ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খেজুরা ও পিরোজখালিতে ছাত্র-জনতার আনন্দ মিছিলে হামলা

দুটি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আসামি ৮৭

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১১:২০:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার পিরোজখালি ও খেজুরা গ্রামে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। দুটি মামলায় পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আলম আলীসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৮০-১০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে সদর উপজেলার খেজুরা গ্রামের মাহতাব উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও পিরোজখালি গ্রামের মৃত মুছাব আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দুটি করেন।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে পরের দিন ৬ আগস্ট ছাত্র-জনতার নের্তৃত্বে মোটরসাইকেল, পাখিভ্যান ও ইজিবাইক নিয়ে খেজুরা ও পিরোজখালিতে দুটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। এই শোভাযাত্রা দুটি ওই দিন বিকেল চারটায় গোপীনাথপুর গ্রামে আলম চেয়ারম্যানের বাড়ির কাছে পৌঁছালে তার নের্তৃত্বে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালানো হয়। এলোপাতাড়ি হামলায় শোভাযাত্রা ভন্ডুল হয়ে যায়। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র, হাত কুড়াল ও ককটেল নিয়ে হামলা চালায়। চেয়ারম্যান আলম সে সময় তার কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় উপস্থিত ছাত্র-জনতা তাদের কছে থাকা বেশ কিছু মোটরসাইকেল রেখে আশপাশে পালিয়ে গিয়ে তাদের জীবন রক্ষা করেন। পরে হামলাকারীরা ওই মোটরসাইকেলগুলো ভেঙ্গে ও পুড়িয়ে দেয়। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, সদর উপজেলার খেজুরা গ্রামের মাহতাব উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও পিরোজখালি গ্রামের মৃত মুছাব আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় দুটি পৃথক মামলা করেছেন। ওই মামলা দুটির বিষয়ে সদর থানার পুলিশ আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

খেজুরা ও পিরোজখালিতে ছাত্র-জনতার আনন্দ মিছিলে হামলা

দুটি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আসামি ৮৭

আপলোড টাইম : ১১:২০:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার পিরোজখালি ও খেজুরা গ্রামে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। দুটি মামলায় পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আলম আলীসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৮০-১০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে সদর উপজেলার খেজুরা গ্রামের মাহতাব উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও পিরোজখালি গ্রামের মৃত মুছাব আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দুটি করেন।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে পরের দিন ৬ আগস্ট ছাত্র-জনতার নের্তৃত্বে মোটরসাইকেল, পাখিভ্যান ও ইজিবাইক নিয়ে খেজুরা ও পিরোজখালিতে দুটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। এই শোভাযাত্রা দুটি ওই দিন বিকেল চারটায় গোপীনাথপুর গ্রামে আলম চেয়ারম্যানের বাড়ির কাছে পৌঁছালে তার নের্তৃত্বে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালানো হয়। এলোপাতাড়ি হামলায় শোভাযাত্রা ভন্ডুল হয়ে যায়। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র, হাত কুড়াল ও ককটেল নিয়ে হামলা চালায়। চেয়ারম্যান আলম সে সময় তার কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় উপস্থিত ছাত্র-জনতা তাদের কছে থাকা বেশ কিছু মোটরসাইকেল রেখে আশপাশে পালিয়ে গিয়ে তাদের জীবন রক্ষা করেন। পরে হামলাকারীরা ওই মোটরসাইকেলগুলো ভেঙ্গে ও পুড়িয়ে দেয়। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, সদর উপজেলার খেজুরা গ্রামের মাহতাব উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও পিরোজখালি গ্রামের মৃত মুছাব আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় দুটি পৃথক মামলা করেছেন। ওই মামলা দুটির বিষয়ে সদর থানার পুলিশ আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।