ইপেপার । আজ বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

২৫০ টাকা করে ভিজিএফ-এর কার্ড বিক্রি!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ভিজিএফের চালের কার্ড বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের সাবেক বিন্নী গ্রামের গফুর মুন্সীর ছেলে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন একই ইউনিয়নের কন্যাদহ গ্রামের সোলাইমান হোসেন নামের এক ব্যক্তি।

তিনি জানান, ঈদের আগে দরিদ্রদের জন্য সরকার ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল দেয়। চাল বিতরণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তালিকা করে স্লিপ দেন ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত মনিরুল ইসলাম বিভিন্ন মানুষের নামে কার্ড নিয়ে বিক্রি করেন।  সোলাইমান বলেন, ‘আমার কাছে ৫২টি কার্ড সাড়ে সাত হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। আমি এ বিষয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। মনিরুল আরও কার্ড মানুষের কাছে ২৫০ টাকা করে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই কার্ড বিক্রির সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান জড়িত বলে দাবি করেন সোলাইমান।’
এ বিষয়ে জানতে মনিরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। ইউপি চেয়ারম্যন কামাল হোসেন বলেন, চাল দেওয়ার জন্য হতদরিদ্রদের তালিকা করা হয়েছে। গতকাল সব চাল বিতরণ করা হয়েছে। একজনের কার্ডে আরেকজনের চাল নেওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগটি ভিত্তিহীন। সামাজিক বিরোধের কারণে মনে হয় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ইউএনও সুস্মিতা সাহা বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে এর সত্যতা পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

২৫০ টাকা করে ভিজিএফ-এর কার্ড বিক্রি!

আপলোড টাইম : ১২:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ভিজিএফের চালের কার্ড বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের সাবেক বিন্নী গ্রামের গফুর মুন্সীর ছেলে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন একই ইউনিয়নের কন্যাদহ গ্রামের সোলাইমান হোসেন নামের এক ব্যক্তি।

তিনি জানান, ঈদের আগে দরিদ্রদের জন্য সরকার ভিজিএফের ১০ কেজি করে চাল দেয়। চাল বিতরণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তালিকা করে স্লিপ দেন ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত মনিরুল ইসলাম বিভিন্ন মানুষের নামে কার্ড নিয়ে বিক্রি করেন।  সোলাইমান বলেন, ‘আমার কাছে ৫২টি কার্ড সাড়ে সাত হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। আমি এ বিষয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। মনিরুল আরও কার্ড মানুষের কাছে ২৫০ টাকা করে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই কার্ড বিক্রির সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান জড়িত বলে দাবি করেন সোলাইমান।’
এ বিষয়ে জানতে মনিরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। ইউপি চেয়ারম্যন কামাল হোসেন বলেন, চাল দেওয়ার জন্য হতদরিদ্রদের তালিকা করা হয়েছে। গতকাল সব চাল বিতরণ করা হয়েছে। একজনের কার্ডে আরেকজনের চাল নেওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগটি ভিত্তিহীন। সামাজিক বিরোধের কারণে মনে হয় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ইউএনও সুস্মিতা সাহা বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে এর সত্যতা পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।