ইপেপার । আজ বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল

গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের ফাঁসির দাবি

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৩:৪৮:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার নির্দেশদাতা স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠন। গতকাল বৃহস্পতিবার পৃথক আয়োজনে এই তিন জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন নেতা-কর্মীরা।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার অপরাধে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি, সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এসব কর্মসূচি পালন করেন। সকাল ১০টায় কোর্ট মোড়ে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মহিলা দলের সভাপতি রউফ উর নাহার রিনা।

অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শ্রমিক দলের সভাপতি এম. জেনারেল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম ও সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশেই নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে। এই গণহত্যার নির্দেশদাতা ছিলেন শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। আজ সারা দেশের মানুষ এই পতিত স্বৈরাচার খুনি শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের উপযুক্ত শাস্তি ফাঁসি চায়। বক্তারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে বিগত দেড় যুগ আমরা ভয় এবং আতঙ্কের রাজত্বে ছিলাম। এর বিরুদ্ধে আমরা নিরন্তর সংগ্রাম করেছি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। এই আন্দোলনে আমরা আমাদের সন্তান, ভাই, বন্ধু ও সহকর্মীকে হারিয়েছি। শেখ হাসিনার পতন হলেও এখনো আওয়ামী লীগের চক্রান্ত থামেনি। তারা নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একের পর এক চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের সাজা নিশ্চিত করতে হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন মালিক, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর শেফালী খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরীন বেগম, সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান মিশর, সদস্যসচিব ও পৌর কাউন্সিলর মহলদার ইমরান রিণ্টু, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক বিপুল হাসান হ্যাজি, সদস্যসচিব মো. আজিজুর রহমান আজিজুল, পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব মাজেদুল আলম মেহেদী প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় কোর্ট মোড় থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পুরাতন হাসপাতাল সড়ক, বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বর হয়ে পৌরসভা মোড় প্রদক্ষিণ করে কোর্ট মোড়ে ফিরে মিছিলটি শেষ হয়।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফের নির্দেশে বিকেল সাড়ে চারটায় একই স্থান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সগযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি বড় বাজার শহীদ হাসার চত্বর হয়ে পূর্বের স্থানে এসে শেষ হয়। এসময় নেতা-কর্মীরা একটি মোটরসাইকেল শোডাউন বের করে শহর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলের নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝণ্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আরেফির কিরণ প্রমুখ।
আলমডাঙ্গা:
ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে আলমডাঙ্গায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় উপজেলা মঞ্চে এর আয়োজন করে আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপি। এর আগে নেতা-কর্মীরা একটি মোটরসাইকেল র‌্যালি বের করে শহর প্রদক্ষিণ করে। পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিণ্টুর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই, আমাদের কোনো বিভেদ নেই। অন্য ধর্মের মানুষের সাথে কেউ অন্যায়-অত্যাচার করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি অন্য সকল ধর্মের ভাইদের বলতে চাই, আপনারা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্টদের পারপাস সার্ভ করতে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার কিংবা সরবরাহ করবেন না। আমি দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে দিচ্ছি, কেউ কোনো মন্দির গীর্জা বা প্যাগোডায় হামলা করার দুঃসাহস দেখাবেন না। আমরা সব ধর্মাবলম্বীদের সাথে হাতে হাতে মিলিয়ে দেশকে শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ও তাদের নেতা-কর্মীরা বিগত দিনে দেশে যে অরাজকতা চালিয়েছে, আমরা আর তা হতে দেব না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন আমাদের যে স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছে, তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা আর কারো রক্ত ঝরতে দেব না। আমরা ওই খুনি হাসিনার উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকব।’
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আক্তার, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য ইমদাদুল হক ডাবু, জেলা কৃষকদলের সদস্যসচিব ও বাড়াদী ইউপি চেয়ারম্যান তবারক হোসেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, উপজেলা বিএনপির সহসধারণ সম্পাদক হাজী মকবুল হোসেন ও পৌর বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক মহাবুল হক মাস্টার।

আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শুভর সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর কৃষক দলের সভাপতি মামুন, পৌর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ফিরোজ হোসেন, ডাউকী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদার আলী, সম্পাদক আব্দুস সালাম, জামজামি ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক পলাশ, বেলগাছী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ হোসেন, সম্পাদক কামাল হোসেন, কালিদাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আইনাল হক, আলমগীর হোসেন লালন, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, বাড়াদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বকুল, সম্পাদক শুকুর আলী, পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রহিদুল ইসলাম, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান চমক, সম্পাদক আব্দুল হক মিণ্টু, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল জব্বার, সম্পাদক লিপন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু সালেহ মাসুদ, সম্পাদক আবু জাফর, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ মালিথা, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সম্পাদক আজম আলী, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বরকত আলী, সম্পাদক আলতাফ হোসেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলিম উদ্দিন, সম্পাদক আমিনুল হক নান্নু, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সম্পাদক আরজান আলী, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মীর আসাদুজ্জামান উজ্জ্বল, সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলম বাবুসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে মোটরসাইকেল র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে হাফিজ মোড় থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেল র‌্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে ফিরে শেষ হয়। পরে সেখানে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শফিকুল আজম ডালিমের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী মহানগর শাখা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি কাউসুল কাউনাইন রুবেল। সভায় বৈশ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার দায়ে শেষ হাসিনার ফাঁসির দাবি জানানো হয়। পৌর যুবদল নেতা খন্দকার হাসিবুল ইসলাম হাসিবের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা যুবদল নেতা সুলতানুল আরেফিন তাইফু, গাউসুল কাউনাইন সুষম, আলমডাঙ্গা পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক মিঠু বিশ্বাস, যুগ্ম আহবায়ক জনি, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সামিউল ইসলাম সানি সবুজ প্রমুখ।


দামুড়হুদা:
দামুড়হুদায় কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বিতীয় দিনের মতো গণহত্যাকারী হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় উপজেলা বিএনপির আয়োজনে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা। প্রধান বক্তা ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।
বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মণ্টু মিয়া, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান টুনু ও দামুড়হুদা উপজেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক সালমা জাহান পারুল।
এসময় বক্তরা বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা সংগঠিত করা হয়েছে। এই গণহত্যার নির্দেশদাতা খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। স্বৈরাচারী খুনি শেখ হাসিনার মনে কোনো মায়া-দয়া ছিল না। তার নির্দেশে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে কোমলমতি শিশুসহ ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে। বক্তারা বলেন, পালিয়ে গিয়ে কোনো লাভ নেই। তাকে বিচারের কাঠগড়ায় তোলা হবে। বাংলাদেশের মানুষ খুনি হাসিনাকে ছাড়বে না।
দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেমের পরিচালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব এম.ডি.কে সুলতান। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন নাটুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ঈদ্রিস আলী, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, নাটুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক সাঈদ বিশ্বাস, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার, উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব লিপু আহমেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইকরামুল হক, সদস্যসচিব জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, যুগ্ম আহ্বায়ক রকিবুল হাসান তোতা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, সদস্যসচিব মাহফুজুর রহমান মিল্টন, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন, যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।


দর্শনা:
সারা দেশে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে দর্শনায় অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় দর্শনা পৌর বিএনপির উদ্যোগে দর্শনার রেল বন্দর থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন বাজার পৌর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় দর্শনা পৌর বিএনপি সমন্বয় কমিটির সদস্য এনামুল হক শাহ মুকুলের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী খন্দকার শওকত আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন দর্শনা পৌর বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ও সমন্বয় কমিটির সদস্য মালেক মন্ডল। দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা টুটুল শাহ, মিল্টন, অপু, সুলতান, দর্শনা থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াল ইসলাম লিওন, দর্শনা পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব আল মামুম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সজীব, সানোয়ার, মোতালেব, এনামুল, একরামুলসহ দর্শনার সকল ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।


জীবননগর:
ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে ‘গণহত্যাকারী খুনি হাসিনা’সহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে জীবননগরে বিএনপির উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জীবননগর মুক্তমঞ্চে অবস্থান নেয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান খোকন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আয়নাল হোসেন, জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাজান কবির, সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু, সিনিয়র সহসভাপতি তাজুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক শফি উদ্দিন, জীবননগর সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওসমান গনি, সাধারণ সম্পাদক বদর উদ্দিন বদল, উথলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা, কেডিকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনোয়ার হোসেন মাস্টার প্রমুখ।

মুজিবনগর:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালিয়ে গণহত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে মুজিবনগরে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম। অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজন। প্রধান বক্তা ছিলেন মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ বিশ্বাস। মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবুল হাসান, সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাবেদ সেনজিন, জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আসাদুল হাবিব সোনাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ অরুণ বলেন, মুজিবনগর তথা মেহেরপুরসহ সারা বাংলাদেশ ৫ই আগস্ট বৈষমবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যায়। শত শত মেধাবী ছাত্রদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীনতা পাই। তাদের আন্দোলনে খুনি ফ্যাসিবাদী হাসিনা গুলি চালিয়ে গণহত্যা চালিয়েও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি। আমরা আন্দোলনে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। একই সঙ্গে এই খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের উপযুক্ত শাস্তি ফাঁসি চাই।

