ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দুলবাড়ীয়া বাজার কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ

প্রতিবেদক, আন্দুলবাড়ীয়া:
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪৬:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া বাজার কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৫ মে আন্দুলবাড়ীয়া বাজার কমিটির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত কমিটি ২০১৯ সালের ২৬ মে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ ও দায়িত্বভার গ্রহণ করে। ২০২২ সালের ২৬ মে এ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পদাধিকারবলে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল খালেককে আহ্বায়ক ও জামিরুল খানকে সদস্যসচিব মনোনীত করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক কমিটি গঠন করেন।

তবে ১ বছর ৫ মাস দায়িত্ব পালনের পর ২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মির্জা হাকিবুর রহমান লিটনের নিকট এডহক কমিটির সকল সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা হাকিবুর রহমান লিটন কাজী আহসান হায়দার হাসানকে আহ্বায়ক ও বজলুর রহমান বিশ্বাসকে সদস্যসচিব মনোনীত করে পুনরায় একটি এডহক কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি দীর্ঘ ১ বছর দায়িত্ব পালন করছে। তবে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতা পতনের পর বর্তমান বাজার পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কাজী আহসান হায়দার হাসান ও সদস্যসচিব বজলুর রহমান বিশ্বাস গত ৩১ আগস্ট আন্দুলবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট পদত্যাগপত্র জমা দেন। এতে দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে ঝুলে রয়েছে নির্বাচন। এ নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

আন্দুলবাড়ীয়া বাজার কমিটি ১৯৭৩ সালে গঠিত হয়। গঠিত সংবিধান ও গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক ১/ জ ধারা মোতাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ৯০ দিন পূর্বে ইউপি চেয়ারম্যান অথবা নির্বাচন কমিশনারকে অবহিত করতে হবে। এবং নির্বাচন কমিশনের সহিত পরামর্শক্রমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি এবং নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনী কার্যক্রম ব্যর্থ হলে নির্বাচন কমিশনার এডহক কমিটি ও নির্বাচন কমিশনার অবশ্যই ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন না করা গেলে সাধারণ সভার আহ্বান করিয়া সাধারণ ব্যবসায়ীগণের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

আরও উল্লেখ রয়েছে যে, ১/ঝ ধারা মোতাবেক প্রাক্তণ কমিটির ৩ বছর মেয়াদ পূর্তি হওয়ার সাথে সাথে পরবর্তী কমিটির হাতে অথবা ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট সমুদয় দায়িত্ব অর্পণ করবেন।

এ ব্যাপারে আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মির্জা হাকিবুর রহমান লিটন দৈনিক সময়ের সমীকরণকে বলেন, বাজারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি বজায় রাখতে ও বাজারের সকল ব্যবসায়ীদের স্বার্থে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও জবাবদিহিমূলক একটি এডহক কমিটি গঠন অথবা ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন দেয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

আন্দুলবাড়ীয়া বাজার কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ

আপলোড টাইম : ০৪:৪৬:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া বাজার কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৫ মে আন্দুলবাড়ীয়া বাজার কমিটির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত কমিটি ২০১৯ সালের ২৬ মে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ ও দায়িত্বভার গ্রহণ করে। ২০২২ সালের ২৬ মে এ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পদাধিকারবলে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল খালেককে আহ্বায়ক ও জামিরুল খানকে সদস্যসচিব মনোনীত করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক কমিটি গঠন করেন।

তবে ১ বছর ৫ মাস দায়িত্ব পালনের পর ২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মির্জা হাকিবুর রহমান লিটনের নিকট এডহক কমিটির সকল সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা হাকিবুর রহমান লিটন কাজী আহসান হায়দার হাসানকে আহ্বায়ক ও বজলুর রহমান বিশ্বাসকে সদস্যসচিব মনোনীত করে পুনরায় একটি এডহক কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি দীর্ঘ ১ বছর দায়িত্ব পালন করছে। তবে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতা পতনের পর বর্তমান বাজার পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কাজী আহসান হায়দার হাসান ও সদস্যসচিব বজলুর রহমান বিশ্বাস গত ৩১ আগস্ট আন্দুলবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট পদত্যাগপত্র জমা দেন। এতে দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে ঝুলে রয়েছে নির্বাচন। এ নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

আন্দুলবাড়ীয়া বাজার কমিটি ১৯৭৩ সালে গঠিত হয়। গঠিত সংবিধান ও গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক ১/ জ ধারা মোতাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ৯০ দিন পূর্বে ইউপি চেয়ারম্যান অথবা নির্বাচন কমিশনারকে অবহিত করতে হবে। এবং নির্বাচন কমিশনের সহিত পরামর্শক্রমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি এবং নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনী কার্যক্রম ব্যর্থ হলে নির্বাচন কমিশনার এডহক কমিটি ও নির্বাচন কমিশনার অবশ্যই ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন না করা গেলে সাধারণ সভার আহ্বান করিয়া সাধারণ ব্যবসায়ীগণের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

আরও উল্লেখ রয়েছে যে, ১/ঝ ধারা মোতাবেক প্রাক্তণ কমিটির ৩ বছর মেয়াদ পূর্তি হওয়ার সাথে সাথে পরবর্তী কমিটির হাতে অথবা ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট সমুদয় দায়িত্ব অর্পণ করবেন।

এ ব্যাপারে আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মির্জা হাকিবুর রহমান লিটন দৈনিক সময়ের সমীকরণকে বলেন, বাজারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি বজায় রাখতে ও বাজারের সকল ব্যবসায়ীদের স্বার্থে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও জবাবদিহিমূলক একটি এডহক কমিটি গঠন অথবা ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন দেয়া হবে।