ইপেপার । আজ শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গার অপরাধ জগতের ডনকে ধরতে ঢাকায় পুলিশের অভিযান

আলমডাঙ্গা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:১৩:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০২২
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গার অপরাধ জগতের ডন হিসেবে পরিচিত হত্যাসহ হাফ ডজন মামলার আসামি সুমন ওরফে ফজাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত ফজা আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার নওদা বন্ডবিলের মণ্টুর ছেলে।

        জানা যায়, আলমডাঙ্গার অপরাধ জগতের লাগাম টানতে সম্প্রতি আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। সাম্প্রতিক কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনার পর থেকে এর অন্তরালের ডনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মরিয়া হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সুমন ওরফে ফজাকে গ্রেপ্তার করে। ডিবির সহযোগিতায় এসআই আমিনুরের নেতৃত্বে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে গ্রেপ্তার করে।  গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, কুখ্যাত অপরাধী ফজার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যাসহ হাফ ডজন মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।

থানা সূত্রে জানা জয়ায়, ২০২০ সালের একটি হত্যা মামলা, ২০১৮ সালের বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা, ২০১৬ সালে পিটিয়ে জখম করে ছিনতাই মামলা, ২০১৯ সালের মারামারি মামলা, ২০২১ সালের পিটিয়ে জখম করে ছিনতাই, ২০১৯ সালে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি চুরি মামলাসহ কমপক্ষে হাফ ডজন মামলার আসামি তিনি।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া অঞ্চলের এক সময়ের কিশোর গ্যাং গ্রুপের অন্যতম নেতা ছিলেন আলমডাঙ্গার নওদা বন্ডবিলের সুমন ওরফে ফজা। চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া অঞ্চলে এক সময়ের কিশোর গ্যাং গ্রুপের তা-ব ছিল সীমাহীন। এই গ্রুপের শীর্ষ নেতা ছিল আলমডাঙ্গার নিহত ইমরান। তার অন্যতম সহযোগী ছিল তমাল ও ফজা। ইমরান নিহত হওয়ার পর এ কিশোর গ্যাং গ্রুপ খেই হারিয়ে ফেলে। এমন পরিস্থিতিতে তমালও নিজ এলাকা গোপালগঞ্জে ফিরে গেলে এ গ্যাং গ্রুপ আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। কয়েক বছর তাদের তৎপরতা থেমে যায়। তারপর ফজা নিজের উদ্যোগে আবারও এ গ্রুপটিকে পুনর্জীবিত করতে চেষ্টা করছিলেন। কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সে এলাকায় নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। ঢাকায় বসে তিনি কয়েক বছর ধরে আলমডাঙ্গার অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ও আলমডাঙ্গা থানায় হাফ ডজন মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে তিনি ঢাকায় পলাতক ছিলেন। ইতঃপূর্বেও ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় ফজা নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার এসআই কামরুল ইসলাম ও এএসআই মহানন্দ রায় নওদাবন্ডবিল এলাকায অভিযান চালিয়ে ফজাকে গ্রেপ্তার করে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গার অপরাধ জগতের ডনকে ধরতে ঢাকায় পুলিশের অভিযান

আপলোড টাইম : ১০:১৩:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০২২

আলমডাঙ্গার অপরাধ জগতের ডন হিসেবে পরিচিত হত্যাসহ হাফ ডজন মামলার আসামি সুমন ওরফে ফজাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত ফজা আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার নওদা বন্ডবিলের মণ্টুর ছেলে।

        জানা যায়, আলমডাঙ্গার অপরাধ জগতের লাগাম টানতে সম্প্রতি আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। সাম্প্রতিক কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনার পর থেকে এর অন্তরালের ডনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মরিয়া হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সুমন ওরফে ফজাকে গ্রেপ্তার করে। ডিবির সহযোগিতায় এসআই আমিনুরের নেতৃত্বে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে গ্রেপ্তার করে।  গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, কুখ্যাত অপরাধী ফজার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যাসহ হাফ ডজন মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।

থানা সূত্রে জানা জয়ায়, ২০২০ সালের একটি হত্যা মামলা, ২০১৮ সালের বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা, ২০১৬ সালে পিটিয়ে জখম করে ছিনতাই মামলা, ২০১৯ সালের মারামারি মামলা, ২০২১ সালের পিটিয়ে জখম করে ছিনতাই, ২০১৯ সালে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি চুরি মামলাসহ কমপক্ষে হাফ ডজন মামলার আসামি তিনি।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া অঞ্চলের এক সময়ের কিশোর গ্যাং গ্রুপের অন্যতম নেতা ছিলেন আলমডাঙ্গার নওদা বন্ডবিলের সুমন ওরফে ফজা। চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া অঞ্চলে এক সময়ের কিশোর গ্যাং গ্রুপের তা-ব ছিল সীমাহীন। এই গ্রুপের শীর্ষ নেতা ছিল আলমডাঙ্গার নিহত ইমরান। তার অন্যতম সহযোগী ছিল তমাল ও ফজা। ইমরান নিহত হওয়ার পর এ কিশোর গ্যাং গ্রুপ খেই হারিয়ে ফেলে। এমন পরিস্থিতিতে তমালও নিজ এলাকা গোপালগঞ্জে ফিরে গেলে এ গ্যাং গ্রুপ আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। কয়েক বছর তাদের তৎপরতা থেমে যায়। তারপর ফজা নিজের উদ্যোগে আবারও এ গ্রুপটিকে পুনর্জীবিত করতে চেষ্টা করছিলেন। কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সে এলাকায় নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। ঢাকায় বসে তিনি কয়েক বছর ধরে আলমডাঙ্গার অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ও আলমডাঙ্গা থানায় হাফ ডজন মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে তিনি ঢাকায় পলাতক ছিলেন। ইতঃপূর্বেও ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় ফজা নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার এসআই কামরুল ইসলাম ও এএসআই মহানন্দ রায় নওদাবন্ডবিল এলাকায অভিযান চালিয়ে ফজাকে গ্রেপ্তার করে।