ইপেপার । আজ বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নজর সবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কী বার্তা থাকবে

আজ চুয়াডাঙ্গায় আসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি দল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

আজ চুয়াডাঙ্গায় ছাত্র-জনতা মৈত্রী সফরে আসছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১০ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। দিনব্যাপী থাকবে নানা কর্মসূচি। এরমধ্যে ছাত্র-জনতার সাথে যেমন মতবিনিময় থাকবে, তেমনি থাকবে সুধীজন, প্রশাসনসহ নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সাথেও আলোচনা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ, আহতদের পরিবারবর্গের সাথেও সাক্ষাৎ করবেন প্রতিনিধি দল। চুয়াডাঙ্গায় ছাত্র-জনতা মৈত্রী সফর নিয়ে আছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, আত্মসমালোচনা হবে মৈত্রী সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক চিন্তার বর্হিপ্রকাশ থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে আছে কিছুটা জল্পনা-কল্পনা। রাষ্ট্র পুনর্গঠনের দাবি সকলের। জনগণের মতকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রবণতা থাকলে জনমত সম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

জানা গেছে, জনমত গঠনসহ স্থানীয় ছাত্র-জনতার কথা শোনার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেই ধারাবাহিকতায় জেলা সফরে যাচ্ছে প্রতিনিধি দল। স্থানীয় সমন্বয়ক, প্রশাসন ও সুধীজনের সাথে আজ সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের হোটেল সাহিদ প্যালেসে ইনডোর মতবিনিময়, শহীদ পরিবার ও গুরুতর আহতদের সাথে সাক্ষাৎ, স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়, বেলা তিনটায় শহরের টাউন ফুটবল মাঠ প্রাঙ্গনে ছাত্র-জনতার সাথে মতবিনিময় উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি বলেও জানা গেছে।

ছাত্র-জনতার মৈত্রী সফরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্যাডে খুলনা বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ওয়াহেদ উজ্জামান, আকরাম হোসাইন রাজ, আশরেফা খাতুন, আবু বকর খান, ফারহানা ফারিনা, মুইনুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ দত্ত, তৌহিদ ইসলাম শুভ, মো. বাবু খান ও জান্নাতকে। ইতোমধ্যে তারা চুয়াডাঙ্গায় এসে পৌঁছেছেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে বেলা ৩টায় মতবিনিময় সভাকে গুরুত্ব দিয়ে চলছে প্রস্তুতি। সুধীজনসহ প্রশাসনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন সারাদেশের মানুষকে একত্রিত করতে পেরেছে। সারাদেশেই এখন প্রতিবাদী মনোভাব জাগ্রত হয়েছে। সচেতনরা প্রতিবাদকে চাই, উপযুক্ত স্থানে প্রতিবাদ চাই। জেলায় জেলায় ছাত্র-জনতার সফর কী বার্তা দিচ্ছে, সেটাই ভাবছেন সাধারণ মানুষ।

অনেকে আগ্রহে আছেন, কী হয় দেখার। ভালো কাজে যুক্ত হওয়ার আগ্রহও আছে অসংখ্য মানুষের মনে। সময় এবং পরিস্থিতির অপেক্ষায় এই শ্রেণির সিংহভাগ। তবে সুবিধাবাদীরা সুযোগ খোঁজা শুরু করেছে। মৈত্রী সফরের বার্তা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তথা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন সিংহভাগ প্রকৃত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী-জনতা। এই আন্দোলনে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ যুক্ত হয়েছিলেন। প্রবাসীরা বিদেশের মাটিতেও আন্দোলন করেছেন। ইন্টারনেট ব্লাকউটের সময় যেমন বহু পত্রিকা বন্ধ ছিল, গণমাধ্যমের ওপর প্রভাব বিস্তার করা হয়েছিল, তখনো কোনো কোনো পত্রিকা কর্তৃপক্ষ এই আন্দোলনকে অনেকটা সমর্থন করেই শত বাঁধা-বিপত্তিকে উপক্ষো করে কাজ করে। কঠিন চাপেও সমঝোতায় না গিয়ে সঠিক খবর প্রকাশ করে মূলত আন্দোলনেই থেকেছে তারা। জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া, আন্দোলনে সরাসরি অংশ নেয়া ও আন্দোলনে বিভিন্নভাবে যুক্ত থাকাদের জন্যও কেন্দ্রীয় বার্তা গুরুত্বপূর্ণ হবে।

ইতোমধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি নামে একটি কমিটি আত্মপ্রকাশ করেছে। জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের নেতৃত্বেই আছে এই কমিটি। সব মিলিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কী বার্তা থাকবে, সেটার অপেক্ষায় অসংখ্য মানুষ।

চুয়াডাঙ্গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শিক্ষার্থী সাফফাতুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার মৈত্রী সফর উপলক্ষে আমরা সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা সকলে মিলে কাজ করছি। পুরো আয়োজনকে ঢেলে সাজানো হয়েছে, দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। আশা করছি, ইনডোর-আউটডোর সব আয়োজনই ভালো হবে। আন্দোলনের অন্যতম শিক্ষার্থী কামরুল হাসান কাজল বলেন, ‘আমরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আশা করছি, একটি দারুণ আয়োজন হবে। আমাদের সাথে শিক্ষার্থী এবং সাধারণ জনগণ আছেন।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

