ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

কালীগঞ্জে ঘুমন্ত কৃষককে কুপিয়ে হত্যা

প্রতিবেদক, কালীগঞ্জ:
  • আপলোড টাইম : ০৪:২১:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
  • / ৪২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দীঘারপাড়া গ্রামে রেজাউল ইসলাম (৩৮) নামে ঘুমন্ত এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার ভোরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। তবে কী কারণে কারা তাকে হত্যা করেছে, তা এখনো জানা যায়নি। নিহত রেজাউল ইসলাম উপজেলার দীঘারপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। নিহত রেজাউলের আপন ও জীবন নামের দুটি শিশুসন্তান রয়েছে।

নিহতের প্রতিবেশী জানান, ‘রাতে আমরা ঘুমিয়েছিলাম। এসময় সবার হৈ চৈ শব্দে ঘুম ভাঙ্গে। সেখানে গিয়ে দেখি কারা তাকে উপুর্যপুরি কুপিয়ে রেখে গেছে। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’

নিহত রেজাউলের ৯ বছরের শিশুসন্তান আপন ইসলাম জানান, বাবা-মায়ের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। এরপর দরজার ফাঁক দিয়ে দেখি সাদা পাঞ্জাবী পরা কয়েকজন মানুষ বাবাকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে ছিলাম। এরপর রাত সাড়ে ৩টার দিকে চিৎকার শুনে ছুটে এসে দেখি রেজাউলের গলা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। এরপর তাকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, তদন্তের পর হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যাবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কালীগঞ্জে ঘুমন্ত কৃষককে কুপিয়ে হত্যা

আপলোড টাইম : ০৪:২১:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দীঘারপাড়া গ্রামে রেজাউল ইসলাম (৩৮) নামে ঘুমন্ত এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার ভোরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। তবে কী কারণে কারা তাকে হত্যা করেছে, তা এখনো জানা যায়নি। নিহত রেজাউল ইসলাম উপজেলার দীঘারপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। নিহত রেজাউলের আপন ও জীবন নামের দুটি শিশুসন্তান রয়েছে।

নিহতের প্রতিবেশী জানান, ‘রাতে আমরা ঘুমিয়েছিলাম। এসময় সবার হৈ চৈ শব্দে ঘুম ভাঙ্গে। সেখানে গিয়ে দেখি কারা তাকে উপুর্যপুরি কুপিয়ে রেখে গেছে। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’

নিহত রেজাউলের ৯ বছরের শিশুসন্তান আপন ইসলাম জানান, বাবা-মায়ের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। এরপর দরজার ফাঁক দিয়ে দেখি সাদা পাঞ্জাবী পরা কয়েকজন মানুষ বাবাকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে ছিলাম। এরপর রাত সাড়ে ৩টার দিকে চিৎকার শুনে ছুটে এসে দেখি রেজাউলের গলা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। এরপর তাকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, তদন্তের পর হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যাবে।