ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেই আ.লীগ, বিএনপির দখলে রাজপথ

এলাকায় থাকলেও আ.লীগের কেউ পালন করেনি ১৫ আগস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৩:৫০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনা থাকলেও ১৫ আগস্ট ঘিরে চুয়াডাঙ্গার কোথাও দেখা যায়নি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকজনের কর্মসূচি ঘোষণা দেখলেও তাদের দলীয় কার্যালয়ে দেখা যায়নি কারো উপস্থিতি। ভঙ্গুর অবস্থায় পড়ে আছে কার্যালয়গুলো। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে দেওয়া হয়নি শ্রদ্ধাঞ্জলি, তোলা হয়নি কালো পতাকা। তবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীই চুয়াডাঙ্গায় অবস্থান করছেন। এর মধ্যে জেলা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাও আছেন।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ১৫ আগস্টের ছুটি বাতিল করা হয়। তবে চলমান পরিস্থিতির মধ্যেই আওয়ামী লীগ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মসূচি পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক এবং সকল সহযোগী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসমূহের প্রতি আহ্বান জানায়। একইসাথে আওয়ামী লীগের সকল জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সমস্ত শাখার নেতৃবৃন্দকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গৃহীত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে কর্মসূচি পালনের অনুরোধ জানানো হয়।
চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের আত্মগোপনে থাকা অনেক নেতাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৫ই আগস্টের কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান। বিভিন্ন ঘোষণা দেয়া থাকলেও তাদের কাউকে মাঠে দেখা যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গাতে আওয়ামী লীগের পদে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা অনেকেই অবস্থান করছেন। এরমধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গণুসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা ও জনপ্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গাতেই অবস্থান করছেন। এরমধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজুকে গত বুধবার জেলা পরিষদে আসতে দেখা গেছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের কেউ মাঠে না থাকলেও গতকাল সকাল থেকেই চুয়াডাঙ্গার রাজপথে দেখা গেছে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের। তারা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে কোর্ট মোড় ডাকবাংলোর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও দুপুরে একই স্থান থেকে মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে।
বিকেলে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলে তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালিয়ে গণহত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবি জানায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ১৬ বছর দেশে স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ১৬ বছরের দুঃশাসন থেকে দেশ মুক্ত হয়েছে। এই স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে ১৫ আগস্ট কর্মসূচি পালনের নামে ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগ। আমরা তাদের নীলনকশা বাস্তবায়ন হতে দেবো না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেই আ.লীগ, বিএনপির দখলে রাজপথ

এলাকায় থাকলেও আ.লীগের কেউ পালন করেনি ১৫ আগস্ট

আপলোড টাইম : ০৩:৫০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনা থাকলেও ১৫ আগস্ট ঘিরে চুয়াডাঙ্গার কোথাও দেখা যায়নি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকজনের কর্মসূচি ঘোষণা দেখলেও তাদের দলীয় কার্যালয়ে দেখা যায়নি কারো উপস্থিতি। ভঙ্গুর অবস্থায় পড়ে আছে কার্যালয়গুলো। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে দেওয়া হয়নি শ্রদ্ধাঞ্জলি, তোলা হয়নি কালো পতাকা। তবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীই চুয়াডাঙ্গায় অবস্থান করছেন। এর মধ্যে জেলা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাও আছেন।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ১৫ আগস্টের ছুটি বাতিল করা হয়। তবে চলমান পরিস্থিতির মধ্যেই আওয়ামী লীগ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মসূচি পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক এবং সকল সহযোগী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসমূহের প্রতি আহ্বান জানায়। একইসাথে আওয়ামী লীগের সকল জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সমস্ত শাখার নেতৃবৃন্দকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গৃহীত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে কর্মসূচি পালনের অনুরোধ জানানো হয়।
চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের আত্মগোপনে থাকা অনেক নেতাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৫ই আগস্টের কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান। বিভিন্ন ঘোষণা দেয়া থাকলেও তাদের কাউকে মাঠে দেখা যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গাতে আওয়ামী লীগের পদে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা অনেকেই অবস্থান করছেন। এরমধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গণুসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা ও জনপ্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গাতেই অবস্থান করছেন। এরমধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজুকে গত বুধবার জেলা পরিষদে আসতে দেখা গেছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের কেউ মাঠে না থাকলেও গতকাল সকাল থেকেই চুয়াডাঙ্গার রাজপথে দেখা গেছে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের। তারা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে কোর্ট মোড় ডাকবাংলোর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও দুপুরে একই স্থান থেকে মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে।
বিকেলে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলে তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালিয়ে গণহত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবি জানায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ১৬ বছর দেশে স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ১৬ বছরের দুঃশাসন থেকে দেশ মুক্ত হয়েছে। এই স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে ১৫ আগস্ট কর্মসূচি পালনের নামে ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগ। আমরা তাদের নীলনকশা বাস্তবায়ন হতে দেবো না।