ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

ইউনিয়ন পরিষদে যেতে ঘুরতে হয় ৪-৫ কিলোমিটার রাস্তা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের ডাউকি পোয়ামারী প্রধান সংযোগ (মাটির) রাস্তাটি পাঁকাকরণের দাবি এলাকাবাসীর। বিশ্বায়নের এই যুগে আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের ডাউকি গ্রাম থেকে পোয়ামারি গ্রামে যাওয়ার প্রধান মাটির রাস্তাটি প্রায় দেড় কিলোমিটার এখনো পাঁকা হয়নি। যে কারণে বর্ষার সময় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় এই দুই গ্রামের মানুষের। শুকনার সময় মাটির ঢ়িলায় বিঁধে সাধারণভাবে কোনো মোটরবাইক, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, নসিমন, করিমন চলতে পারে না। রোগী ও বৃদ্ধদের চলাফেরা একেবারেই অসম্ভব। অথচ এই রাস্তাটি ইউনিয়নের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডকে সংযুক্ত করেছে।

পোয়ামারী গ্রামের বাসিন্দা ঝণ্টু জানান, তাদেরকে নিজ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে যেতে হলে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন বেলগাছি ঘুরে প্রায় ৪-৫ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে যেতে হয়। গ্রামবাসীদের পার্শ্ববর্তী জামজামি ও পাঁচলিয়া বাজারে, এমনকি উপজেলা শহর আলমডাঙ্গাতে যাওয়ার জন্যেও অতিরিক্ত ৪-৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরতে হয়। ডাউকি গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ সেতাব উদ্দিন জানান, ডাউকি গ্রাম ১ নম্বর ওয়ার্ড এবং পোয়ামারি ২ নম্বর ওয়ার্ড হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে ডাউকি থেকে পোয়ামারী যাওয়ার জন্য বেলগাছি গ্রাম ঘুরে যেতে হয়। তিনি আরও জানান, বিগত দিনের চেয়ারম্যানরা রাস্তাটি পাঁকাকরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও এ রাস্তাটি আজও পাঁকা করা হয়নি। গ্রামবাসী এই সীমাহীন দুর্ভোগের সমাধান পেতে চায় এবং তারা অতিসত্বর রাস্তাটি পাঁকাকরণের দাবি করেন।

এ বিষয়ে ডাউকি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে এই একটি মাত্র রাস্তা পাঁকা হতে বাকি আছে। অতিসত্বর এই রাস্তা পাঁকাকরণের কাজে হাত দেওয়া হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ইউনিয়ন পরিষদে যেতে ঘুরতে হয় ৪-৫ কিলোমিটার রাস্তা

আপলোড টাইম : ০৭:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের ডাউকি পোয়ামারী প্রধান সংযোগ (মাটির) রাস্তাটি পাঁকাকরণের দাবি এলাকাবাসীর। বিশ্বায়নের এই যুগে আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের ডাউকি গ্রাম থেকে পোয়ামারি গ্রামে যাওয়ার প্রধান মাটির রাস্তাটি প্রায় দেড় কিলোমিটার এখনো পাঁকা হয়নি। যে কারণে বর্ষার সময় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় এই দুই গ্রামের মানুষের। শুকনার সময় মাটির ঢ়িলায় বিঁধে সাধারণভাবে কোনো মোটরবাইক, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, নসিমন, করিমন চলতে পারে না। রোগী ও বৃদ্ধদের চলাফেরা একেবারেই অসম্ভব। অথচ এই রাস্তাটি ইউনিয়নের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডকে সংযুক্ত করেছে।

পোয়ামারী গ্রামের বাসিন্দা ঝণ্টু জানান, তাদেরকে নিজ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে যেতে হলে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন বেলগাছি ঘুরে প্রায় ৪-৫ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে যেতে হয়। গ্রামবাসীদের পার্শ্ববর্তী জামজামি ও পাঁচলিয়া বাজারে, এমনকি উপজেলা শহর আলমডাঙ্গাতে যাওয়ার জন্যেও অতিরিক্ত ৪-৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরতে হয়। ডাউকি গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ সেতাব উদ্দিন জানান, ডাউকি গ্রাম ১ নম্বর ওয়ার্ড এবং পোয়ামারি ২ নম্বর ওয়ার্ড হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে ডাউকি থেকে পোয়ামারী যাওয়ার জন্য বেলগাছি গ্রাম ঘুরে যেতে হয়। তিনি আরও জানান, বিগত দিনের চেয়ারম্যানরা রাস্তাটি পাঁকাকরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও এ রাস্তাটি আজও পাঁকা করা হয়নি। গ্রামবাসী এই সীমাহীন দুর্ভোগের সমাধান পেতে চায় এবং তারা অতিসত্বর রাস্তাটি পাঁকাকরণের দাবি করেন।

এ বিষয়ে ডাউকি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে এই একটি মাত্র রাস্তা পাঁকা হতে বাকি আছে। অতিসত্বর এই রাস্তা পাঁকাকরণের কাজে হাত দেওয়া হবে।’