ইপেপার । আজ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি-সম্পাদককে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের পত্র

স্বচ্ছ প্রেসক্লাব, নিপীড়নকারীদের বহিষ্কারসহ কমিটি সংস্করণের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ১১:২৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২৪ বার পড়া হয়েছে

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংস্করণের দাবিতে সভাপতি-সম্পাদক বরাবর লিখিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত ওই পত্র জমা দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন প্রেসক্লাবের অফিস সচিব।
ওই পত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, প্রত্যাক্ষভাবে আন্দোলনকারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিপীড়নে মদদ দেওয়ায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের দুজন সদস্য কামরুজ্জামান চাঁদ ও সোহেল সজিবকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সদস্য পদ বাতিলসহ সকল প্রকার পদ বাতিল করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ প্রেসক্লাব করতে অতি দ্রুতই চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের কমিটি বৃহৎরুপে সংস্করণ করতে হবে। যোগ্য মাঠে কাজ করা গণমাধ্যমকর্মীদের দ্রুতই সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দেয়া ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমকর্মী ভাইয়েরা সত্য প্রকাশে কাজ করেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আমরা দেখেছি যারা সত্য প্রকাশে কাজ করতে চেয়েছেন, তাদেকে বাঁধা দেয়া হয়েছে। প্রেসক্লাব থেকে আমাদের ন্যায্য দাবিতে সে সময় কোনো প্রকার সহযোগিতা করা হয়নি। ক্ষমতাসীন দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। প্রেসক্লাবে রাজনৈতিক প্রভাবের স্থান থাকায় প্রেসক্লাবের নেতৃত্বস্থানীয় সংবাদকর্মীরা অন্য সাধারণ সংবাদকর্মীদের কাজেও বাঁধা সৃষ্টি করেছেন বলে আমাদের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।
আমরা চাই স্বচ্ছ প্রেসক্লাব, যেখানে সকলের সমঅধিকার থাকবে। সত্য প্রকাশে সংবাদকর্মীরা থাকবেন নির্ভীক। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচনের পর নির্বাচিত কমিটি প্রেসক্লাবের সদস্যব্যতীত সকল গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করেছে। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব জেলার সাধারণ সাংবাদিকদের অধিকার হরণ করে স্বার্থান্বেষীভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। প্রকৃত সাংবাদিকদের বাইরে রেখে দলীয় প্রভাবের মাধ্যমে প্রেসক্লাবকে কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে। সরাসরি রাজনীতি করে ও দলীয় সমর্থনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে প্রেসক্লাবের পদে আছেন। কেউ কেউ সরকারি চাকরি বা এমপিওভুক্ত চাকরি করেও প্রেসক্লাবের পদে আছেন। শুধু তাই নয়, প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র না মেনে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বছরের পর বছর যোগ্য ব্যক্তিদের সদস্য পদ দেয়া থেকেও বিরত থেকেছে প্রভাবশালী কয়েকজন। প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রে স্থানীয় গণমাধ্যমের দুইজন করে প্রতিনিধিকে সহযোগী সদস্য করে অন্তর্ভুক্ত করার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। তবে অযোগ্যরা স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অনায়াশেই প্রেসক্লাবের সদস্য পদসহ গুরত্বপূর্ণ পদেও স্থান পেয়েছে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, একই সাথে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের দুইজন সদস্য কামরুজ্জামান চাঁদ ও সোহেল সজিবকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সদস্যপদ বাতিলসহ সকল প্রকার পদ বাতিল করা হোক। তারা প্রত্যাক্ষভাবে আন্দোলনকারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিপীড়নে মদদ দিয়েছেন। এছাড়াও আমরা চাই একটি নিরপেক্ষ প্রেসক্লাব করতে অতি দ্রুতই চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের কমিটি বৃহৎরুপে সংস্করণ করা হোক। যোগ্য মাঠে কাজ করা গণমাধ্যমকর্মীদের দ্রুতই সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করা হোক। আমরা সকল বৈষম্যের নিরসন চাই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি-সম্পাদককে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের পত্র