নজর সবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কী বার্তা থাকবে

আজ চুয়াডাঙ্গায় আসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি দল

আপলোড টাইম : ০৯:২৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজ চুয়াডাঙ্গায় ছাত্র-জনতা মৈত্রী সফরে আসছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১০ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। দিনব্যাপী থাকবে নানা কর্মসূচি। এরমধ্যে ছাত্র-জনতার সাথে যেমন মতবিনিময় থাকবে, তেমনি থাকবে সুধীজন, প্রশাসনসহ নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সাথেও আলোচনা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ, আহতদের পরিবারবর্গের সাথেও সাক্ষাৎ করবেন প্রতিনিধি দল। চুয়াডাঙ্গায় ছাত্র-জনতা মৈত্রী সফর নিয়ে আছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, আত্মসমালোচনা হবে মৈত্রী সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক চিন্তার বর্হিপ্রকাশ থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে আছে কিছুটা জল্পনা-কল্পনা। রাষ্ট্র পুনর্গঠনের দাবি সকলের। জনগণের মতকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রবণতা থাকলে জনমত সম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

জানা গেছে, জনমত গঠনসহ স্থানীয় ছাত্র-জনতার কথা শোনার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেই ধারাবাহিকতায় জেলা সফরে যাচ্ছে প্রতিনিধি দল। স্থানীয় সমন্বয়ক, প্রশাসন ও সুধীজনের সাথে আজ সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের হোটেল সাহিদ প্যালেসে ইনডোর মতবিনিময়, শহীদ পরিবার ও গুরুতর আহতদের সাথে সাক্ষাৎ, স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়, বেলা তিনটায় শহরের টাউন ফুটবল মাঠ প্রাঙ্গনে ছাত্র-জনতার সাথে মতবিনিময় উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি বলেও জানা গেছে।

ছাত্র-জনতার মৈত্রী সফরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্যাডে খুলনা বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ওয়াহেদ উজ্জামান, আকরাম হোসাইন রাজ, আশরেফা খাতুন, আবু বকর খান, ফারহানা ফারিনা, মুইনুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ দত্ত, তৌহিদ ইসলাম শুভ, মো. বাবু খান ও জান্নাতকে। ইতোমধ্যে তারা চুয়াডাঙ্গায় এসে পৌঁছেছেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে বেলা ৩টায় মতবিনিময় সভাকে গুরুত্ব দিয়ে চলছে প্রস্তুতি। সুধীজনসহ প্রশাসনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন সারাদেশের মানুষকে একত্রিত করতে পেরেছে। সারাদেশেই এখন প্রতিবাদী মনোভাব জাগ্রত হয়েছে। সচেতনরা প্রতিবাদকে চাই, উপযুক্ত স্থানে প্রতিবাদ চাই। জেলায় জেলায় ছাত্র-জনতার সফর কী বার্তা দিচ্ছে, সেটাই ভাবছেন সাধারণ মানুষ।

অনেকে আগ্রহে আছেন, কী হয় দেখার। ভালো কাজে যুক্ত হওয়ার আগ্রহও আছে অসংখ্য মানুষের মনে। সময় এবং পরিস্থিতির অপেক্ষায় এই শ্রেণির সিংহভাগ। তবে সুবিধাবাদীরা সুযোগ খোঁজা শুরু করেছে। মৈত্রী সফরের বার্তা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তথা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন সিংহভাগ প্রকৃত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী-জনতা। এই আন্দোলনে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ যুক্ত হয়েছিলেন। প্রবাসীরা বিদেশের মাটিতেও আন্দোলন করেছেন। ইন্টারনেট ব্লাকউটের সময় যেমন বহু পত্রিকা বন্ধ ছিল, গণমাধ্যমের ওপর প্রভাব বিস্তার করা হয়েছিল, তখনো কোনো কোনো পত্রিকা কর্তৃপক্ষ এই আন্দোলনকে অনেকটা সমর্থন করেই শত বাঁধা-বিপত্তিকে উপক্ষো করে কাজ করে। কঠিন চাপেও সমঝোতায় না গিয়ে সঠিক খবর প্রকাশ করে মূলত আন্দোলনেই থেকেছে তারা। জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া, আন্দোলনে সরাসরি অংশ নেয়া ও আন্দোলনে বিভিন্নভাবে যুক্ত থাকাদের জন্যও কেন্দ্রীয় বার্তা গুরুত্বপূর্ণ হবে।

ইতোমধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি নামে একটি কমিটি আত্মপ্রকাশ করেছে। জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের নেতৃত্বেই আছে এই কমিটি। সব মিলিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কী বার্তা থাকবে, সেটার অপেক্ষায় অসংখ্য মানুষ।

চুয়াডাঙ্গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শিক্ষার্থী সাফফাতুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার মৈত্রী সফর উপলক্ষে আমরা সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা সকলে মিলে কাজ করছি। পুরো আয়োজনকে ঢেলে সাজানো হয়েছে, দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। আশা করছি, ইনডোর-আউটডোর সব আয়োজনই ভালো হবে। আন্দোলনের অন্যতম শিক্ষার্থী কামরুল হাসান কাজল বলেন, ‘আমরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আশা করছি, একটি দারুণ আয়োজন হবে। আমাদের সাথে শিক্ষার্থী এবং সাধারণ জনগণ আছেন।’