা হয়নি প্রধান আসামিকে। তাই গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে জীবননগর উপজেলাবাসীর আয়োজনে খুনিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে জীবননগর পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, জীবননগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আর বাবু, সাধারণ সম্পাদক কাজী শামসুর রহমান চঞ্চল, সাপ্তাহিক জীবননগর বার্তার সম্পাদক শামসুল আলম, জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী নাসির উদ্দিননসহ আবু সাঈদের স্বজনরা অংশ নেয়। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন আবু সাঈদের বাবা।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে আবু সাঈদের বাবা রইচ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘২ এপ্রিল ভোরে সেহরি শেষে মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য বাড়ি থেকে বের হয় আবু সাঈদ। এরপর আর সে বাড়িতে ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল। তবে পুলিশ কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এর চার দিন পর জীবননগর বসুতিপাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের বেসমেট থেকে আমার ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। আমি যখন থানায় জিডি করেছিলাম, পুলিশ যদি একটু গুরুত্ব দিত, তাহলে হয়ত আমার ছেলেটা প্রাণে বেঁচে যেত। আমার ছেলেকে কে মেরেছে, কেন মেরেছে, এখন পর্যন্ত আমরা কিছু জানতে পারলাম না। ১৮টা দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ আসল হত্যাকারীকে আটক করতে পারেনি। লোক দেখানোর জন্য কয়েকজনকে আটক করেছে। আমি কি আমার সন্তান হত্যার বিচার পাব না?’

তিনি পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, ‘পুলিশের সদিচ্ছা না থাকায় আসামিরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না। পুলিশ চেষ্টা করলেই আমার ছেলের আসল হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারবে।’ এদিকে, আবু সাঈদ হত্যার পর বসুতিপাড়ার বেশ কয়েকজনকে সন্দেহমূলকভাবে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এ কারণে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিনযাপন করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৭ আসামিকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।