ইপেপার । আজ বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ অভিযান

তিন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সিলগালা, একটিতে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৪:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ অভিযানে এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাসহ তিন প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে। অভিযানে আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালিত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হাসান জেলার সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও অবৈধভাবে পরিচালনা করা ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন। জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমাও অভিযান পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেন। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার যৌথ অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।

অভিযানে সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারের বিআরএম হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়। অপারেশন থিয়েটার মানসম্পন্ন নয়, সিজারিয়ানে একই ডাক্তার অ্যানেসথেসিয়া দেয়া ও অপারেশন করা, ল্যাবের ব্যবস্থাপনা সঠিক না হওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়। এসব অনিয়মের অভিযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে মেডিকেল প্রাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮০ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও বন্ধ করে সিলগালা করা হয়।

এছাড়াও সরোজগঞ্জ বাজারের মুন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকেও বন্ধ ঘোষণা করে সিলগালা করা হয়। এর আগে আভিযানিক দল সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে মেসার্স ক্রিসেন্ট ফার্মেসি নামে এক প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানেরই পাশের আরেকটি শাখাকে চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়।

অভিযানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আশিস মোমতাজ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হাসান ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, তিন প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সকর্ত করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যহত থাকবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ অভিযান

তিন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সিলগালা, একটিতে জরিমানা

আপলোড টাইম : ১০:৪৪:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ অভিযানে এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাসহ তিন প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে। অভিযানে আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালিত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হাসান জেলার সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাও অবৈধভাবে পরিচালনা করা ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন। জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমাও অভিযান পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেন। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার যৌথ অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।

অভিযানে সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারের বিআরএম হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়। অপারেশন থিয়েটার মানসম্পন্ন নয়, সিজারিয়ানে একই ডাক্তার অ্যানেসথেসিয়া দেয়া ও অপারেশন করা, ল্যাবের ব্যবস্থাপনা সঠিক না হওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়। এসব অনিয়মের অভিযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে মেডিকেল প্রাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮০ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও বন্ধ করে সিলগালা করা হয়।

এছাড়াও সরোজগঞ্জ বাজারের মুন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকেও বন্ধ ঘোষণা করে সিলগালা করা হয়। এর আগে আভিযানিক দল সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে মেসার্স ক্রিসেন্ট ফার্মেসি নামে এক প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানেরই পাশের আরেকটি শাখাকে চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়।

অভিযানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আশিস মোমতাজ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হাসান ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, তিন প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সকর্ত করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যহত থাকবে।