ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় কৃষকের ধান কেটে দিল যুবলীগ ও ছাত্রলীগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক স্থানে কৃষকের ধান কেটে সহায়তা করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সদর উপজেলার নেহালপুরে ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়ি এবং মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের গাইদঘাট মাঠে কৃষকের ধান কেটে সহায়তা করেন।
যুবলীগের কর্মসূচি:
চুয়াডাঙ্গায় যুবলীগের উদ্যোগে অসহায় ও হতদরিদ্র এক কৃষকের দুই বিঘা জমির ধান কেটে সহায়তা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামের কৃষক সজিব সর্দারের দুই বিঘা জমির ধান কেটে দেয় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা এ কার্যক্রমে অংশ নেন।
ধান কাটা শেষে নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হাসান খান নিখিলের আহ্বানে সারাদেশে কৃষকের ধান কেটে সহায়তা করছে যুবলীগ। এরই অংশ হিসেবে আমরা চুয়াডাঙ্গায় হতদরিদ্র কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া শুরু করেছি। আজ (গতকাল) প্রথম দিনেই নেহালপুর গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক সজিব সর্দারের দুই বিঘা জমির ধান কেটে দেওয়া হয়েছে। ধান কাটা মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অসহায় কৃষকের পাশে থাকবে।’
কৃষক সজিব সর্দার বলেন, ‘ধান পেকে গেলেও টাকা ও শ্রমিকের অভাবে আমার দুই বিঘা জমির ধান কাটতে পারছিলাম না। ঝড় ও বৃষ্টির কারণে ধান নষ্ট হওয়া নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। এরই মধ্যে আজ (গতকাল) যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আমার বাড়িতে আসেন এবং ধান কেটে দেওয়ার জন্য আমার সঙ্গে মাঠে আসে। অনেক যত্ন নিয়ে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আমার জমির ধান কেটে দিয়েছে। আমার এই উপকারের কথা কখনও ভুলব না। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
ধানকাটা কার্যক্রমে অংশ নেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সদস্য জুবায়ের আহমেদ সাব্বির, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য আজাদ আলী, সাজেদুল ইসলাম লাভলু, যুবলীগ নেতা মাসুদুর রহমান মাসুম, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রামীম হোসেন সৈকত, পদ্মবিলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হুমায়ন কবির বনফুল, সহসভাপতি বিপ্লব হোসেন, মো. সলোক, সাধারণ সম্পাদক জাণ্টু, যুগ্ম সম্পাদক সুমন মেম্বার, পদ্মবিলা ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি বাবর আলী, সাধারণ সম্পাদক খোকন, ৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মংলা মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল, ৪ নম্বর ওয়ার্ড সহ-সভাপতি মঞ্জুর আলী, সাধারণ স্মপাদক মামুন, ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ইচানুল শেক, সাধারণ সম্পাদক শরিফ হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান। এছাড়াও মোমিন, খোকন, মামুন, আঙ্গুর, সাহেদুল, টোকন, রাকিব, আহসান, বসির, নয়ন প্রমুখ।

ছাত্রলীগের কর্মসূচি:
বাম্পার ফলন হলেও অর্থ ও শ্রমিক সংকটে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক। তাই কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন জেলায় ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তারই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গায় কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল শনিবার ও আগেরদিন শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বুজরুকগড়গড়ি ও গাইদঘাট গ্রামের মাঠে চার বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমদাদুল হক সজল এ ধানকাটা কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বনানীপাড়ার কৃষক রেজাউল মিয়া বলেন, ‘অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে ধান কাটার সময় হলেও তা কাটতে পারছিলাম না। এর মধ্যে আবার কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আমি ভীষণ চিন্তায় ছিলাম। পরে ছাত্রলীগের ছেলেরা খোঁজ পেয়ে এসে আমার জমির ধানগুলো কেটে দিয়েছে। এতে আমার অনেক উপকার হলো। তাদের এই কাজে ভীষণ খুশি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানাই।’
বুদ্ধিমানপাড়া এলাকার চাষী আলিহীম ফকির বলেন, ‘অর্থ সংকটে আমার দুই বিঘা ধান কাটতে পারছিলাম না। ছাত্রলীগের সজল ভাই তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে এসে আমার জমির ধান কেটে দিয়েছে। রেজাউল ভাইয়ের দুই বিঘা জমির ধানও তারা কেটে দিয়েছে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

ধান কাটা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ কর্মী আরফিন সজীব বলেন, ‘ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ আমরা সজল ভাইয়ের নেতৃত্বে ধান কেটে কৃষকের ঘুরে তুলে দিচ্ছি। আগামীতেও আমরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকব, ইনশাআল্লাহ।’ চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী ইমদাদুল হক সজল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানের পর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই ধানকাটা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে অসহায় কৃষকের ধান কাটতে নির্দেশ দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই ধানকাটা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ধানকাটা কার্যক্রম চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে চলমান থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে এই ধানকাটা কার্যক্রম শুরু করে দুপুর পর্যন্ত দুই বিঘা জমির ধান কেটেছি। শুক্রবারও নেতা-কর্মীদের নিয়ে দুই বিঘা জমির ধান কেটেছি। গরিব ও অসহায় চাষীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই তাদের ধান জমির ধান আমরা কেটে দেব।’ ধানকাটা কার্যক্রমে অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সুমন, নাসিম, রাইসুল ইসলাম, ইউসুফ, লিখন, সাব্বির, তৌকি, অংকন, অনিক, আল-মামুন, রোমেল প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় কৃষকের ধান কেটে দিল যুবলীগ ও ছাত্রলীগ

আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক স্থানে কৃষকের ধান কেটে সহায়তা করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সদর উপজেলার নেহালপুরে ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়ি এবং মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের গাইদঘাট মাঠে কৃষকের ধান কেটে সহায়তা করেন।
যুবলীগের কর্মসূচি:
চুয়াডাঙ্গায় যুবলীগের উদ্যোগে অসহায় ও হতদরিদ্র এক কৃষকের দুই বিঘা জমির ধান কেটে সহায়তা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামের কৃষক সজিব সর্দারের দুই বিঘা জমির ধান কেটে দেয় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা এ কার্যক্রমে অংশ নেন।
ধান কাটা শেষে নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হাসান খান নিখিলের আহ্বানে সারাদেশে কৃষকের ধান কেটে সহায়তা করছে যুবলীগ। এরই অংশ হিসেবে আমরা চুয়াডাঙ্গায় হতদরিদ্র কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া শুরু করেছি। আজ (গতকাল) প্রথম দিনেই নেহালপুর গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক সজিব সর্দারের দুই বিঘা জমির ধান কেটে দেওয়া হয়েছে। ধান কাটা মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অসহায় কৃষকের পাশে থাকবে।’
কৃষক সজিব সর্দার বলেন, ‘ধান পেকে গেলেও টাকা ও শ্রমিকের অভাবে আমার দুই বিঘা জমির ধান কাটতে পারছিলাম না। ঝড় ও বৃষ্টির কারণে ধান নষ্ট হওয়া নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। এরই মধ্যে আজ (গতকাল) যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আমার বাড়িতে আসেন এবং ধান কেটে দেওয়ার জন্য আমার সঙ্গে মাঠে আসে। অনেক যত্ন নিয়ে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আমার জমির ধান কেটে দিয়েছে। আমার এই উপকারের কথা কখনও ভুলব না। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
ধানকাটা কার্যক্রমে অংশ নেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সদস্য জুবায়ের আহমেদ সাব্বির, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য আজাদ আলী, সাজেদুল ইসলাম লাভলু, যুবলীগ নেতা মাসুদুর রহমান মাসুম, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রামীম হোসেন সৈকত, পদ্মবিলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হুমায়ন কবির বনফুল, সহসভাপতি বিপ্লব হোসেন, মো. সলোক, সাধারণ সম্পাদক জাণ্টু, যুগ্ম সম্পাদক সুমন মেম্বার, পদ্মবিলা ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি বাবর আলী, সাধারণ সম্পাদক খোকন, ৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মংলা মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল, ৪ নম্বর ওয়ার্ড সহ-সভাপতি মঞ্জুর আলী, সাধারণ স্মপাদক মামুন, ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ইচানুল শেক, সাধারণ সম্পাদক শরিফ হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান। এছাড়াও মোমিন, খোকন, মামুন, আঙ্গুর, সাহেদুল, টোকন, রাকিব, আহসান, বসির, নয়ন প্রমুখ।

ছাত্রলীগের কর্মসূচি:
বাম্পার ফলন হলেও অর্থ ও শ্রমিক সংকটে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক। তাই কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন জেলায় ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তারই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গায় কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল শনিবার ও আগেরদিন শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বুজরুকগড়গড়ি ও গাইদঘাট গ্রামের মাঠে চার বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমদাদুল হক সজল এ ধানকাটা কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বনানীপাড়ার কৃষক রেজাউল মিয়া বলেন, ‘অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে ধান কাটার সময় হলেও তা কাটতে পারছিলাম না। এর মধ্যে আবার কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আমি ভীষণ চিন্তায় ছিলাম। পরে ছাত্রলীগের ছেলেরা খোঁজ পেয়ে এসে আমার জমির ধানগুলো কেটে দিয়েছে। এতে আমার অনেক উপকার হলো। তাদের এই কাজে ভীষণ খুশি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানাই।’
বুদ্ধিমানপাড়া এলাকার চাষী আলিহীম ফকির বলেন, ‘অর্থ সংকটে আমার দুই বিঘা ধান কাটতে পারছিলাম না। ছাত্রলীগের সজল ভাই তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে এসে আমার জমির ধান কেটে দিয়েছে। রেজাউল ভাইয়ের দুই বিঘা জমির ধানও তারা কেটে দিয়েছে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

ধান কাটা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ কর্মী আরফিন সজীব বলেন, ‘ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ আমরা সজল ভাইয়ের নেতৃত্বে ধান কেটে কৃষকের ঘুরে তুলে দিচ্ছি। আগামীতেও আমরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকব, ইনশাআল্লাহ।’ চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী ইমদাদুল হক সজল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানের পর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই ধানকাটা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে অসহায় কৃষকের ধান কাটতে নির্দেশ দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই ধানকাটা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ধানকাটা কার্যক্রম চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে চলমান থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে এই ধানকাটা কার্যক্রম শুরু করে দুপুর পর্যন্ত দুই বিঘা জমির ধান কেটেছি। শুক্রবারও নেতা-কর্মীদের নিয়ে দুই বিঘা জমির ধান কেটেছি। গরিব ও অসহায় চাষীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই তাদের ধান জমির ধান আমরা কেটে দেব।’ ধানকাটা কার্যক্রমে অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সুমন, নাসিম, রাইসুল ইসলাম, ইউসুফ, লিখন, সাব্বির, তৌকি, অংকন, অনিক, আল-মামুন, রোমেল প্রমুখ।