ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দর্শনা রেলবন্দরে গত ২০ দিনে প্রবেশ করেনি ভারতীয় মালবাহী ট্রেন

রাজস্ব কমেছে কয়েক গুন, অলস সময় কাটছে শ্রমিকদের

ওয়াসিম রয়েল:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

দেশের রাজস্ব বিভাগের অর্থনৈতিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেল বন্দর। তবে গত ২০ দিনে ভারত থেকে আমদানিকৃত কোনো মালবাহী ওয়াগন এই বন্দরে প্রবেশ করেনি। গত ২৪ জুলাই থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্দরটিতে ভারতীয় কোনো মালবাহী ট্রেন না আসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজস্ব বিভাগ। এর ফলে অন্য অর্থবছরের তুলনায় কম রাজস্ব পাবে এই বন্দরটি থেকে। শুধু তাই নয়, বন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রেন না আসায় বন্দর সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ও সারা দেশ থেকে আসা ট্রাক চালক ও হেল্পাররা বেকার ও অলস সময় পার করছেন।

দর্শনা রেল বন্দর সূত্রে জানা যায়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ভারতীয় রেল পরিচালক আমদানিকৃত মালামালের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে চিন্তা করে গত ২৪ জুলাই দর্শনা রেলপথের মাধ্যমে ভারত থেকে সব ধরনের আমদানি করা মালামাল আসা বন্ধ করেন। এদিকে, দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করলে গতকাল মঙ্গলবার থেকে মালবাহী ও লোকাল ট্রেন চালাচল স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ। গতকাল দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দরে ভারতীয় মালবাহী ট্রেন প্রবেশের কথা থাকলেও কোনো ট্রেন দেশে প্রবেশ করেনি বলে জানান দর্শনা রেলস্টেশন ম্যানেজার।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল ইসলাম জানান, গত ২০ দিন অতিবাহিত হলেও দর্শনা বন্দরে কোনো ভারতীয় মালবাহী ওয়াগন আসেনি। আমদানিকারকদের মাধ্যমে তাগাদা দিলেও তারা ওয়াগন পাঠাচ্ছে না। কী কারণে পাঠানো হচ্ছে না, তা অবশ্য তারা জানায়নি। তিনি জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেলভাড়া বাবদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১১৬ কোটি ৮৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৪ টাকা। সেখানে ২৬ কোটি ৯৫ লাখ ১৫ হাজার ৬২৩ টাকা আদায় হয়েছে। এখানেও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আদায় হয়েছে কয়েকগুণ কম।

দর্শনা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবু সুশান্ত চৌধুরী জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৮ কোটি টাকা। সেখানে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৪ কোটি ৪ লাখ টাকা লাখ টাকা কম।
দর্শনা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু জানান, দুই দেশের রাজস্ব আদায়ের স্বার্থেই অতি দ্রুত দর্শনা বন্দরে ভারতীয় মালবাহী ওয়াগন প্রবেশ দরকার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

দর্শনা রেলবন্দরে গত ২০ দিনে প্রবেশ করেনি ভারতীয় মালবাহী ট্রেন

রাজস্ব কমেছে কয়েক গুন, অলস সময় কাটছে শ্রমিকদের

আপলোড টাইম : ০৯:৩৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

দেশের রাজস্ব বিভাগের অর্থনৈতিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেল বন্দর। তবে গত ২০ দিনে ভারত থেকে আমদানিকৃত কোনো মালবাহী ওয়াগন এই বন্দরে প্রবেশ করেনি। গত ২৪ জুলাই থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্দরটিতে ভারতীয় কোনো মালবাহী ট্রেন না আসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজস্ব বিভাগ। এর ফলে অন্য অর্থবছরের তুলনায় কম রাজস্ব পাবে এই বন্দরটি থেকে। শুধু তাই নয়, বন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রেন না আসায় বন্দর সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ও সারা দেশ থেকে আসা ট্রাক চালক ও হেল্পাররা বেকার ও অলস সময় পার করছেন।

দর্শনা রেল বন্দর সূত্রে জানা যায়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ভারতীয় রেল পরিচালক আমদানিকৃত মালামালের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে চিন্তা করে গত ২৪ জুলাই দর্শনা রেলপথের মাধ্যমে ভারত থেকে সব ধরনের আমদানি করা মালামাল আসা বন্ধ করেন। এদিকে, দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করলে গতকাল মঙ্গলবার থেকে মালবাহী ও লোকাল ট্রেন চালাচল স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ। গতকাল দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দরে ভারতীয় মালবাহী ট্রেন প্রবেশের কথা থাকলেও কোনো ট্রেন দেশে প্রবেশ করেনি বলে জানান দর্শনা রেলস্টেশন ম্যানেজার।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল ইসলাম জানান, গত ২০ দিন অতিবাহিত হলেও দর্শনা বন্দরে কোনো ভারতীয় মালবাহী ওয়াগন আসেনি। আমদানিকারকদের মাধ্যমে তাগাদা দিলেও তারা ওয়াগন পাঠাচ্ছে না। কী কারণে পাঠানো হচ্ছে না, তা অবশ্য তারা জানায়নি। তিনি জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেলভাড়া বাবদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১১৬ কোটি ৮৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৪ টাকা। সেখানে ২৬ কোটি ৯৫ লাখ ১৫ হাজার ৬২৩ টাকা আদায় হয়েছে। এখানেও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আদায় হয়েছে কয়েকগুণ কম।

দর্শনা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবু সুশান্ত চৌধুরী জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৮ কোটি টাকা। সেখানে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৪ কোটি ৪ লাখ টাকা লাখ টাকা কম।
দর্শনা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু জানান, দুই দেশের রাজস্ব আদায়ের স্বার্থেই অতি দ্রুত দর্শনা বন্দরে ভারতীয় মালবাহী ওয়াগন প্রবেশ দরকার।