Exif_JPEG_420


গাংনী:
মেহেরপুরের গাংনীতে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে এবং ১৫-ই আগস্টকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। গতকাল সকাল ধেকে দুপুর পর্যন্ত পৃথকভাবে গাংনী উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসব কর্মসূচি পালন করে। গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ বের হয়ে উপজেলা শহরে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেন মেহেরপুর জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, গাংনী উপজেলা বিএনপি’র নেতা জুরেলী আলভী, যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান মনি, সাহিবুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা নাজমুল হােেসন, ইমনসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এছাড়াও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের উদ্যোগে গাংনী রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে গাংনী উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহ:
পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জেলা ছাত্রদল পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুই সংগঠনের কর্মীরা শহরের পায়রা চত্বর ও পোস্ট অফিস মোড়ে জড়ো হয়। সেখানে তারা দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
জেলার কালীগঞ্জ, শৈলকুপা, মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলা শহরেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন। তবে জেলাব্যাপী কোথায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১৫ আগস্ট পালনের খবর পাওয়া যায়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শারমিন সুলতানা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে তারা শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা যাতে শহরের কোথাও ঢুকতে না পারে, সে জন্য তারা সজাগ আছে।
এদিকে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এম এম সোমেনুজ্জামান সোমেন জানান, পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির দাবিতে ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তাছাড়া শহরে যাতে আওয়ামী লীগের কর্মীরা নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য শত শত নেতা-কর্মী পাড়ায় পাড়ায় সতর্ক পাহারা বসিয়েছে।’
অপর দিকে, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৪ দফা দাবিতে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা ১১টায় শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার একই স্থানে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
এদিকে, ১৫ আগস্ট ঘিরে কোনো অপশক্তি যেন মাঠে না নামতে পারে, সে ব্যাপারে সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত শহরে অবস্থান করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী মাহাফুজুর রহমান ঈশান, সানমুন হোসেন, এজাজ আহমেদ, হৃদয় হোসেন, সৈয়দা সাহারা মাহফুজ, জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল

গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের ফাঁসির দাবি

আপলোড টাইম : ০৩:৪৮:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার নির্দেশদাতা স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠন। গতকাল বৃহস্পতিবার পৃথক আয়োজনে এই তিন জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন নেতা-কর্মীরা।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার অপরাধে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি, সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এসব কর্মসূচি পালন করেন। সকাল ১০টায় কোর্ট মোড়ে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মহিলা দলের সভাপতি রউফ উর নাহার রিনা।

অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শ্রমিক দলের সভাপতি এম. জেনারেল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম ও সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশেই নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে। এই গণহত্যার নির্দেশদাতা ছিলেন শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। আজ সারা দেশের মানুষ এই পতিত স্বৈরাচার খুনি শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের উপযুক্ত শাস্তি ফাঁসি চায়। বক্তারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে বিগত দেড় যুগ আমরা ভয় এবং আতঙ্কের রাজত্বে ছিলাম। এর বিরুদ্ধে আমরা নিরন্তর সংগ্রাম করেছি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। এই আন্দোলনে আমরা আমাদের সন্তান, ভাই, বন্ধু ও সহকর্মীকে হারিয়েছি। শেখ হাসিনার পতন হলেও এখনো আওয়ামী লীগের চক্রান্ত থামেনি। তারা নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একের পর এক চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের সাজা নিশ্চিত করতে হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুক্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন মালিক, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর শেফালী খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরীন বেগম, সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান মিশর, সদস্যসচিব ও পৌর কাউন্সিলর মহলদার ইমরান রিণ্টু, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক বিপুল হাসান হ্যাজি, সদস্যসচিব মো. আজিজুর রহমান আজিজুল, পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব মাজেদুল আলম মেহেদী প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় কোর্ট মোড় থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পুরাতন হাসপাতাল সড়ক, বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বর হয়ে পৌরসভা মোড় প্রদক্ষিণ করে কোর্ট মোড়ে ফিরে মিছিলটি শেষ হয়।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফের নির্দেশে বিকেল সাড়ে চারটায় একই স্থান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সগযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি বড় বাজার শহীদ হাসার চত্বর হয়ে পূর্বের স্থানে এসে শেষ হয়। এসময় নেতা-কর্মীরা একটি মোটরসাইকেল শোডাউন বের করে শহর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলের নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝণ্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আরেফির কিরণ প্রমুখ।
আলমডাঙ্গা:
ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে আলমডাঙ্গায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় উপজেলা মঞ্চে এর আয়োজন করে আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপি। এর আগে নেতা-কর্মীরা একটি মোটরসাইকেল র‌্যালি বের করে শহর প্রদক্ষিণ করে। পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিণ্টুর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই, আমাদের কোনো বিভেদ নেই। অন্য ধর্মের মানুষের সাথে কেউ অন্যায়-অত্যাচার করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি অন্য সকল ধর্মের ভাইদের বলতে চাই, আপনারা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্টদের পারপাস সার্ভ করতে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার কিংবা সরবরাহ করবেন না। আমি দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে দিচ্ছি, কেউ কোনো মন্দির গীর্জা বা প্যাগোডায় হামলা করার দুঃসাহস দেখাবেন না। আমরা সব ধর্মাবলম্বীদের সাথে হাতে হাতে মিলিয়ে দেশকে শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ও তাদের নেতা-কর্মীরা বিগত দিনে দেশে যে অরাজকতা চালিয়েছে, আমরা আর তা হতে দেব না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন আমাদের যে স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছে, তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা আর কারো রক্ত ঝরতে দেব না। আমরা ওই খুনি হাসিনার উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকব।’
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আক্তার, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য ইমদাদুল হক ডাবু, জেলা কৃষকদলের সদস্যসচিব ও বাড়াদী ইউপি চেয়ারম্যান তবারক হোসেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, উপজেলা বিএনপির সহসধারণ সম্পাদক হাজী মকবুল হোসেন ও পৌর বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক মহাবুল হক মাস্টার।

আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান শুভর সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর কৃষক দলের সভাপতি মামুন, পৌর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ফিরোজ হোসেন, ডাউকী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদার আলী, সম্পাদক আব্দুস সালাম, জামজামি ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক পলাশ, বেলগাছী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ হোসেন, সম্পাদক কামাল হোসেন, কালিদাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আইনাল হক, আলমগীর হোসেন লালন, কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, বাড়াদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বকুল, সম্পাদক শুকুর আলী, পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রহিদুল ইসলাম, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান চমক, সম্পাদক আব্দুল হক মিণ্টু, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল জব্বার, সম্পাদক লিপন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু সালেহ মাসুদ, সম্পাদক আবু জাফর, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ মালিথা, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সম্পাদক আজম আলী, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বরকত আলী, সম্পাদক আলতাফ হোসেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলিম উদ্দিন, সম্পাদক আমিনুল হক নান্নু, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সম্পাদক আরজান আলী, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মীর আসাদুজ্জামান উজ্জ্বল, সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলম বাবুসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে মোটরসাইকেল র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে হাফিজ মোড় থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেল র‌্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে ফিরে শেষ হয়। পরে সেখানে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শফিকুল আজম ডালিমের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী মহানগর শাখা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি কাউসুল কাউনাইন রুবেল। সভায় বৈশ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার দায়ে শেষ হাসিনার ফাঁসির দাবি জানানো হয়। পৌর যুবদল নেতা খন্দকার হাসিবুল ইসলাম হাসিবের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা যুবদল নেতা সুলতানুল আরেফিন তাইফু, গাউসুল কাউনাইন সুষম, আলমডাঙ্গা পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক মিঠু বিশ্বাস, যুগ্ম আহবায়ক জনি, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সামিউল ইসলাম সানি সবুজ প্রমুখ।


দামুড়হুদা:
দামুড়হুদায় কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বিতীয় দিনের মতো গণহত্যাকারী হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় উপজেলা বিএনপির আয়োজনে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা। প্রধান বক্তা ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।
বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মণ্টু মিয়া, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান টুনু ও দামুড়হুদা উপজেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক সালমা জাহান পারুল।
এসময় বক্তরা বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা সংগঠিত করা হয়েছে। এই গণহত্যার নির্দেশদাতা খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। স্বৈরাচারী খুনি শেখ হাসিনার মনে কোনো মায়া-দয়া ছিল না। তার নির্দেশে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে কোমলমতি শিশুসহ ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে। বক্তারা বলেন, পালিয়ে গিয়ে কোনো লাভ নেই। তাকে বিচারের কাঠগড়ায় তোলা হবে। বাংলাদেশের মানুষ খুনি হাসিনাকে ছাড়বে না।
দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেমের পরিচালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব এম.ডি.কে সুলতান। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন নাটুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ঈদ্রিস আলী, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, নাটুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক সাঈদ বিশ্বাস, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার, উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব লিপু আহমেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইকরামুল হক, সদস্যসচিব জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, যুগ্ম আহ্বায়ক রকিবুল হাসান তোতা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, সদস্যসচিব মাহফুজুর রহমান মিল্টন, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন, যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।


