ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মামলা করতে বাধাঁ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:২৫:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৩২৫ বার পড়া হয়েছে

fseterঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা নদীপাড়ায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: স্বপন কুমার কুন্ডু জানান, বুধবার মধ্যরাতে মেয়েটিকে তার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। একটু সুস্থ হলে তাকে ডাক্তারী পরীক্ষা করা হবে। এনজিও শোভার মানবাধিকার কর্মী পাপিয়া সুলতানা ধর্ষিতা কিশোরীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে মেয়েটি পাশের বাড়িতে এক হুজুরের কাছে পানি পাড়া আনতে যাচ্ছিলো। এ সময় খাজুরা গ্রামের বখাটে যুবক শুকর আলীর ছেলে দোলন, মধু মিয়ার ছেলে রাব্বি ও আমিনুল ইসলামের ছেলে মাসুম তাকে জোর করে একটি ইজিবাইকে তুলে নিয়ে তিনজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষন করে। ধর্ষন করার পর তিন লম্পট হতদরিদ্র পরিবারটিকে হাসপাতালে ভর্তি, থানায় মামলা এমনটি লোক জানাজানি না করতে হুমকী দেয়। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে পরিবারটি। মানবাধিকার কর্মী পাপিয়া সুলতানা আরো জানান, বুধবার বিকাল নাগাদ মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওই দিন মধ্যরাতে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি সামাজিকভাবে মিটিয়ে ফেলার জন্য ধর্ষিতার পরিবারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়ের ভাই এবং মা এ অভিযোগ করেন। তারা বলেন, আমরা গরীব বলে আমরা কি বিচার পাব না ? বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার এসআই আজিজুর রহমান জানান, থানায় এখনো ভিকটিমের পরিবার কোন অভিযোগ করেনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মামলা করতে বাধাঁ!

আপলোড টাইম : ০৩:২৫:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৬

fseterঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা নদীপাড়ায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: স্বপন কুমার কুন্ডু জানান, বুধবার মধ্যরাতে মেয়েটিকে তার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। একটু সুস্থ হলে তাকে ডাক্তারী পরীক্ষা করা হবে। এনজিও শোভার মানবাধিকার কর্মী পাপিয়া সুলতানা ধর্ষিতা কিশোরীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে মেয়েটি পাশের বাড়িতে এক হুজুরের কাছে পানি পাড়া আনতে যাচ্ছিলো। এ সময় খাজুরা গ্রামের বখাটে যুবক শুকর আলীর ছেলে দোলন, মধু মিয়ার ছেলে রাব্বি ও আমিনুল ইসলামের ছেলে মাসুম তাকে জোর করে একটি ইজিবাইকে তুলে নিয়ে তিনজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষন করে। ধর্ষন করার পর তিন লম্পট হতদরিদ্র পরিবারটিকে হাসপাতালে ভর্তি, থানায় মামলা এমনটি লোক জানাজানি না করতে হুমকী দেয়। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে পরিবারটি। মানবাধিকার কর্মী পাপিয়া সুলতানা আরো জানান, বুধবার বিকাল নাগাদ মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওই দিন মধ্যরাতে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি সামাজিকভাবে মিটিয়ে ফেলার জন্য ধর্ষিতার পরিবারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়ের ভাই এবং মা এ অভিযোগ করেন। তারা বলেন, আমরা গরীব বলে আমরা কি বিচার পাব না ? বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার এসআই আজিজুর রহমান জানান, থানায় এখনো ভিকটিমের পরিবার কোন অভিযোগ করেনি।