ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, দিনভর উত্তেজনা

দর্শনা সরকারি কলেজের শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৯:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা সরকারি কলেজের এক শিক্ষককে নিয়ে দিনভর উত্তেজনা ও থানায় জিডি করা হয়েছে। কলেজের ছাত্রীদের নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার কলেজ প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করতে গেলেও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠে। ইতোমধ্যে ওই শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবি তুলে দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, দর্শনা সরকারি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মেহেদি হাসান (৩১) নানাভাবে কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণ করতেন। বিভিন্ন অজুহাতে মেয়েদের গায়ে হাত দিতেন তিনি। কলেজ প্রাঙ্গনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে প্রকাশ্যে ওই শিক্ষকের ক্ষমা চাওয়ার কথা ছিল। তবে তিনি ক্ষমা না চেয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। শিক্ষার্থীরা না মানতে চাইলে ওই শিক্ষকের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, দর্শনা সরকারি কলেজের প্রভাষক মেহেদি হাসান কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে নানাভাবে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটিয়ে আসছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেহেদি হাসানের দ্বারা নিপীড়নের শিকার শিক্ষার্থীরা এই বিষযে সরব হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গতকাল দর্শনা কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের ডাক দেয়, যেখানে অভিযুক্ত শিক্ষক ক্ষমা চাইবেন বলে জানান। কিন্তু এদিন সকালে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে মেহেদী হাসানের পক্ষের গুন্ডারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা উক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তারা তিন দফা দাবি পেশ করেছেন। দাবিগুলো হলো- যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষক মেহেদীকে লজ্জিত এবং জনসম্মুখে ক্ষমা চেয়ে, তা নিয়ে তার ব্যক্তিগত আইডিতে একটি ছোট পোস্ট দিতে হবে। তার পরিবার বা তার শুভাকাক্সক্ষী দ্বারা কোনো ভিকটিম বা ভিকটিমের পরিবারকে হয়রানি করা যাবে না, তা নিশ্চিত করতে হবে এবং তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।
দর্শনা থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে এক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী উল্লেখ করেছেন, বিবাদী আমাকেসহ দর্শনা সরকারি কলেজের বিভিন্ন ছাত্রীদের নানা অশালীন কথাবার্ত বলে আসছে। সোমবার বেলা ১১টায় দর্শনা থানাধীন কলেজপাড়াস্থ দর্শনা কলেজের মধ্যে গিয়ে উক্ত বিষয়টি নিয়ে বিবাদীর সাথে আলোচনা করতে গেলে কলেজের ভেতরে থাকা অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে নীলাফোলা জখম করে এবং বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধমকি প্রদান করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের এক ছাত্রী বলেন, ‘অযথা স্যার মারে, মারার নাম করে এক প্রকার মেয়েদের শরীর স্পর্শ করে।’ এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মেহেদি হাসান বলেন, এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান। আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, দিনভর উত্তেজনা

দর্শনা সরকারি কলেজের শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১০:৩৯:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

দর্শনা সরকারি কলেজের এক শিক্ষককে নিয়ে দিনভর উত্তেজনা ও থানায় জিডি করা হয়েছে। কলেজের ছাত্রীদের নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার কলেজ প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করতে গেলেও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠে। ইতোমধ্যে ওই শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবি তুলে দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, দর্শনা সরকারি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মেহেদি হাসান (৩১) নানাভাবে কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণ করতেন। বিভিন্ন অজুহাতে মেয়েদের গায়ে হাত দিতেন তিনি। কলেজ প্রাঙ্গনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে প্রকাশ্যে ওই শিক্ষকের ক্ষমা চাওয়ার কথা ছিল। তবে তিনি ক্ষমা না চেয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। শিক্ষার্থীরা না মানতে চাইলে ওই শিক্ষকের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, দর্শনা সরকারি কলেজের প্রভাষক মেহেদি হাসান কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে নানাভাবে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটিয়ে আসছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেহেদি হাসানের দ্বারা নিপীড়নের শিকার শিক্ষার্থীরা এই বিষযে সরব হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গতকাল দর্শনা কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের ডাক দেয়, যেখানে অভিযুক্ত শিক্ষক ক্ষমা চাইবেন বলে জানান। কিন্তু এদিন সকালে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে মেহেদী হাসানের পক্ষের গুন্ডারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা উক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তারা তিন দফা দাবি পেশ করেছেন। দাবিগুলো হলো- যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষক মেহেদীকে লজ্জিত এবং জনসম্মুখে ক্ষমা চেয়ে, তা নিয়ে তার ব্যক্তিগত আইডিতে একটি ছোট পোস্ট দিতে হবে। তার পরিবার বা তার শুভাকাক্সক্ষী দ্বারা কোনো ভিকটিম বা ভিকটিমের পরিবারকে হয়রানি করা যাবে না, তা নিশ্চিত করতে হবে এবং তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।
দর্শনা থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে এক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী উল্লেখ করেছেন, বিবাদী আমাকেসহ দর্শনা সরকারি কলেজের বিভিন্ন ছাত্রীদের নানা অশালীন কথাবার্ত বলে আসছে। সোমবার বেলা ১১টায় দর্শনা থানাধীন কলেজপাড়াস্থ দর্শনা কলেজের মধ্যে গিয়ে উক্ত বিষয়টি নিয়ে বিবাদীর সাথে আলোচনা করতে গেলে কলেজের ভেতরে থাকা অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে নীলাফোলা জখম করে এবং বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধমকি প্রদান করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের এক ছাত্রী বলেন, ‘অযথা স্যার মারে, মারার নাম করে এক প্রকার মেয়েদের শরীর স্পর্শ করে।’ এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মেহেদি হাসান বলেন, এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান। আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।