ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গায় নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি

আলমডাঙ্গা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের হাড়গাড়ী গ্রামের পাশে কুষ্টিয়া মীরপুর উপজেলার বাজিতপুর-আলমডাঙ্গা ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় জনজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার মীরপুর উপজেলার শেষ শীমান্ত সুকচা-বাজিতপুর গ্রামসহ প্রায় ১০-১৫টি গ্রামের মানুষ এই ব্রিজ দিয়ে পারাপার করে থাকে। তাদের চলাচলের একমাত্র ব্রিজটি বর্তমানে হুমকির মুখে। ওই অঞ্চলের মানুষের উৎপাদিত ফসল আলমডাঙ্গা বাজারে বিক্রয় করে কৃষকরা। ওই সব গ্রামের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করতে আলমডাঙ্গা বাজারের বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া করছে।

এর কারণ জানতে চাইলে বাজিতপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জেত আলী মিস্ত্রি, হাড়গাড়ির সোহাগ আলী ও মাহবুবুল মেম্বার বলেন, ‘আমাদের সুকচা, বাজিতপুর গ্রাম থেকে মীরপুর অথবা আমলা সদরপুর প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। যে কারণে তারা আলমডাঙ্গামুখী হতে বাধ্য হয়।’

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, ব্রিজটি এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। তখন শুধুমাত্র মানুষ চলাচল করার উপযোগী করে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলেন, প্রায় ২০-২৫ বছর আগে ব্রিজটি মানুষ চলাচলের উপযোগী করে বানানো হলেও অত্র অঞ্চলের মানুষ তাদের উৎপাদিত ফসল আলমডাঙ্গা বাজারে বিক্রয় করে থাকে। যে কারণে ব্রিজটি অল্প সময়ে ১০-১৫ বছরের মধ্যে ভাঙতে ভাঙতে বর্তমানে প্রায় অনেকটাই ভেঙে পড়েছে।

এলাকাবাসী জানান, নতুন করে ব্রিজটি চওড়া করে নির্মাণ করা হলে গাড়ি ও মানুষ চলাচলের জন্য ফুটপাত তৈরি করা হলে আলমডাঙ্গার ও মীরপুরের মধ্যে নতুন সংযোগ স্থাপনে নতুন দীগন্তের সূচনা হবে। এলাকার ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা ও বাজার-হাট করাসহ ফসল বিক্রয়সহ আলমডাঙ্গার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। সব কিছুতেই প্রাণ ফিরে পাবে

এলাকাবাসীর দাবি, অতিদ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ করে অত্র অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। এই ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণ করার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গায় নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি

আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১

আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের হাড়গাড়ী গ্রামের পাশে কুষ্টিয়া মীরপুর উপজেলার বাজিতপুর-আলমডাঙ্গা ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় জনজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার মীরপুর উপজেলার শেষ শীমান্ত সুকচা-বাজিতপুর গ্রামসহ প্রায় ১০-১৫টি গ্রামের মানুষ এই ব্রিজ দিয়ে পারাপার করে থাকে। তাদের চলাচলের একমাত্র ব্রিজটি বর্তমানে হুমকির মুখে। ওই অঞ্চলের মানুষের উৎপাদিত ফসল আলমডাঙ্গা বাজারে বিক্রয় করে কৃষকরা। ওই সব গ্রামের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করতে আলমডাঙ্গা বাজারের বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া করছে।

এর কারণ জানতে চাইলে বাজিতপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জেত আলী মিস্ত্রি, হাড়গাড়ির সোহাগ আলী ও মাহবুবুল মেম্বার বলেন, ‘আমাদের সুকচা, বাজিতপুর গ্রাম থেকে মীরপুর অথবা আমলা সদরপুর প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। যে কারণে তারা আলমডাঙ্গামুখী হতে বাধ্য হয়।’

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, ব্রিজটি এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। তখন শুধুমাত্র মানুষ চলাচল করার উপযোগী করে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলেন, প্রায় ২০-২৫ বছর আগে ব্রিজটি মানুষ চলাচলের উপযোগী করে বানানো হলেও অত্র অঞ্চলের মানুষ তাদের উৎপাদিত ফসল আলমডাঙ্গা বাজারে বিক্রয় করে থাকে। যে কারণে ব্রিজটি অল্প সময়ে ১০-১৫ বছরের মধ্যে ভাঙতে ভাঙতে বর্তমানে প্রায় অনেকটাই ভেঙে পড়েছে।

এলাকাবাসী জানান, নতুন করে ব্রিজটি চওড়া করে নির্মাণ করা হলে গাড়ি ও মানুষ চলাচলের জন্য ফুটপাত তৈরি করা হলে আলমডাঙ্গার ও মীরপুরের মধ্যে নতুন সংযোগ স্থাপনে নতুন দীগন্তের সূচনা হবে। এলাকার ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা ও বাজার-হাট করাসহ ফসল বিক্রয়সহ আলমডাঙ্গার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। সব কিছুতেই প্রাণ ফিরে পাবে

এলাকাবাসীর দাবি, অতিদ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ করে অত্র অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। এই ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণ করার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।