ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আধুনিক সভ্যতা আর প্রতি নিয়ত কালের পরির্বতনে গ্রামীণ খেলাধুলা বিলুপ্তির পথে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:০০:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৬
  • / ১৩১৫ বার পড়া হয়েছে

Sherpur-Ha-dudu

আওয়াল হোসেন: আধুনিক সভ্যতা এবং কালের পথ পরিক্রমায় ডিজিটাল এ যুগে শিশু কিশোরদের গ্রামীন জনপ্রিয় খেলাধুলা গুলো দিনের পর দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রামাঞ্চল ঘুরলেও এখন আর সচরাচর চোখে পড়েনা শিশু কিশোরদের আগের দিনের সেই গ্রাম্য খেলাধুলা হা ডু-ডু, গোল্লাছুট, বউছি, কিতকিত, কানামাছি ভোঁ-ভোঁ, লুকোচুরি, চোর ডাকাত, পুতুল বিয়েসহ নানা ধরনের খেলাধুলা। আগেকার দিনের শিশু কিশোররা যে বয়সে এ সব খেলাধুলা নিয়ে মেতে থেকেছে। এখন আর সে বয়সে তারা যান্ত্রিক ডিজিটাল যুগে খেলাধুলার কথা ভুলে হাতের মুঠোই বিশ্ব দেখছে। ফেলে আসা কালের আর্বতে গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় শিশু কিশোররা দল বেঁধে গ্রাম্য খেলায় মেতে হারিয়ে যেত তাদের আপন ভুবনে। অথচ বর্তমানে সেই বয়সের শিশু কিশোররা গ্রাম্য খেলাধুলা বাদ দিয়ে কম্পিউটার, ভিডিও গেমস, ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত থাকে। দেশের বেশির ভাগ মানুষ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করলেও কালের বিবর্তনে যুগের গতানুগতিক পরিবর্তন আজ গ্রামের ঐতিহ্যবাহি খেলাধুলা হারিয়ে যাচ্ছে। এক সময়ের জনপ্রিয় খেলা মার্বেল খেলা, হা ডু-ডু ও ঘুড়ি উড়ানো। বর্তমান সময়ে মার্বেল হা ডু-ডু ও ঘুড়ি উড়ানোর মত খেলার সঙ্গে তাদের আর কোন পরিচয় নেই। অথচ এখন তারা খেলার মধ্যে ফুটবল বিশেষ করে ক্রিকেট খেলা নিয়েই ব্যস্ত থাকে। তাও খুব কম। সরেজমিনে দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চলতি পথে দেখা যায় অনেক গুলো শিশুকিশোর একত্রিত হয়েছে। উচ্চ লাফ খেলছে, তাদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, মাঠে খেলতে যাচ্ছি। এদের মধ্যে একজনের নাম সুজন। ৫ম শ্রেনিতে পড়ে সে। তাকে প্রশ্ন করলে কি খেলা খেলতে যাচ্ছ? উত্তরে জানাল ক্রিকেট। গোল্লাছুট খেলতে পারো না? উত্তরে সে জানায়, সেটা আবার কি ধরণের খেলা! দলবেঁধে আসা ঐ শিশু কিশোরদের গ্রামীন খেলাধুলার সম্পর্কে জানতে চাইলেও কম বেশি সকলেই ঐতিহ্যবাহী গ্রামীন খেলাধুলার সাথে তারা কেউই পরিচিত নয়। গ্রামঞ্চলের কিছু কিছু গ্রামে এখনো কেউ কেউ এসব খেলা কমবেশী খেলে বলে অনেকেই জানান। তবে আগের মত আর সেই দুরুন্তপনা আর মাঠে ঘাটে ছুটে ছুটে খেলা করতে দেখা যায় না। তাছাড়া দিনে দিনে শিশুদের নিরাপত্তা, লেখাপড়ার চাপ আর মাদক আসক্ত হওয়ার ভয়ে শিশুদের আভিভাবকরা যতটা পারে আগলে রাখতে চাই। ফলে এসব খেলাধুলা করার সময় খুঁজে পাচ্ছে না শিশু-কিশোরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আধুনিক সভ্যতা আর প্রতি নিয়ত কালের পরির্বতনে গ্রামীণ খেলাধুলা বিলুপ্তির পথে

