ইপেপার । আজশনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা সদরে ভোটার থাকলেও আলমডাঙ্গার কেন্দ্রগুলোতে সুনসান নীরবতা

ভোটে আগ্রহ নেই মানুষের, কর্মকর্তাদের অলস সময়!

সমীকরণ প্রতিবেদন:
  • আপলোড টাইম : ১১:১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে

কোনো ধরনের সংঘাত ও সহিংসতা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এদিন ভোটার উপস্থিতি ও আগ্রহ দুটোই কম লক্ষ্য করা গেছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়লেও ভিন্ন চিত্র ছিল আলমডাঙ্গায়। সেখানে অনেকটাই সুনসান নীরবতায় হয়েছে ভোট গ্রহণ। তবে সরব ছিলেন দুই উপজেলারই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। তারা কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নিয়ে ছিলেন।

সাধারণ ভোটারদের দাবি, পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে নির্বাচন বা ভোট নিয়ে তারা আগ্রহ হারিয়েছেন। অনেকে আবার বলছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপিসহ অন্যান্য বৃহৎ রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ায় তাদের সমর্থকদের মধ্যে ভোট নিয়ে যেমন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি, তেমনি ভোটারদের মধ্যে খুব একটা সাড়া ছিল না।

এই দুই উপজেলায় নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও ভোটারের উপস্থিতি খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সদরে কিছুটা ভোটার উপস্থিতি বাড়লেও, আলমডাঙ্গায় উপস্থিতি ছিল নগন্য। অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রেই ভোটারের লাইন চোখে পড়েনি। ভোট গ্রহণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বসে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। সড়কেও ছিল না তেমন সাধারণ মানুষের যাতায়াত বা আনাগোনা।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা ভি জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ১০টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টায় মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পোল হয়। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ভোটকেন্দ্রে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৯ শতাংশ ও ভোট গ্রহণ শেষ পর্যন্ত ১৭ শতাংশ ভোট পোল হয়েছে। কালুপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোট পোল হয়েছে ৫৬ শতাংশ।

তবে এর বিপরীত চিত্র ছিল আলমডাঙ্গা উপজেলায়। আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩ শতাংশ ও ভোট গ্রহণ শেষ পর্যন্ত মোট ২১ শতাংশ ভোট পোল হয়েছে। ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল ১৬ শতাংশ। রোয়াকুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১ শতাংশ ও নান্দবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোট পোল হয়েছে ১৯ শতাংশ।

আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় এক তরুণ ভোটার বলেন, ‘আমি ঢাকায় থাকি। জীবনের এই প্রথম ভোট দিয়েছি। মনে করেছিলাম সময় লাগবে। লোকজন খুব বেশি ছিল না, আসামাত্র ভোট দিতে পেরেছি। দুই মিনিটও সময়ও লাগেনি।’ আরেক এক নারী ভোটার জানান, ‘দীর্ঘ লাইন থাকবে ভেবে বাড়ির কাজ-কর্ম গুছিয়ে ভোট দিতে এসেছি। এখন দেখছি কেন্দ্র একদম ফাঁকা, কেউই নেই। আসলাম আর ভোট দিয়ে চলে গেলাম।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গা সদরে ভোটার থাকলেও আলমডাঙ্গার কেন্দ্রগুলোতে সুনসান নীরবতা

ভোটে আগ্রহ নেই মানুষের, কর্মকর্তাদের অলস সময়!

আপলোড টাইম : ১১:১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

কোনো ধরনের সংঘাত ও সহিংসতা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এদিন ভোটার উপস্থিতি ও আগ্রহ দুটোই কম লক্ষ্য করা গেছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়লেও ভিন্ন চিত্র ছিল আলমডাঙ্গায়। সেখানে অনেকটাই সুনসান নীরবতায় হয়েছে ভোট গ্রহণ। তবে সরব ছিলেন দুই উপজেলারই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। তারা কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান নিয়ে ছিলেন।

সাধারণ ভোটারদের দাবি, পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে নির্বাচন বা ভোট নিয়ে তারা আগ্রহ হারিয়েছেন। অনেকে আবার বলছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপিসহ অন্যান্য বৃহৎ রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ায় তাদের সমর্থকদের মধ্যে ভোট নিয়ে যেমন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি, তেমনি ভোটারদের মধ্যে খুব একটা সাড়া ছিল না।

এই দুই উপজেলায় নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও ভোটারের উপস্থিতি খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সদরে কিছুটা ভোটার উপস্থিতি বাড়লেও, আলমডাঙ্গায় উপস্থিতি ছিল নগন্য। অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রেই ভোটারের লাইন চোখে পড়েনি। ভোট গ্রহণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বসে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। সড়কেও ছিল না তেমন সাধারণ মানুষের যাতায়াত বা আনাগোনা।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা ভি জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ১০টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টায় মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পোল হয়। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ভোটকেন্দ্রে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৯ শতাংশ ও ভোট গ্রহণ শেষ পর্যন্ত ১৭ শতাংশ ভোট পোল হয়েছে। কালুপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোট পোল হয়েছে ৫৬ শতাংশ।

তবে এর বিপরীত চিত্র ছিল আলমডাঙ্গা উপজেলায়। আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩ শতাংশ ও ভোট গ্রহণ শেষ পর্যন্ত মোট ২১ শতাংশ ভোট পোল হয়েছে। ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল ১৬ শতাংশ। রোয়াকুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১ শতাংশ ও নান্দবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোট পোল হয়েছে ১৯ শতাংশ।

আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় এক তরুণ ভোটার বলেন, ‘আমি ঢাকায় থাকি। জীবনের এই প্রথম ভোট দিয়েছি। মনে করেছিলাম সময় লাগবে। লোকজন খুব বেশি ছিল না, আসামাত্র ভোট দিতে পেরেছি। দুই মিনিটও সময়ও লাগেনি।’ আরেক এক নারী ভোটার জানান, ‘দীর্ঘ লাইন থাকবে ভেবে বাড়ির কাজ-কর্ম গুছিয়ে ভোট দিতে এসেছি। এখন দেখছি কেন্দ্র একদম ফাঁকা, কেউই নেই। আসলাম আর ভোট দিয়ে চলে গেলাম।’