আলমডাঙ্গায় জেলা কৃষক লীগ নেত্রী সামসাদ রানু ওরফে রাঙ্গা ভাবীর নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলা শহরের আল-তায়েবা মোড়ে সামসাদ রানুর নানা অপকর্ম তুলে ধরে এ মানববন্ধন করে আলমডাঙ্গা সর্বস্তরের মানুষ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সামসাদ রানু এরশাদপুরে তার নিজ বাড়িতে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি করা তার নিত্যকর্মে পরিণত হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে মিথ্যা মামলার শিকার হতে হয়েছে। থানা পুলিশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে তিনি নির্ভয়ে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা চালিয়ে গেছেন। এক সময়ে নিজে পতিতাবৃত্তি করতেন, এখন বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের ফাঁসিয়ে দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে নেন। তার অপকর্মে এলাকার পরিবেশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উঠতি প্রজন্মের কিশোর-যুবকরাও তার ফাঁদে পড়ছে।

বক্তারা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় রাঙা ভাবী নামক সমাজের ক্ষতিকর এই নারীর বিরুদ্ধে আমরা মুখ খুলতে সাহস করেছি। অন্যথায় আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ বাঁচানো সম্ভব নয়। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন দেহ ব্যবসায়ীসহ তাকে আটক করা হয়। কিন্তু এতেও তার অত্যাচার কমেনি। মহিলা আওয়ামী লীগের দোসর সামসাদ রানু সাংবাদিকদের সামনে এলাকাবাসীর কাছে মাপ চেয়ে নিজেকে শুধরে নেওয়ার সুযোগ চেয়ে কাকুতি-মিনতি করে। পরে এলাকাবাসী তাকে শুধরে নেওয়ার সুযোগ দেয়। কিন্তু এক দিনেই রাঙ্গা ভাবী নিজের চেহারায় ফিরে এসে এলাকাবাসীর মামলার ভয় দেখাতে শুরু করেছেন। সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সাংবাদিকদের নামেও বিভিন্ন স্থানে মামলাসহ মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তাকে এই মুহূর্তে রুখে দেওয়া দরকার।

বক্তারা বলেন, ‘আমরা রাঙ্গা ভাবীর হাত থেকে রক্ষা পেতে ও তার উপযুক্ত শাস্তির জন্য প্রশাসনের পদক্ষেপ দাবি করছি।’ এসময় বক্তারা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘প্রশাসন ব্যর্থ হলে এলাকাবাসী আইন হাতে তুলে নিতে দ্বিধা করবে না।’

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রশিদ মালিথা, চান্দালি, গোলাম মোস্তফা, মণ্টু আলী, খন্দকার আব্দুর কাদের, আওয়াল কবীর, আক্তারুজ্জামান লুলু, বিল্লাল হোসেন, মন্নি শাহ, বিপ্লব হোসেন, শাকিব হাসান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাইরাস মেহেধী লাবলু, শোভন আলী, ইমরান হোসেন, ঝণ্টু আলী, মিলন হোসেন, আরিফুল ইসলাম, জাইদুল ইসলামসহ স্থানীয় শত শত গ্রামবাসী।