আপলোড টাইম : ০১:০০:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৬

Sherpur-Ha-dudu

আওয়াল হোসেন: আধুনিক সভ্যতা এবং কালের পথ পরিক্রমায় ডিজিটাল এ যুগে শিশু কিশোরদের গ্রামীন জনপ্রিয় খেলাধুলা গুলো দিনের পর দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রামাঞ্চল ঘুরলেও এখন আর সচরাচর চোখে পড়েনা শিশু কিশোরদের আগের দিনের সেই গ্রাম্য খেলাধুলা হা ডু-ডু, গোল্লাছুট, বউছি, কিতকিত, কানামাছি ভোঁ-ভোঁ, লুকোচুরি, চোর ডাকাত, পুতুল বিয়েসহ নানা ধরনের খেলাধুলা। আগেকার দিনের শিশু কিশোররা যে বয়সে এ সব খেলাধুলা নিয়ে মেতে থেকেছে। এখন আর সে বয়সে তারা যান্ত্রিক ডিজিটাল যুগে খেলাধুলার কথা ভুলে হাতের মুঠোই বিশ্ব দেখছে। ফেলে আসা কালের আর্বতে গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় শিশু কিশোররা দল বেঁধে গ্রাম্য খেলায় মেতে হারিয়ে যেত তাদের আপন ভুবনে। অথচ বর্তমানে সেই বয়সের শিশু কিশোররা গ্রাম্য খেলাধুলা বাদ দিয়ে কম্পিউটার, ভিডিও গেমস, ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত থাকে। দেশের বেশির ভাগ মানুষ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করলেও কালের বিবর্তনে যুগের গতানুগতিক পরিবর্তন আজ গ্রামের ঐতিহ্যবাহি খেলাধুলা হারিয়ে যাচ্ছে। এক সময়ের জনপ্রিয় খেলা মার্বেল খেলা, হা ডু-ডু ও ঘুড়ি উড়ানো। বর্তমান সময়ে মার্বেল হা ডু-ডু ও ঘুড়ি উড়ানোর মত খেলার সঙ্গে তাদের আর কোন পরিচয় নেই। অথচ এখন তারা খেলার মধ্যে ফুটবল বিশেষ করে ক্রিকেট খেলা নিয়েই ব্যস্ত থাকে। তাও খুব কম। সরেজমিনে দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চলতি পথে দেখা যায় অনেক গুলো শিশুকিশোর একত্রিত হয়েছে। উচ্চ লাফ খেলছে, তাদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, মাঠে খেলতে যাচ্ছি। এদের মধ্যে একজনের নাম সুজন। ৫ম শ্রেনিতে পড়ে সে। তাকে প্রশ্ন করলে কি খেলা খেলতে যাচ্ছ? উত্তরে জানাল ক্রিকেট। গোল্লাছুট খেলতে পারো না? উত্তরে সে জানায়, সেটা আবার কি ধরণের খেলা! দলবেঁধে আসা ঐ শিশু কিশোরদের গ্রামীন খেলাধুলার সম্পর্কে জানতে চাইলেও কম বেশি সকলেই ঐতিহ্যবাহী গ্রামীন খেলাধুলার সাথে তারা কেউই পরিচিত নয়। গ্রামঞ্চলের কিছু কিছু গ্রামে এখনো কেউ কেউ এসব খেলা কমবেশী খেলে বলে অনেকেই জানান। তবে আগের মত আর সেই দুরুন্তপনা আর মাঠে ঘাটে ছুটে ছুটে খেলা করতে দেখা যায় না। তাছাড়া দিনে দিনে শিশুদের নিরাপত্তা, লেখাপড়ার চাপ আর মাদক আসক্ত হওয়ার ভয়ে শিশুদের আভিভাবকরা যতটা পারে আগলে রাখতে চাই। ফলে এসব খেলাধুলা করার সময় খুঁজে পাচ্ছে না শিশু-কিশোরা।