ইপেপার । আজ শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

আলমডাঙ্গায় মুখ বাধা অবস্থায় কৃষক উদ্ধার!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৫:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:

আলমডাঙ্গায় জমি-জমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে রাতের আধারে মুখ বেধে তুলে নিয়ে গিয়ে আব্দুল বারিক নামের কৃষককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পরে আলমডাঙ্গার রোয়াকুলি মাঠের মধ্যে থেকে মুখ বাধা ও আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আব্দুল বারিক উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের মহৎ আলীর ছেলে। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এবিষয়ে আহত আব্দুল বারিকের ভাস্তে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আজ (গতকাল) সকালে আমার চাচার সাথে জমি-জমা নিয়ে পাশের বাড়ির একজনের বিরোধ হয়। আমার চাচা একজন কৃষক মানুষ। সে তার খেতের তামাক জ্বালানোর কাজ করছিল বাড়ির পাশে। তামাক ঘরে খড়ি শেষ হয়ে যাওয়ায় আমার চাচা খড়ি আনতে বসতবাড়ির পিছনে যায়। তারপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক সময় পর রোয়াকুলি থেকে ফোন আসে আমার চাচাকে কে বা কারা মেরে রোয়াকুলি মাঠে ফেলে রেখেছে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত সেখানে পৌঁছায়। পৌঁছে দেখি আমার চাচা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে, স্থানীয় মানুষ মাথায় পানি ঢালছে। আমরা সেখান থেকে আমার চাচাকে উদ্ধার করি ও চিকিৎসার জন্য হারদী হাসপাতালে নিয়েছি।’

এবিষয়ে আহত আব্দুল বারিক বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন আগে আমার বসতবাড়ির সাথে এক কাঠা জমি কেনার টাকা দিয়েছি মৃত জহিরুদ্দিনের ছেলে মুনজিল মালিথাকে। কিন্তু সে আমার জমি দখল দিলেও রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছিল না। এ বিষয়ে আমার সাথে আজ সকালে মুনজিলের কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা থেকেই আমি আমার তামাক পোড়ানোর কাজ করছিলাম। তামাক পোড়ানোর খড়ি শেষ হয়ে গেলে আমি ভ্যান নিয়ে খড়ি আনতে বাড়ি থেকে একটু দূরে যায়। হঠাৎ কয়েকজন মুখ বাধা লোক আমাকে পাজা করে ধরে মুখ বেধে ফেলে এবং তুলে নিয়ে গিয়ে মাঠের ভেতর নিয়ে ফেলে দেয়। সেখানে আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মারতে থাকে। আমার মুখ বাধা থাকায় আমি চিৎকার করার চেষ্টা করেও করতে পারিনি। পরে আমাকে মারধর করে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। এসময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরলে দেখি আমার মাথায় রোয়াকুলির কিছু মানুষ পানি ঢালছে। তারপর তারা আমাকে চিনতে পেরে আমার বাড়িতে খবর দেয়। তখন আমার বাড়ির লোকেরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’ আহত আব্দুল বারিক বলেন, আমি কাল (আজ) এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করব।

আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (হারদী) দায়িত্বে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক আল-আমিন বলেন, রাতে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার পরিবারের লোকজন। তাঁকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।’

এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমার জানা নেই। এমন কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত আমার থানায় আসেনি। যদি কোনো অভিযোগ পাই, তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গায় মুখ বাধা অবস্থায় কৃষক উদ্ধার!

আপলোড টাইম : ১০:০৫:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:

আলমডাঙ্গায় জমি-জমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে রাতের আধারে মুখ বেধে তুলে নিয়ে গিয়ে আব্দুল বারিক নামের কৃষককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পরে আলমডাঙ্গার রোয়াকুলি মাঠের মধ্যে থেকে মুখ বাধা ও আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আব্দুল বারিক উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের মহৎ আলীর ছেলে। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এবিষয়ে আহত আব্দুল বারিকের ভাস্তে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আজ (গতকাল) সকালে আমার চাচার সাথে জমি-জমা নিয়ে পাশের বাড়ির একজনের বিরোধ হয়। আমার চাচা একজন কৃষক মানুষ। সে তার খেতের তামাক জ্বালানোর কাজ করছিল বাড়ির পাশে। তামাক ঘরে খড়ি শেষ হয়ে যাওয়ায় আমার চাচা খড়ি আনতে বসতবাড়ির পিছনে যায়। তারপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক সময় পর রোয়াকুলি থেকে ফোন আসে আমার চাচাকে কে বা কারা মেরে রোয়াকুলি মাঠে ফেলে রেখেছে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত সেখানে পৌঁছায়। পৌঁছে দেখি আমার চাচা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে, স্থানীয় মানুষ মাথায় পানি ঢালছে। আমরা সেখান থেকে আমার চাচাকে উদ্ধার করি ও চিকিৎসার জন্য হারদী হাসপাতালে নিয়েছি।’

এবিষয়ে আহত আব্দুল বারিক বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন আগে আমার বসতবাড়ির সাথে এক কাঠা জমি কেনার টাকা দিয়েছি মৃত জহিরুদ্দিনের ছেলে মুনজিল মালিথাকে। কিন্তু সে আমার জমি দখল দিলেও রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছিল না। এ বিষয়ে আমার সাথে আজ সকালে মুনজিলের কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা থেকেই আমি আমার তামাক পোড়ানোর কাজ করছিলাম। তামাক পোড়ানোর খড়ি শেষ হয়ে গেলে আমি ভ্যান নিয়ে খড়ি আনতে বাড়ি থেকে একটু দূরে যায়। হঠাৎ কয়েকজন মুখ বাধা লোক আমাকে পাজা করে ধরে মুখ বেধে ফেলে এবং তুলে নিয়ে গিয়ে মাঠের ভেতর নিয়ে ফেলে দেয়। সেখানে আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মারতে থাকে। আমার মুখ বাধা থাকায় আমি চিৎকার করার চেষ্টা করেও করতে পারিনি। পরে আমাকে মারধর করে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। এসময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরলে দেখি আমার মাথায় রোয়াকুলির কিছু মানুষ পানি ঢালছে। তারপর তারা আমাকে চিনতে পেরে আমার বাড়িতে খবর দেয়। তখন আমার বাড়ির লোকেরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’ আহত আব্দুল বারিক বলেন, আমি কাল (আজ) এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করব।

আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (হারদী) দায়িত্বে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক আল-আমিন বলেন, রাতে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার পরিবারের লোকজন। তাঁকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।’

এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমার জানা নেই। এমন কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত আমার থানায় আসেনি। যদি কোনো অভিযোগ পাই, তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’