ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কার্পাসডাঙ্গায় ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেডের হাইব্রীড ফুলকপি চাষ করে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ সময়ের সমীকরণে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের ক্ষেত পরিদর্শন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:১০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৪২৪ বার পড়া হয়েছে

sdf

কার্পাসডাঙ্গা অফিস: উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় ইস্পাহানী এগ্রো কোম্পানীর মার্ভেলাস সিএফ ৪৫ হাইব্রীড ফুলকপি চাষ করে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন কার্পাসডাঙ্গার বেশ কয়েকজন কৃষক। এ সংক্রান্ত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশিত হলে গতকাল সোমবার বিকালে ক্ষতি গ্রস্থ কপি ক্ষেত পরিদর্শনে আসেন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার একটি দল। এ সময় কপি ক্ষেত পরিদর্শনসহ ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকদের সাথে কথা বলেন। ইস্পাহানী এগ্রো লিমিটেডের ডিলারের সাথে যোগাযোগসহ চাষীদের ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা নিতে জোর তাগিদ দেন। না হলে আইনগত ব্যবস্থাসহ জেলায় ইস্পাহানী এগ্রো লিমিটেডের বীজ না বিক্রিতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূফি মো: রফিকুজ্জামান, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী ইয়াছিন আরাফাত ও মামুন। উলে¬খ্য ক্ষতিগ্রস্থ কপি চাষ কৃত কৃষক কার্পাসডাঙ্গার ফকির মোহাম্মদ পিতা মৃত: আকবার ২বিঘা ১০কাঠা জমি, আতিয়ার পিতা: আবুল হোসেন ২ বিঘা জমি, লিটন পিতা গাব্রিয়েল ২ বিঘা ১০ কাঠা জমি, প্রান্তোষ পিতা: ওমর মন্ডল ১ বিঘা ১০ কাঠা জমি, আরিফ পিতা আবদুস সোবহান ২ বিঘা জমি, পলাশ পিতা নরুল ১ বিঘা ১০ কাঠা জমি, আসান পিতা আকালে ১ বিঘা ১০ কাঠা জমি, কলম পিতা আলা ১০ কাঠা জমি, মাহমুদ আলী পিতা মোজাম ১ বিঘা ১০ কাঠা জমি ইস্পাহানী এগ্রো লিমিটেডের মার্ভেলাস সিএফ ৪৫ হাইব্রীড ফুলকপি হোগলার মাঠ, চারা বাগান মাঠসহ ফকিরাখালে মাঠে চাষাবাদ করেন। জানা গেছে আনুমানিক মাস তিনেক পূর্বে খালিশপুর এলাকার ফুলকপি ব্যবসায়ী মশিউরের মাধ্যমে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার ১নং এসবিকে ইউনিয়নের বর্জাপুর গ্রামের মিজান বীজ ভান্ডার থেকে তাঁর প্রতিশ্রুতিতে বীজ কিনে নিয়ে আসে কৃষকরা। বিঘা প্রতি ১৫ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় আবাদ কৃত অন্য জাতের ফুলকপির বাম্পার ফলন হলেও শুধুমাত্র ইস্পাহানী এগ্রো লিমিটেডের মার্ভেলাস সিএফ ৪৫ হাইব্রীড চাষকৃত ফুলকপির গাছ হয়েছে। কিন্তু ফুল ধরেনি কিছু কিছু ফুল ধরলেও পুরো সবুজ ও সমু কৃত অবিক্রিযোগ্য। বর্তমানে এ কপি চাষ কৃত চাষীদের মাথায় হাত। চাষীরা অভিযোগ করে বলেন কোম্পানীর লোক চারা বেলায় জমিতে এসে কোম্পানীর সাইনবোর্ড মারাসহ খোঁজখবর নেন। তবে কপি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ফোন দিয়ে জানালে তাঁর পর থেকে আর ফোন ধরেন নি। আমরা ক্ষতিপূরন চাই। ক্ষতিপূরনের দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরা। এ বিষয় জানতে মিজান বীজ ভান্ডারের মালিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কার্পাসডাঙ্গায় ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেডের হাইব্রীড ফুলকপি চাষ করে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ সময়ের সমীকরণে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের ক্ষেত পরিদর্শন

