ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

এখন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বাজুসের সদস্য হয়ে গর্ববোধ করেন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৩৩:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

বাজুসের হাত ধরে এখন সম্মানজনক অবস্থায় জুয়েলারি ব্যবসা : বাজুস চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি টোকন জোয়ার্দ্দার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাজুস সবসময় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের পাশে আছে। এখন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বাজুসের সদস্য হয়ে গর্ববোধ করেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তারাদেবী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক কৃতী ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা শহরের পুলিশ পার্কে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি সাইফুল হাসান জোয়ার্দ্দার টোকনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু না থাকলে যেমন দেশ স্বাধীন হতো না, তেমনি তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী না হলে স্বর্ণ নীতিমালা পাশ হতো না। আমাদের সরকারি ভ্যাট ট্যাক্স দিয়েও বৈধ ব্যবসা করার সুযোগ ছিল না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালে সেই স্বর্ণ নীতিমালা উপহার দিয়েছেন। তারপর কর মেলা হয়েছে। বৈধ পথে প্রায় ১৪০ কেজি সোনা দেশে আমদানি হয়েছে।’

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। অবৈধ ব্যবসার চিন্তা বাদ দিতে হবে। সেই সাথে সবাইকে ভ্যাট দিতে হবে। ভ্যাট কমানোর সুযোগ নেই। সবাই যদি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় ভ্যাট ছাড়া ব্যবসা করব না, তাহলে ঘুরে দাঁড়াবে এ ব্যবসা। বাজুসের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর এক বছরে যেমন কাজ করে দেখিয়েছেন, তাতে বলাই যায় সর্ববৃহৎ সংগঠনে রূপ নিয়েছে বাজুস। স্বাধীনতার ৫০ বছরে যে কাজ কেউ করতে পারেনি, তিনি সেই কাজ এক বছরে করে দেখিয়েছেন। আমরা এমন একজন প্রেসিডেন্টকে পেয়েছি, যিনি রিফাইনারি সেক্টরে বড় বিনিয়োগ করছেন। দেশে বসুন্ধরা গ্রুপের যে রিফাইনারি হচ্ছে, তা অন্য কোনো উন্নত দেশেও নেই। তাই সামনে সুযোগ বৈধ উপায়ে ব্যবসা করার।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাজুসের সহসম্পাদক ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল অ্যান্ড মেম্বারশিপ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাজুসে আসার পর বাজুসের চেহারা বদলে গেছে। দায়িত্ব নিয়েই তিনি আমাদের ১২টি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করে দিলেন। কমিটির ওপর দায়িত্ব দিলেন সকল স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে এক ছাদের নিচে আনার। সেদিন আমি তাকে কথা দিয়েছিলাম আমরা পারব, আজ আমরা ৪০ হাজার সদস্যে পৌঁছেছি। ব্যবসায়ীরা আমাদের শক্তির উৎস। প্রেসিডেন্টের ডায়নানিজম, কৌশল, সক্ষমতা আমাদের এক বছরের সফলতা। একসময় সদস্য হতে ১০ হাজার টাকা চাঁদা লাগতো, এখন এক টাকাও লাগে না। আমরা সোনা রপ্তানির দারপ্রাপ্তে পৌঁছেছি। বৈধভাবে স্বর্ণ কিনতে হবে। এ জন্য সকলের ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট ট্যাক্সের সাথে বাজুসের মেম্বারশিপ আইডি অতীব জরুরি। বৈধভাবে ব্যবসা করার স্বার্থে মেম্বারশিপ নিতে হবে। অবৈধ কোনো কাজে বাজুস সহযোগিতা করে না। একদেশ একরেটে প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে বাজুস। প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের হাত ধরে সময় এসেছে বিদেশে স্বর্ণ রপ্তানির। আমরা এ সুযোগকে কাজে লাগাবো।’

বাজুসের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং কমিটির সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘বাজুস প্রসিডেন্ট সায়েম সোবাহন আনভীরের নির্দেশে সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নেতৃত্বে আমরা ৬৪ জেলা ঘুরছি। আমাদের উদ্দেশ্য সারাদেশে যারই স্বর্ণ-রৌপ্য আছে, তিনি বাজুস সদস্য হবেন। সকল ব্যবসায়ীর সুখ-দুঃখের সঙ্গী হবে প্রেসিডেন্ট ও সাধারণ সম্পাদক। সাধারণ সম্পাদক স্বর্ণের বৈধতা এনে দিয়েছেন। তাদের নেতৃত্বে এ সংগঠনটি শক্তিশালী পরিণত। আমরা বিনামূল্যে সদস্য সংগ্রহ করছি। আপনাদের কোনো চাঁদা লাগবে না। দেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। তাতে জেলা শক্তিশালী হবে, সংগঠন শক্তিশালী হবে, প্রেসিডেন্ট- সাধারণ সম্পাদক শক্তিশালী হবেন। যারা স্বর্ণের মান ঠিক রাখবেন না, যারা চোরাই স্বর্ণের ব্যবসা করবে, তাদের পাশে থাকবে না বাজুস।’

কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জয়দেব সাহা বলেন, ‘আগে যেভাবে বাজুস এগিয়েছে, এখন ভিন্নভাবে আগাচ্ছে। এখন প্রেসিডেন্ট সকল ব্যবসায়ীকে এক কাতারে আনার চেষ্টা করছেন। এতে আমাদের মার্কেট আরও সমৃদ্ধ হবে। আমরা তাঁর উদ্যোগকে গ্রহণ করে সেই প্রচেষ্টাকে সফল করার চেষ্টা করছি। এখন বাজুস সকল সদস্যকে আইডি কার্ড দিচ্ছে, মেম্বারশিপ কার্ড দিচ্ছে। এতে প্রমাণ হবে যে বাজুসের সদস্যের কাছ থেকে স্বর্ণ কিনলে প্রতারিত হবে না।’

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি সাইফুল হাসান জোয়ার্দ্দার টোকন বলেন, বাজুসের হাত ধরে এখন সম্মানজনক অবস্থায় জুয়েলারি ব্যবসা। আর এর পেছনে রয়েছেন বাজুসের সম্মানিত প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাজুস এখন শক্তিশালী। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, এ ব্যবসায় নিজেদের শত্রু নিজেরাই। নিজেদের মতভেদ ভুলে বাজুসের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করলে সব সমস্যার সমাধান হবে। যারা এখনো সদস্য হননি, তাদের সদস্য হিসেবে যোগ দিতে অনুরোধ করেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন জীবননগর উপজেলা বাজুসের সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দীন, আলমডাঙ্গা উপজেলা কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। গঠন করা হয় ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি। সেখানে আহ্বায়ক হয়েছেন জাফর আলী মল্লিক। আর সদস্যরা হলেন- ললিত কুমার দাস, আকরামুর রহমান টিপু, দিলীপ চৌধুরী ও সেলিম উদ্দীন। নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, সদস্যসচিব অ্যাড. মনোয়ার হোসেন এবং আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান জয়দেব সাহা ও সদস্য হিসেবে অ্যাড. আকসিজুল ইসলাম রতনের নাম ঘোষণা করা হয়। সভার শুরুতে আগত সকল অতিথিদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এসময় বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের শুভেচ্ছা স্মারক গ্রহণ করেন সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

এখন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বাজুসের সদস্য হয়ে গর্ববোধ করেন

আপলোড টাইম : ০৪:৩৩:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

বাজুসের হাত ধরে এখন সম্মানজনক অবস্থায় জুয়েলারি ব্যবসা : বাজুস চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি টোকন জোয়ার্দ্দার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাজুস সবসময় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের পাশে আছে। এখন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বাজুসের সদস্য হয়ে গর্ববোধ করেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তারাদেবী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক কৃতী ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা শহরের পুলিশ পার্কে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি সাইফুল হাসান জোয়ার্দ্দার টোকনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু না থাকলে যেমন দেশ স্বাধীন হতো না, তেমনি তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী না হলে স্বর্ণ নীতিমালা পাশ হতো না। আমাদের সরকারি ভ্যাট ট্যাক্স দিয়েও বৈধ ব্যবসা করার সুযোগ ছিল না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সালে সেই স্বর্ণ নীতিমালা উপহার দিয়েছেন। তারপর কর মেলা হয়েছে। বৈধ পথে প্রায় ১৪০ কেজি সোনা দেশে আমদানি হয়েছে।’

