ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার সহকারী ক্রীড়া শিক্ষক রাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ

এমপিও নীতিমালা লঙ্ঘন করে সাংবাদিকতা, অবৈধ সম্পদ অর্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:২২:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার সহকারী ক্রীড়া শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম ওরফে ইসলাম রাকিবের বিরুদ্ধে এমপিও নীতিমালা লঙ্ঘন করে সাংবাদিকতা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে। নারী ফুটবল দলের সদস্য হাফিজা খাতুন এ লিখিত অভিযোগপত্র চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি বরাবর দাখিল করেন।

অভিযোগ পত্রে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার (সিনিয়র আলিয়া মাদ্রাসা) সহকারী ক্রীড়া শিক্ষক (বিপিএড) রাকিবুল ইসলাম ওরফে ইসলাম রাকিব সরকারি এমপিও নীতিমালা ২০২১-এর ১১.১৭ ধারা লঙ্ঘন করে চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামের পাশে অবস্থিত শিশু-কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত থেকে সেখান থেকে প্রতিমাসে বেতন-ভাতা গ্রহণ করছেন। তিনি প্রথম থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়ে ওই কেন্দ্রের কোনো আয়-ব্যয়ের হিসাব দেন না। সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে নিজের একটি কফি শপ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় দৈনিক মাথাভাঙ্গা ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পত্রিকার প্রতিনিধি হওয়ায় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে শুধুমাত্র হাজিরা খাতায় সই করে বেরিয়ে পড়েন। সাংবাদিক হওয়ায় মাদ্রাসায় তাকে কিছু বলার সাহস পায় না কর্তৃপক্ষ। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান না করে মাদ্রাসা চলাকালীন তিনি এদিক-সেদিক ছুঁটে বেড়ান। কেউ প্রশ্ন করলে বলেন, ‘তিনি আওয়ামী লীগ দলের সঙ্গে জড়িত। ডিসি-ইউএনও তার কাছের মানুষ। বেশি তেড়িবেড়ি করলে পত্রিকায় নিউজ করে দেব’। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রাকিবুল ইসলাম ওরফে ইসলাম রাকিব মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রচুর অবৈধ রোজগার করেছেন। সেই সঙ্গে করেছেন বাড়ি, গাড়ি, জমি-জমা, বেনামে রয়েছে প্রচুর সম্পদ।

অভিযোগ পত্রের অনুলিপি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার (সিনিয়র আলিয়া মাদ্রাসা) অধ্যক্ষ, ঝিনাইদহ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাকিবুল ইসলাম ওরফে ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত হলে আমি অভিযোগের জবাব দেব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার সহকারী ক্রীড়া শিক্ষক রাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ

এমপিও নীতিমালা লঙ্ঘন করে সাংবাদিকতা, অবৈধ সম্পদ অর্জন

আপলোড টাইম : ০৯:২২:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার সহকারী ক্রীড়া শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম ওরফে ইসলাম রাকিবের বিরুদ্ধে এমপিও নীতিমালা লঙ্ঘন করে সাংবাদিকতা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে। নারী ফুটবল দলের সদস্য হাফিজা খাতুন এ লিখিত অভিযোগপত্র চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি বরাবর দাখিল করেন।

অভিযোগ পত্রে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার (সিনিয়র আলিয়া মাদ্রাসা) সহকারী ক্রীড়া শিক্ষক (বিপিএড) রাকিবুল ইসলাম ওরফে ইসলাম রাকিব সরকারি এমপিও নীতিমালা ২০২১-এর ১১.১৭ ধারা লঙ্ঘন করে চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামের পাশে অবস্থিত শিশু-কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত থেকে সেখান থেকে প্রতিমাসে বেতন-ভাতা গ্রহণ করছেন। তিনি প্রথম থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়ে ওই কেন্দ্রের কোনো আয়-ব্যয়ের হিসাব দেন না। সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে নিজের একটি কফি শপ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় দৈনিক মাথাভাঙ্গা ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পত্রিকার প্রতিনিধি হওয়ায় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে শুধুমাত্র হাজিরা খাতায় সই করে বেরিয়ে পড়েন। সাংবাদিক হওয়ায় মাদ্রাসায় তাকে কিছু বলার সাহস পায় না কর্তৃপক্ষ। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান না করে মাদ্রাসা চলাকালীন তিনি এদিক-সেদিক ছুঁটে বেড়ান। কেউ প্রশ্ন করলে বলেন, ‘তিনি আওয়ামী লীগ দলের সঙ্গে জড়িত। ডিসি-ইউএনও তার কাছের মানুষ। বেশি তেড়িবেড়ি করলে পত্রিকায় নিউজ করে দেব’। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রাকিবুল ইসলাম ওরফে ইসলাম রাকিব মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রচুর অবৈধ রোজগার করেছেন। সেই সঙ্গে করেছেন বাড়ি, গাড়ি, জমি-জমা, বেনামে রয়েছে প্রচুর সম্পদ।

অভিযোগ পত্রের অনুলিপি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার (সিনিয়র আলিয়া মাদ্রাসা) অধ্যক্ষ, ঝিনাইদহ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাকিবুল ইসলাম ওরফে ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত হলে আমি অভিযোগের জবাব দেব।’