আপলোড টাইম : ০২:১০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬

sdf

কার্পাসডাঙ্গা অফিস: উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় ইস্পাহানী এগ্রো কোম্পানীর মার্ভেলাস সিএফ ৪৫ হাইব্রীড ফুলকপি চাষ করে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন কার্পাসডাঙ্গার বেশ কয়েকজন কৃষক। এ সংক্রান্ত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশিত হলে গতকাল সোমবার বিকালে ক্ষতি গ্রস্থ কপি ক্ষেত পরিদর্শনে আসেন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার একটি দল। এ সময় কপি ক্ষেত পরিদর্শনসহ ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকদের সাথে কথা বলেন। ইস্পাহানী এগ্রো লিমিটেডের ডিলারের সাথে যোগাযোগসহ চাষীদের ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা নিতে জোর তাগিদ দেন। না হলে আইনগত ব্যবস্থাসহ জেলায় ইস্পাহানী এগ্রো লিমিটেডের বীজ না বিক্রিতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূফি মো: রফিকুজ্জামান, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী ইয়াছিন আরাফাত ও মামুন। উলে¬খ্য ক্ষতিগ্রস্থ কপি চাষ কৃত কৃষক কার্পাসডাঙ্গার ফকির মোহাম্মদ পিতা মৃত: আকবার ২বিঘা ১০কাঠা জমি, আতিয়ার পিতা: আবুল হোসেন ২ বিঘা জমি, লিটন পিতা গাব্রিয়েল ২ বিঘা ১০ কাঠা জমি, প্রান্তোষ পিতা: ওমর মন্ডল ১ বিঘা ১০ কাঠা জমি, আরিফ পিতা আবদুস সোবহান ২ বিঘা জমি, পলাশ পিতা নরুল ১ বিঘা ১০ কাঠা জমি, আসান পিতা আকালে ১ বিঘা ১০ কাঠা জমি, কলম পিতা আলা ১০ কাঠা জমি, মাহমুদ আলী পিতা মোজাম ১ বিঘা ১০ কাঠা জমি ইস্পাহানী এগ্রো লিমিটেডের মার্ভেলাস সিএফ ৪৫ হাইব্রীড ফুলকপি হোগলার মাঠ, চারা বাগান মাঠসহ ফকিরাখালে মাঠে চাষাবাদ করেন। জানা গেছে আনুমানিক মাস তিনেক পূর্বে খালিশপুর এলাকার ফুলকপি ব্যবসায়ী মশিউরের মাধ্যমে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার ১নং এসবিকে ইউনিয়নের বর্জাপুর গ্রামের মিজান বীজ ভান্ডার থেকে তাঁর প্রতিশ্রুতিতে বীজ কিনে নিয়ে আসে কৃষকরা। বিঘা প্রতি ১৫ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় আবাদ কৃত অন্য জাতের ফুলকপির বাম্পার ফলন হলেও শুধুমাত্র ইস্পাহানী এগ্রো লিমিটেডের মার্ভেলাস সিএফ ৪৫ হাইব্রীড চাষকৃত ফুলকপির গাছ হয়েছে। কিন্তু ফুল ধরেনি কিছু কিছু ফুল ধরলেও পুরো সবুজ ও সমু কৃত অবিক্রিযোগ্য। বর্তমানে এ কপি চাষ কৃত চাষীদের মাথায় হাত। চাষীরা অভিযোগ করে বলেন কোম্পানীর লোক চারা বেলায় জমিতে এসে কোম্পানীর সাইনবোর্ড মারাসহ খোঁজখবর নেন। তবে কপি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ফোন দিয়ে জানালে তাঁর পর থেকে আর ফোন ধরেন নি। আমরা ক্ষতিপূরন চাই। ক্ষতিপূরনের দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরা। এ বিষয় জানতে মিজান বীজ ভান্ডারের মালিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।