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। অবৈধ ব্যবসার চিন্তা বাদ দিতে হবে। সেই সাথে সবাইকে ভ্যাট দিতে হবে। ভ্যাট কমানোর সুযোগ নেই। সবাই যদি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় ভ্যাট ছাড়া ব্যবসা করব না, তাহলে ঘুরে দাঁড়াবে এ ব্যবসা। বাজুসের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর এক বছরে যেমন কাজ করে দেখিয়েছেন, তাতে বলাই যায় সর্ববৃহৎ সংগঠনে রূপ নিয়েছে বাজুস। স্বাধীনতার ৫০ বছরে যে কাজ কেউ করতে পারেনি, তিনি সেই কাজ এক বছরে করে দেখিয়েছেন। আমরা এমন একজন প্রেসিডেন্টকে পেয়েছি, যিনি রিফাইনারি সেক্টরে বড় বিনিয়োগ করছেন। দেশে বসুন্ধরা গ্রুপের যে রিফাইনারি হচ্ছে, তা অন্য কোনো উন্নত দেশেও নেই। তাই সামনে সুযোগ বৈধ উপায়ে ব্যবসা করার।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাজুসের সহসম্পাদক ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল অ্যান্ড মেম্বারশিপ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাজুসে আসার পর বাজুসের চেহারা বদলে গেছে। দায়িত্ব নিয়েই তিনি আমাদের ১২টি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করে দিলেন। কমিটির ওপর দায়িত্ব দিলেন সকল স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে এক ছাদের নিচে আনার। সেদিন আমি তাকে কথা দিয়েছিলাম আমরা পারব, আজ আমরা ৪০ হাজার সদস্যে পৌঁছেছি। ব্যবসায়ীরা আমাদের শক্তির উৎস। প্রেসিডেন্টের ডায়নানিজম, কৌশল, সক্ষমতা আমাদের এক বছরের সফলতা। একসময় সদস্য হতে ১০ হাজার টাকা চাঁদা লাগতো, এখন এক টাকাও লাগে না। আমরা সোনা রপ্তানির দারপ্রাপ্তে পৌঁছেছি। বৈধভাবে স্বর্ণ কিনতে হবে। এ জন্য সকলের ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট ট্যাক্সের সাথে বাজুসের মেম্বারশিপ আইডি অতীব জরুরি। বৈধভাবে ব্যবসা করার স্বার্থে মেম্বারশিপ নিতে হবে। অবৈধ কোনো কাজে বাজুস সহযোগিতা করে না। একদেশ একরেটে প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে বাজুস। প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের হাত ধরে সময় এসেছে বিদেশে স্বর্ণ রপ্তানির। আমরা এ সুযোগকে কাজে লাগাবো।’

বাজুসের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং কমিটির সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘বাজুস প্রসিডেন্ট সায়েম সোবাহন আনভীরের নির্দেশে সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নেতৃত্বে আমরা ৬৪ জেলা ঘুরছি। আমাদের উদ্দেশ্য সারাদেশে যারই স্বর্ণ-রৌপ্য আছে, তিনি বাজুস সদস্য হবেন। সকল ব্যবসায়ীর সুখ-দুঃখের সঙ্গী হবে প্রেসিডেন্ট ও সাধারণ সম্পাদক। সাধারণ সম্পাদক স্বর্ণের বৈধতা এনে দিয়েছেন। তাদের নেতৃত্বে এ সংগঠনটি শক্তিশালী পরিণত। আমরা বিনামূল্যে সদস্য সংগ্রহ করছি। আপনাদের কোনো চাঁদা লাগবে না। দেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। তাতে জেলা শক্তিশালী হবে, সংগঠন শক্তিশালী হবে, প্রেসিডেন্ট- সাধারণ সম্পাদক শক্তিশালী হবেন। যারা স্বর্ণের মান ঠিক রাখবেন না, যারা চোরাই স্বর্ণের ব্যবসা করবে, তাদের পাশে থাকবে না বাজুস।’

কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জয়দেব সাহা বলেন, ‘আগে যেভাবে বাজুস এগিয়েছে, এখন ভিন্নভাবে আগাচ্ছে। এখন প্রেসিডেন্ট সকল ব্যবসায়ীকে এক কাতারে আনার চেষ্টা করছেন। এতে আমাদের মার্কেট আরও সমৃদ্ধ হবে। আমরা তাঁর উদ্যোগকে গ্রহণ করে সেই প্রচেষ্টাকে সফল করার চেষ্টা করছি। এখন বাজুস সকল সদস্যকে আইডি কার্ড দিচ্ছে, মেম্বারশিপ কার্ড দিচ্ছে। এতে প্রমাণ হবে যে বাজুসের সদস্যের কাছ থেকে স্বর্ণ কিনলে প্রতারিত হবে না।’

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি সাইফুল হাসান জোয়ার্দ্দার টোকন বলেন, বাজুসের হাত ধরে এখন সম্মানজনক অবস্থায় জুয়েলারি ব্যবসা। আর এর পেছনে রয়েছেন বাজুসের সম্মানিত প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাজুস এখন শক্তিশালী। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, এ ব্যবসায় নিজেদের শত্রু নিজেরাই। নিজেদের মতভেদ ভুলে বাজুসের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করলে সব সমস্যার সমাধান হবে। যারা এখনো সদস্য হননি, তাদের সদস্য হিসেবে যোগ দিতে অনুরোধ করেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন জীবননগর উপজেলা বাজুসের সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দীন, আলমডাঙ্গা উপজেলা কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। গঠন করা হয় ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি। সেখানে আহ্বায়ক হয়েছেন জাফর আলী মল্লিক। আর সদস্যরা হলেন- ললিত কুমার দাস, আকরামুর রহমান টিপু, দিলীপ চৌধুরী ও সেলিম উদ্দীন। নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, সদস্যসচিব অ্যাড. মনোয়ার হোসেন এবং আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান জয়দেব সাহা ও সদস্য হিসেবে অ্যাড. আকসিজুল ইসলাম রতনের নাম ঘোষণা করা হয়। সভার শুরুতে আগত সকল অতিথিদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এসময় বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের শুভেচ্ছা স্মারক গ্রহণ করেন সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।