বিপুল অস্ত্র এখনো বাইরে, বাড়ছে নিরাপত্তাসংকট
- আপলোড টাইম : ০৮:২৯:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৬ বার পড়া হয়েছে
- যৌথ অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ৫৩টি,
- গ্রেপ্তার ২৫, স্লাইপার রাইফেলসহ ২ হাজার অস্ত্র উদ্ধার হয়নি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় থানা থেকে লুট হওয়া প্রায় ২ হাজার আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩ লাখ গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি। উদ্ধার করা যায়নি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, এসএমজি টি-৫৬, ফ্ল্যাশব্যাং গ্রেনেড, অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম, বেতার যোগাযোগের ডিভাইস ও বিপুল গোলাবারুদ। গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া যৌথ বাহিনীর অভিযানে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৫৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৫ জন সন্ত্রাসীকে। এছাড়া আওয়ামী লীগের আমলে লাইসেন্স পাওয়া ১ হাজার ৬৫৪টি অস্ত্র নির্দিষ্ট সময়ে থানায় জমা পড়েনি।
লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাইরে থাকায় কি নিরাপত্তাসংকট বাড়ছে? জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব) আ ন ম মুনীরুজ্জামান বলেন, ‘বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ এখন যে উদ্ধার হয়নি, সেটা তো উদ্বেগের। এছাড়া গণভবন ও সংসদ ভবন থেকে এসএসএফের যে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়েছে, সেগুলো তো কোনোভাবেই সাধারণ নাগরিকের কাছে, এমনকি পুলিশের কাছে থাকাও উচিত নয়। এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাইরে থাকলে যে কোনো সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা থেকে যায়।’
এদিকে এসব অবৈধ অস্ত্রের সঙ্গে যোগ হয়েছে গত ১৫ বছরে বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রও। যার বেশির ভাগই রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতে। গত মঙ্গলবারের মধ্যে গোলাবারুদসহ এসব আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বেঁধে দেওয়া সময় শেষেও অনেকে অস্ত্র জমা দেননি। জানা গেছে, দেশের আট বিভাগে ৯ হাজার ১৯১টি বৈধ অস্ত্র থানাগুলোতে জমা পড়েছে। বাকি ১ হাজার ৬৫৪টি জমাযোগ্য বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়া হয়নি।
এসব আগ্নেয়াস্ত্র সাধারণ মানুষের কাছে থাকা কতটা নিরাপদ? জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা বলেন, ‘অবৈধ কোনো আগ্নেয়াস্ত্র সাধারণ মানুষের কাছে থাকা ঠিক না। এর কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে কোনো সময় অবনতি হতে পারে। এই মুহূর্তে সরকারের কাজ হবে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে মনোযোগ দেওয়া। পাশাপাশি যেসব সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা পালিয়ে গেছেন তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’