ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর পর দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী নয়: তারেক রহমান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৪৩:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে আর কোনোদিন কেউ যাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বৈরাচারী না হয়ে উঠতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে বিএনপি সংবিধানে এমন ব্যবস্থা রাখতে চায়, যাতে কেউ যেন পর পর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন। গতকাল রোববার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে লন্ডন থেকে অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুমিল্লা ও ফরিদপুরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের সাথে সাথে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশায় যুক্ত হয়েছে নতুন আশাবাদ আর পরিবর্তিত হয়েছে ভাষা। এ পরিবর্তিত নতুন ভাষা পড়তে ও বুঝতে হবে। আর আশাবাদকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে- সেটা না পারলে ছিটকে পড়তে হবে। তিনি আরও বলেন, এতদিন শুধু আওয়ামী লীগ ছিল প্রকাশ্য প্রতিপক্ষ। আমরা তাদের আক্রমণের ধরন বুঝতাম ও জানতাম। এখন ওরা ছাড়াও চারিদিকে অসংখ্য অদৃশ্য প্রতিপক্ষ রয়েছে। এদের অবস্থান অন্ধকারে এবং এরা সর্বত্র। সতর্ক থাকতে হবে এই দৃশ্যমান আর অদৃশ্য প্রতিপক্ষ মোকাবিলায়। বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে তিনি গত বছর জুলাইয়ে উপস্থাপিত ৩১ দফা কর্মসূচির মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

তারেক বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে এদেশে স্বৈরশাসনের কবর রচনা করতে চায়। আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে চায়। রাষ্ট্র পরিচালনায় সমাজের জ্ঞাণী-গুনীদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করতে; দুই কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চায়। তরুণ ও বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান আর কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত যোগ্যতা অনুযায়ী ভাতা প্রবর্তন করতে চায়। নিশ্চিত করতে চায় সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষি অর্থনীতি সব ক্ষেত্রে আনতে চায় যুগোপযোগী আমূল পরিবর্তন। গড়তে চায় ধর্ম বর্ণ গোত্র গোষ্ঠী সমতল পাহাড়ি নির্বিশেষে এক সুষম সমঅধিকারের আধুনিক বাংলাদেশ। তিনি দলের সব নেতাকর্মীকে এই বার্তা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর নির্দেশ দেন।

তারেক রহমান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার সফলতা আর জনপ্রিয়তার একমাত্র ভিত্তি ছিল দেশের সর্বস্তরের মানুষের অকৃত্রিম  ভালোবাসা। এদেশের মানুষের প্রাণঢালা ভালোবাসা আর আস্থাই বিএনপির একমাত্র শক্তি। জনগণের এই প্রতিষ্ঠিত ভালোবাসাকে যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। কোনোভাবেই এটা বিনষ্ট করা যাবে না। আর কেউ যদি কোনো অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়, তাহলে সে যত বড়ই হোক, দল তাকে বিন্দুমাত্র প্রশ্রয় দেবে না। বিএনপি পরিবার ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে অতীতের মত আবারও দল হিসেবে সফল হবে-এ আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

পর পর দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী নয়: তারেক রহমান

আপলোড টাইম : ০৭:৪৩:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে আর কোনোদিন কেউ যাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বৈরাচারী না হয়ে উঠতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে বিএনপি সংবিধানে এমন ব্যবস্থা রাখতে চায়, যাতে কেউ যেন পর পর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন। গতকাল রোববার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে লন্ডন থেকে অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুমিল্লা ও ফরিদপুরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের সাথে সাথে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশায় যুক্ত হয়েছে নতুন আশাবাদ আর পরিবর্তিত হয়েছে ভাষা। এ পরিবর্তিত নতুন ভাষা পড়তে ও বুঝতে হবে। আর আশাবাদকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে- সেটা না পারলে ছিটকে পড়তে হবে। তিনি আরও বলেন, এতদিন শুধু আওয়ামী লীগ ছিল প্রকাশ্য প্রতিপক্ষ। আমরা তাদের আক্রমণের ধরন বুঝতাম ও জানতাম। এখন ওরা ছাড়াও চারিদিকে অসংখ্য অদৃশ্য প্রতিপক্ষ রয়েছে। এদের অবস্থান অন্ধকারে এবং এরা সর্বত্র। সতর্ক থাকতে হবে এই দৃশ্যমান আর অদৃশ্য প্রতিপক্ষ মোকাবিলায়। বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে তিনি গত বছর জুলাইয়ে উপস্থাপিত ৩১ দফা কর্মসূচির মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

তারেক বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে এদেশে স্বৈরশাসনের কবর রচনা করতে চায়। আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে চায়। রাষ্ট্র পরিচালনায় সমাজের জ্ঞাণী-গুনীদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করতে; দুই কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চায়। তরুণ ও বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান আর কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত যোগ্যতা অনুযায়ী ভাতা প্রবর্তন করতে চায়। নিশ্চিত করতে চায় সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষি অর্থনীতি সব ক্ষেত্রে আনতে চায় যুগোপযোগী আমূল পরিবর্তন। গড়তে চায় ধর্ম বর্ণ গোত্র গোষ্ঠী সমতল পাহাড়ি নির্বিশেষে এক সুষম সমঅধিকারের আধুনিক বাংলাদেশ। তিনি দলের সব নেতাকর্মীকে এই বার্তা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর নির্দেশ দেন।

তারেক রহমান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার সফলতা আর জনপ্রিয়তার একমাত্র ভিত্তি ছিল দেশের সর্বস্তরের মানুষের অকৃত্রিম  ভালোবাসা। এদেশের মানুষের প্রাণঢালা ভালোবাসা আর আস্থাই বিএনপির একমাত্র শক্তি। জনগণের এই প্রতিষ্ঠিত ভালোবাসাকে যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। কোনোভাবেই এটা বিনষ্ট করা যাবে না। আর কেউ যদি কোনো অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়, তাহলে সে যত বড়ই হোক, দল তাকে বিন্দুমাত্র প্রশ্রয় দেবে না। বিএনপি পরিবার ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে অতীতের মত আবারও দল হিসেবে সফল হবে-এ আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।