স্বচ্ছ প্রেসক্লাব, নিপীড়নকারীদের বহিষ্কারসহ কমিটি সংস্করণের দাবি

আপলোড টাইম : ১১:২৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংস্করণের দাবিতে সভাপতি-সম্পাদক বরাবর লিখিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত ওই পত্র জমা দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন প্রেসক্লাবের অফিস সচিব।
ওই পত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, প্রত্যাক্ষভাবে আন্দোলনকারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিপীড়নে মদদ দেওয়ায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের দুজন সদস্য কামরুজ্জামান চাঁদ ও সোহেল সজিবকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সদস্য পদ বাতিলসহ সকল প্রকার পদ বাতিল করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ প্রেসক্লাব করতে অতি দ্রুতই চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের কমিটি বৃহৎরুপে সংস্করণ করতে হবে। যোগ্য মাঠে কাজ করা গণমাধ্যমকর্মীদের দ্রুতই সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দেয়া ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমকর্মী ভাইয়েরা সত্য প্রকাশে কাজ করেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আমরা দেখেছি যারা সত্য প্রকাশে কাজ করতে চেয়েছেন, তাদেকে বাঁধা দেয়া হয়েছে। প্রেসক্লাব থেকে আমাদের ন্যায্য দাবিতে সে সময় কোনো প্রকার সহযোগিতা করা হয়নি। ক্ষমতাসীন দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। প্রেসক্লাবে রাজনৈতিক প্রভাবের স্থান থাকায় প্রেসক্লাবের নেতৃত্বস্থানীয় সংবাদকর্মীরা অন্য সাধারণ সংবাদকর্মীদের কাজেও বাঁধা সৃষ্টি করেছেন বলে আমাদের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।
আমরা চাই স্বচ্ছ প্রেসক্লাব, যেখানে সকলের সমঅধিকার থাকবে। সত্য প্রকাশে সংবাদকর্মীরা থাকবেন নির্ভীক। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচনের পর নির্বাচিত কমিটি প্রেসক্লাবের সদস্যব্যতীত সকল গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করেছে। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব জেলার সাধারণ সাংবাদিকদের অধিকার হরণ করে স্বার্থান্বেষীভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। প্রকৃত সাংবাদিকদের বাইরে রেখে দলীয় প্রভাবের মাধ্যমে প্রেসক্লাবকে কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে। সরাসরি রাজনীতি করে ও দলীয় সমর্থনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে প্রেসক্লাবের পদে আছেন। কেউ কেউ সরকারি চাকরি বা এমপিওভুক্ত চাকরি করেও প্রেসক্লাবের পদে আছেন। শুধু তাই নয়, প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র না মেনে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বছরের পর বছর যোগ্য ব্যক্তিদের সদস্য পদ দেয়া থেকেও বিরত থেকেছে প্রভাবশালী কয়েকজন। প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রে স্থানীয় গণমাধ্যমের দুইজন করে প্রতিনিধিকে সহযোগী সদস্য করে অন্তর্ভুক্ত করার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। তবে অযোগ্যরা স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অনায়াশেই প্রেসক্লাবের সদস্য পদসহ গুরত্বপূর্ণ পদেও স্থান পেয়েছে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, একই সাথে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের দুইজন সদস্য কামরুজ্জামান চাঁদ ও সোহেল সজিবকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সদস্যপদ বাতিলসহ সকল প্রকার পদ বাতিল করা হোক। তারা প্রত্যাক্ষভাবে আন্দোলনকারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিপীড়নে মদদ দিয়েছেন। এছাড়াও আমরা চাই একটি নিরপেক্ষ প্রেসক্লাব করতে অতি দ্রুতই চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের কমিটি বৃহৎরুপে সংস্করণ করা হোক। যোগ্য মাঠে কাজ করা গণমাধ্যমকর্মীদের দ্রুতই সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করা হোক। আমরা সকল বৈষম্যের নিরসন চাই।