ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদা পেট্রোল পাম্পে পাওনাদারদের অবস্থান

সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে সমঝোতা

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
  • আপলোড টাইম : ০৩:১৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৪ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা উপজেলায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা একটি আর্থিক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল ও দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবিরের মধ্যস্থতায় এই সমঝোতা হয়।

জানা যায়, দামুড়হুদা ফিলিং স্টেশনের মালিক শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে চারজন পাওনাদার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনেন। অভিযোগকারীরা হলেন- সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল আলম, সেলিম উদ্দিন, মজিবর রহমান ও আব্দুল খালেক।

ভুক্তভোগীরা জানান, ব্যবসা না বোঝার কারণে শরিফফুল আলম ফিলিং স্টেশনটি শাহজাহানকে পরিচালনার দায়িত্ব দেন। শাহজাহান বিভিন্ন কৌশলে তাদের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এর মধ্যে শরিফুল আলম ৬০ লাখ, আব্দুল খালেক ২৯ লাখ, এবং মজিবর রহমান ৪৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। তবে শাহজাহান ব্যবসার কোনো লভ্যাংশ পরিশোধ করেননি।

দীর্ঘদিন পাওনা টাকা ফেরত না পেয়ে গতকাল সকাল থেকে পাওনাদাররা পাম্পে অবস্থান নেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করেন।

সমঝোতা অনুযায়ী আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে পাওনাদারদের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার লিখিত অঙ্গীকার করেন শাহজাহান। অন্যথায় ফিলিং স্টেশনটি পাওনাদারদের কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দামুড়হুদা পেট্রোল পাম্পে পাওনাদারদের অবস্থান

সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে সমঝোতা

আপলোড টাইম : ০৩:১৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দামুড়হুদা উপজেলায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা একটি আর্থিক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল ও দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবিরের মধ্যস্থতায় এই সমঝোতা হয়।

জানা যায়, দামুড়হুদা ফিলিং স্টেশনের মালিক শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে চারজন পাওনাদার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনেন। অভিযোগকারীরা হলেন- সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল আলম, সেলিম উদ্দিন, মজিবর রহমান ও আব্দুল খালেক।

ভুক্তভোগীরা জানান, ব্যবসা না বোঝার কারণে শরিফফুল আলম ফিলিং স্টেশনটি শাহজাহানকে পরিচালনার দায়িত্ব দেন। শাহজাহান বিভিন্ন কৌশলে তাদের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এর মধ্যে শরিফুল আলম ৬০ লাখ, আব্দুল খালেক ২৯ লাখ, এবং মজিবর রহমান ৪৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। তবে শাহজাহান ব্যবসার কোনো লভ্যাংশ পরিশোধ করেননি।

দীর্ঘদিন পাওনা টাকা ফেরত না পেয়ে গতকাল সকাল থেকে পাওনাদাররা পাম্পে অবস্থান নেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করেন।

সমঝোতা অনুযায়ী আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে পাওনাদারদের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার লিখিত অঙ্গীকার করেন শাহজাহান। অন্যথায় ফিলিং স্টেশনটি পাওনাদারদের কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।