ইপেপার । আজ সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সারা দেশে আজ থেকে শুরু হচ্ছে যৌথ অভিযান। ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে ও পরে সারা দেশে বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে  হামলা এবং অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে দুর্বৃত্তরা। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক নির্দেশনায় কোনো ব্যক্তির কাছে এ ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে ৩রা সেপ্টেম্বর মঙ্গলবারের মধ্যে তা নিকটস্থ থানায় জমা দেয়ার জন্য বলা হয়। এর পরেও যদি কারও কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় পুলিশ সদর দপ্তর। সেই হিসেবে আজ থেকে মাঠে নামবে যৌথ বাহিনী।

পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে সব বাহিনীর সমন্বয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলবে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা ঠিক করা হয়েছে। যৌথ অভিযানে সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী), বিজিবি, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সমন্বয় থাকবে। সব জেলায় সমন্বয় সভা ডাকা হয়েছে। পুলিশ সুপার, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্য সদস্যদের সমন্বয়ে কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। সভায় স্থগিতকৃত লাইসেন্সের তালিকা পর্যালোচনা করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশ কমিশনাররা সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় বুধবার থেকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য যৌথ অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। জেলা প্রশাসক (ডিসি) প্রণীত স্থগিতকৃত লাইসেন্সধারীদের তালিকা এবং নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত জমাকৃত অস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের তালিকা পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থায় পাঠাবেন।

পুলিশের সূত্র বলছে, যৌথ অভিযানে জেল পলাতক আসামি ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে জোর দেয়া হবে। এ ছাড়া ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে যারা নির্বিচারে গুলি করে গা ঢাকা দিয়েছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। গুলি করার অনেক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করার কথাও বলা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেসব সদস্য নির্বিচারে গুলি করায় সরাসরি জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইতিমধ্যে বৈঠক হয়েছে। এতে সব বাহিনী ও গোয়েন্দাপ্রধান এবং তাদের প্রতিনিধিরা ছিলেন। 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু

আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সারা দেশে আজ থেকে শুরু হচ্ছে যৌথ অভিযান। ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে ও পরে সারা দেশে বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে  হামলা এবং অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে দুর্বৃত্তরা। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক নির্দেশনায় কোনো ব্যক্তির কাছে এ ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে ৩রা সেপ্টেম্বর মঙ্গলবারের মধ্যে তা নিকটস্থ থানায় জমা দেয়ার জন্য বলা হয়। এর পরেও যদি কারও কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় পুলিশ সদর দপ্তর। সেই হিসেবে আজ থেকে মাঠে নামবে যৌথ বাহিনী।

পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে সব বাহিনীর সমন্বয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলবে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা ঠিক করা হয়েছে। যৌথ অভিযানে সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী), বিজিবি, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সমন্বয় থাকবে। সব জেলায় সমন্বয় সভা ডাকা হয়েছে। পুলিশ সুপার, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি, গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্য সদস্যদের সমন্বয়ে কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। সভায় স্থগিতকৃত লাইসেন্সের তালিকা পর্যালোচনা করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশ কমিশনাররা সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় বুধবার থেকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য যৌথ অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। জেলা প্রশাসক (ডিসি) প্রণীত স্থগিতকৃত লাইসেন্সধারীদের তালিকা এবং নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত জমাকৃত অস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের তালিকা পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থায় পাঠাবেন।

পুলিশের সূত্র বলছে, যৌথ অভিযানে জেল পলাতক আসামি ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে জোর দেয়া হবে। এ ছাড়া ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে যারা নির্বিচারে গুলি করে গা ঢাকা দিয়েছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। গুলি করার অনেক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করার কথাও বলা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেসব সদস্য নির্বিচারে গুলি করায় সরাসরি জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইতিমধ্যে বৈঠক হয়েছে। এতে সব বাহিনী ও গোয়েন্দাপ্রধান এবং তাদের প্রতিনিধিরা ছিলেন।