দর্শনা:
সারা দেশে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে দর্শনায় অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় দর্শনা পৌর বিএনপির উদ্যোগে দর্শনার রেল বন্দর থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন বাজার পৌর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় দর্শনা পৌর বিএনপি সমন্বয় কমিটির সদস্য এনামুল হক শাহ মুকুলের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী খন্দকার শওকত আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন দর্শনা পৌর বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ও সমন্বয় কমিটির সদস্য মালেক মন্ডল। দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা টুটুল শাহ, মিল্টন, অপু, সুলতান, দর্শনা থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াল ইসলাম লিওন, দর্শনা পৌর ছাত্রদলের সদস্যসচিব আল মামুম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সজীব, সানোয়ার, মোতালেব, এনামুল, একরামুলসহ দর্শনার সকল ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।


জীবননগর:
ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে ‘গণহত্যাকারী খুনি হাসিনা’সহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে জীবননগরে বিএনপির উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জীবননগর মুক্তমঞ্চে অবস্থান নেয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান খোকন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জীবননগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আয়নাল হোসেন, জীবননগর পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাজান কবির, সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু, সিনিয়র সহসভাপতি তাজুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক শফি উদ্দিন, জীবননগর সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওসমান গনি, সাধারণ সম্পাদক বদর উদ্দিন বদল, উথলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা, কেডিকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনোয়ার হোসেন মাস্টার প্রমুখ।

মুজিবনগর:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালিয়ে গণহত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে মুজিবনগরে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম। অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজন। প্রধান বক্তা ছিলেন মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ বিশ্বাস। মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবুল হাসান, সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাবেদ সেনজিন, জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আসাদুল হাবিব সোনাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ অরুণ বলেন, মুজিবনগর তথা মেহেরপুরসহ সারা বাংলাদেশ ৫ই আগস্ট বৈষমবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যায়। শত শত মেধাবী ছাত্রদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীনতা পাই। তাদের আন্দোলনে খুনি ফ্যাসিবাদী হাসিনা গুলি চালিয়ে গণহত্যা চালিয়েও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি। আমরা আন্দোলনে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। একই সঙ্গে এই খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের উপযুক্ত শাস্তি ফাঁসি চাই।

Exif_JPEG_420


গাংনী:
মেহেরপুরের গাংনীতে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে এবং ১৫-ই আগস্টকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। গতকাল সকাল ধেকে দুপুর পর্যন্ত পৃথকভাবে গাংনী উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসব কর্মসূচি পালন করে। গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ বের হয়ে উপজেলা শহরে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেন মেহেরপুর জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, গাংনী উপজেলা বিএনপি’র নেতা জুরেলী আলভী, যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান মনি, সাহিবুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা নাজমুল হােেসন, ইমনসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এছাড়াও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের উদ্যোগে গাংনী রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে গাংনী উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহ:
পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জেলা ছাত্রদল পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুই সংগঠনের কর্মীরা শহরের পায়রা চত্বর ও পোস্ট অফিস মোড়ে জড়ো হয়। সেখানে তারা দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
জেলার কালীগঞ্জ, শৈলকুপা, মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলা শহরেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন। তবে জেলাব্যাপী কোথায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১৫ আগস্ট পালনের খবর পাওয়া যায়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শারমিন সুলতানা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে তারা শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা যাতে শহরের কোথাও ঢুকতে না পারে, সে জন্য তারা সজাগ আছে।
এদিকে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এম এম সোমেনুজ্জামান সোমেন জানান, পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির দাবিতে ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তাছাড়া শহরে যাতে আওয়ামী লীগের কর্মীরা নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য শত শত নেতা-কর্মী পাড়ায় পাড়ায় সতর্ক পাহারা বসিয়েছে।’
অপর দিকে, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৪ দফা দাবিতে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা ১১টায় শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার একই স্থানে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
এদিকে, ১৫ আগস্ট ঘিরে কোনো অপশক্তি যেন মাঠে না নামতে পারে, সে ব্যাপারে সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত শহরে অবস্থান করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী মাহাফুজুর রহমান ঈশান, সানমুন হোসেন, এজাজ আহমেদ, হৃদয় হোসেন, সৈয়দা সাহারা মাহফুজ, জাহিদ হোসেন প্রমুখ।