ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

কার্পাসডাঙ্গায় ঘন ঘন লোডশেডিং, অতিষ্ট মানুষ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:১৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টায় ৬-৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হচ্ছে। রুটিন অনযায়ী লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে না। দিনে লোডশেডিং কম থাকলে রাতে বাড়ানো হচ্ছে। এতে প্রচণ্ড গরমে মানুষ যেমন হিমশিম খাচ্ছে, তেমনি ব্যহত হচ্ছে সেচ কাজ। গরম থেকে রক্ষা পেতে গাছতলায় অবস্থান করছে, আবার অনেকে হাত পাখা ব্যবহার করছে।
কার্পাসডাঙ্গার আ. জাব্বার ও সাদিকুর রহমান জানান, তিনটি মোটরের আওতায় রোপা-আমন মৌসুমে প্রায় ৩ শ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। প্রচণ্ড তাপে প্রতিদিন খেতে সেচ দিতে হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত না পেলে উৎপাদন ব্যহত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কার্পাসডাঙ্গা বাজারের প্রদীপ ফটোস্ট্যাটের স্বত্ত্বধিকারী প্রদীপ বিশ্বাস জানান, দিনে ৩-৪ ঘণ্টা পরপর দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। এতে করে তাদের কাজের চরম ব্যঘাত ঘটছে। দুই টাকা দিয়ে ফটোস্ট্যাট করতে এসে দুই ঘণ্টা বিদ্যুতের অপেক্ষায় বসে থাকতে হচ্ছে, একই অবস্থা হচ্ছে রাতে। এতে করে তাদের যেমন ভোগান্তি হচ্ছে, একইভাবে কাস্টমারদেরও সময় নষ্ট হচ্ছে।

দামুড়হুদা পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানান, লোডশেডিংয়ের বিষয় কিছুই বলতে পারব না। এটা নির্ধারণ করে চুয়াডাঙ্গা অফিস থেকে। চুয়াডাঙ্গা অভিযোগ কেন্দ্রের লাইনম্যান (গ্রেড-১) মনোয়ার হোসেন জানান, সবদিন সমান লোডশেডিং হয় না। প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে কোনো এলাকায় কত ঘণ্টা লোডশেডিং থাকবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয় চুয়াডাঙ্গার জাফরপুর গ্রিড থেকে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কার্পাসডাঙ্গায় ঘন ঘন লোডশেডিং, অতিষ্ট মানুষ

আপলোড টাইম : ০৭:১৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টায় ৬-৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হচ্ছে। রুটিন অনযায়ী লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে না। দিনে লোডশেডিং কম থাকলে রাতে বাড়ানো হচ্ছে। এতে প্রচণ্ড গরমে মানুষ যেমন হিমশিম খাচ্ছে, তেমনি ব্যহত হচ্ছে সেচ কাজ। গরম থেকে রক্ষা পেতে গাছতলায় অবস্থান করছে, আবার অনেকে হাত পাখা ব্যবহার করছে।
কার্পাসডাঙ্গার আ. জাব্বার ও সাদিকুর রহমান জানান, তিনটি মোটরের আওতায় রোপা-আমন মৌসুমে প্রায় ৩ শ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। প্রচণ্ড তাপে প্রতিদিন খেতে সেচ দিতে হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত না পেলে উৎপাদন ব্যহত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কার্পাসডাঙ্গা বাজারের প্রদীপ ফটোস্ট্যাটের স্বত্ত্বধিকারী প্রদীপ বিশ্বাস জানান, দিনে ৩-৪ ঘণ্টা পরপর দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। এতে করে তাদের কাজের চরম ব্যঘাত ঘটছে। দুই টাকা দিয়ে ফটোস্ট্যাট করতে এসে দুই ঘণ্টা বিদ্যুতের অপেক্ষায় বসে থাকতে হচ্ছে, একই অবস্থা হচ্ছে রাতে। এতে করে তাদের যেমন ভোগান্তি হচ্ছে, একইভাবে কাস্টমারদেরও সময় নষ্ট হচ্ছে।

দামুড়হুদা পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানান, লোডশেডিংয়ের বিষয় কিছুই বলতে পারব না। এটা নির্ধারণ করে চুয়াডাঙ্গা অফিস থেকে। চুয়াডাঙ্গা অভিযোগ কেন্দ্রের লাইনম্যান (গ্রেড-১) মনোয়ার হোসেন জানান, সবদিন সমান লোডশেডিং হয় না। প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে কোনো এলাকায় কত ঘণ্টা লোডশেডিং থাকবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয় চুয়াডাঙ্গার জাফরপুর গ্রিড থেকে।