ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পঁচা গন্ধ পান প্রতিবেশীরা, স্ত্রী ও ছেলে পুলিশ হেফাজতে

আলমডাঙ্গা অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের থানাপাড়ার একটি বাড়ি থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহানের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে স্থানীয়রা ওই বাড়ি থেকে পঁচা দুর্গন্ধ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে খবর দেয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল দুুপুরেই নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহানের স্ত্রী চায়না খাতুন ও ছেলে শিশির আহম্মেদকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। নৌ বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান চাকরি শেষে অবসর জীবনযাপন করছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সকলের ধারণা। আব্দুস সোবহানের প্রতিবেশীরা জানান, গত মঙ্গলবার দুুপুরে আব্দুস সোবহান ব্যাংক থেকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা উত্তোলন করেন। ওই রাতেই ছেলে শিশিরের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। রাতে বাড়ি থেকে চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দও পান স্থানীয়রা। পরদিন বুধবার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাবা ও ছেলে দুজনের মধ্যে আবারো হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। ওই দিন মাঝ রাতে আব্দুস সোবহানের আত্মচিৎকারও শুনেছেন অনেকে। এরপর থেকে থেকে আর আব্দুস সোবহানকে কেউ দেখেনি। এরই মধ্যে গতকাল আব্দুস সোহবানের বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে পঁচা দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। সন্দেহ হওয়ায় থানা পুলিশে খবর দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এবং ওই বাড়ি থেকে আব্দুস সোবহানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের ভাতিজি গুলশান আরা চৈতি বলেন, তার চাচার ছেলে শিশির বখাটে ও নেশাগ্রস্ত ছিল। কোনো কাজকর্ম করত না। নেশার টাকা জোগাতে না পেরে তার বাবার সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে তাকে আঘাত করার কারণেই চাচার মৃত্যু হতে পারে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, প্রতিবেশীদের খবরে নিহতের বাড়ি থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সোবহানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আলমডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

পঁচা গন্ধ পান প্রতিবেশীরা, স্ত্রী ও ছেলে পুলিশ হেফাজতে

আপলোড টাইম : ১০:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের থানাপাড়ার একটি বাড়ি থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহানের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে স্থানীয়রা ওই বাড়ি থেকে পঁচা দুর্গন্ধ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশে খবর দেয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল দুুপুরেই নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহানের স্ত্রী চায়না খাতুন ও ছেলে শিশির আহম্মেদকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। নৌ বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান চাকরি শেষে অবসর জীবনযাপন করছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সকলের ধারণা। আব্দুস সোবহানের প্রতিবেশীরা জানান, গত মঙ্গলবার দুুপুরে আব্দুস সোবহান ব্যাংক থেকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা উত্তোলন করেন। ওই রাতেই ছেলে শিশিরের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। রাতে বাড়ি থেকে চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দও পান স্থানীয়রা। পরদিন বুধবার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাবা ও ছেলে দুজনের মধ্যে আবারো হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। ওই দিন মাঝ রাতে আব্দুস সোবহানের আত্মচিৎকারও শুনেছেন অনেকে। এরপর থেকে থেকে আর আব্দুস সোবহানকে কেউ দেখেনি। এরই মধ্যে গতকাল আব্দুস সোহবানের বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে পঁচা দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। সন্দেহ হওয়ায় থানা পুলিশে খবর দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এবং ওই বাড়ি থেকে আব্দুস সোবহানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের ভাতিজি গুলশান আরা চৈতি বলেন, তার চাচার ছেলে শিশির বখাটে ও নেশাগ্রস্ত ছিল। কোনো কাজকর্ম করত না। নেশার টাকা জোগাতে না পেরে তার বাবার সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে তাকে আঘাত করার কারণেই চাচার মৃত্যু হতে পারে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, প্রতিবেশীদের খবরে নিহতের বাড়ি থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সোবহানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে।