ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা তিতুদহের খাড়াগোদা ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে জমজমাট তাড়ি ও গাঁজার আড্ডা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:১৮:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে

dfতিতুদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের খাড়াগোদা ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে শীতের শুরুতেই বসেছে জমজমাট তাড়ি ও গাঁজার আড্ডা। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ আড্ডা। কয়েকজন যুবক নিয়মিত তাড়ি পান করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাড়ি পান করার পর গাঁজা সেবন না করলে নাকি মন ও শরীরের তৃপ্তি পায় না বলেও মাদকসেবীরা গ্রামের মোড়ের তাড়ি ও গাঁজা খেয়ে চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে বলার অভিযোগ উঠেছে। তাড়িখোর ও গাঁজা সেবনকারী প্রত্যেকেই নি¤œবিত্ত পরিবারের যুবক। যার ফলে পরিবারে সব সময় কলোহ-বিবাদ লেগেই থাকে। তিতুদহের আশপাশের এলাকায় প্রায় বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটছে। চুরি হওয়া সকল বাড়ি থেকেই জানা গেছে, চোর সদস্যরা বেশির ভাগই অল্প বয়সের যুবক। এলাকায় ঘুরে জানা গেছে, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই কিছু অসাধু ব্যক্তি খেজুরের রস অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে পচিয়ে তাড়ি বানিয়ে বিক্রি করে। তাড়ি পান করে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে খেটে খাওয়া অনেক মানুষ। সোনার সংসার পুড়ে হচ্ছে ছাই। চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘকাল তাড়ি পান করার ফলে অনেকের স্বাস্থ্য সমস্যা হয়, মেজাজ খিটখেটে হওয়া, ক্ষুধা-মন্দা, দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা হয়, অকালে দাঁত পড়ে যাওয়া, পেঁটে পিড়াসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হয় তাড়িখোরেরা। দীর্ঘদিন যাবত তাড়ি পানের ফলে ক্যান্সার জনিত রোগও হতে পারে। তাড়িতে শরীরের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও নিপা ভাইরাস থাকে। খাড়াগোদাসহ সরোজগঞ্জ আশপাশে পাঁচ মাইল, ভান্ডারদহ, সুবদিয়া, ধুতুরহাট, ভুলটিয়া, বালিয়াকান্দিসহ বিভিন্ন গ্রামে বিকাল থেকে শুরু হয় জমজমাট তাড়ির আড্ডা। দিনমুজুর, চাতাল শ্রমিক, আলমসাধু চালক ইত্যাদি নিম্নবিত্ত শ্রেণীর লোকজন তাড়ি পান করে বলে জানা যায়। মাতাল অবস্থায় বেঘোরে দূর্ঘটনা প্রবণে মারা গেছে সরোজগঞ্জের অতি পরিচিত মুখ সোহরাব হোসেন, পিনু, স্ট্যাটার মানিক। আহত হয়ে অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে। খাড়াগোদা ও সরোজগঞ্জ বাজারসহ আশপাশ এলাকায় একের পর এক চুরির ঘটনায় জনগন আতঙ্কে জীবন যাপন করছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও অপহরণ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। তাড়িখোর স্বামীর অত্যাচারে কতো স্ত্রী নীরবে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে, তার কোন হিসাব নেই। তাই এসকল অসামাজিক গাঁজা ও তাড়ির আড্ডা বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে খাড়াগোদা সচেতন এলাকাবাসী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা তিতুদহের খাড়াগোদা ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে জমজমাট তাড়ি ও গাঁজার আড্ডা

আপলোড টাইম : ০২:১৮:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০১৬

dfতিতুদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের খাড়াগোদা ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে শীতের শুরুতেই বসেছে জমজমাট তাড়ি ও গাঁজার আড্ডা। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ আড্ডা। কয়েকজন যুবক নিয়মিত তাড়ি পান করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাড়ি পান করার পর গাঁজা সেবন না করলে নাকি মন ও শরীরের তৃপ্তি পায় না বলেও মাদকসেবীরা গ্রামের মোড়ের তাড়ি ও গাঁজা খেয়ে চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে বলার অভিযোগ উঠেছে। তাড়িখোর ও গাঁজা সেবনকারী প্রত্যেকেই নি¤œবিত্ত পরিবারের যুবক। যার ফলে পরিবারে সব সময় কলোহ-বিবাদ লেগেই থাকে। তিতুদহের আশপাশের এলাকায় প্রায় বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটছে। চুরি হওয়া সকল বাড়ি থেকেই জানা গেছে, চোর সদস্যরা বেশির ভাগই অল্প বয়সের যুবক। এলাকায় ঘুরে জানা গেছে, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই কিছু অসাধু ব্যক্তি খেজুরের রস অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে পচিয়ে তাড়ি বানিয়ে বিক্রি করে। তাড়ি পান করে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে খেটে খাওয়া অনেক মানুষ। সোনার সংসার পুড়ে হচ্ছে ছাই। চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘকাল তাড়ি পান করার ফলে অনেকের স্বাস্থ্য সমস্যা হয়, মেজাজ খিটখেটে হওয়া, ক্ষুধা-মন্দা, দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা হয়, অকালে দাঁত পড়ে যাওয়া, পেঁটে পিড়াসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হয় তাড়িখোরেরা। দীর্ঘদিন যাবত তাড়ি পানের ফলে ক্যান্সার জনিত রোগও হতে পারে। তাড়িতে শরীরের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও নিপা ভাইরাস থাকে। খাড়াগোদাসহ সরোজগঞ্জ আশপাশে পাঁচ মাইল, ভান্ডারদহ, সুবদিয়া, ধুতুরহাট, ভুলটিয়া, বালিয়াকান্দিসহ বিভিন্ন গ্রামে বিকাল থেকে শুরু হয় জমজমাট তাড়ির আড্ডা। দিনমুজুর, চাতাল শ্রমিক, আলমসাধু চালক ইত্যাদি নিম্নবিত্ত শ্রেণীর লোকজন তাড়ি পান করে বলে জানা যায়। মাতাল অবস্থায় বেঘোরে দূর্ঘটনা প্রবণে মারা গেছে সরোজগঞ্জের অতি পরিচিত মুখ সোহরাব হোসেন, পিনু, স্ট্যাটার মানিক। আহত হয়ে অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে। খাড়াগোদা ও সরোজগঞ্জ বাজারসহ আশপাশ এলাকায় একের পর এক চুরির ঘটনায় জনগন আতঙ্কে জীবন যাপন করছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও অপহরণ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। তাড়িখোর স্বামীর অত্যাচারে কতো স্ত্রী নীরবে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে, তার কোন হিসাব নেই। তাই এসকল অসামাজিক গাঁজা ও তাড়ির আড্ডা বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে খাড়াগোদা সচেতন এলাকাবাসী।