ইপেপার । আজ বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে কুরিয়ারে আসা ২ কোটি টাকার সোনার গহনা ছিনতাইয়ের চেষ্টা

এক ছিনতাইকারীসহ গহনার মালিক স্বর্ণ ব্যবসায়ী আটক

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহে কুরিয়ারে আসা ১৮১ ভরি সোনার গহনা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাগর নামের এক ছিনতাইকারী ও গহনার মালিক অনিমেষ মজুমদারকে আটক করেছে পুলিশ। ছিনতাইকারীদের পিটুনিতে আহত হয়েছেন মিঠুন নামের এক দোকান কর্মচারী। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার ঝিনাইদহ শহরের কেশবচন্দ্র কলেজ (কেসি) এলাকায়। উদ্ধারকৃত সোনার গহনার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা হবে বলে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহিন উদ্দীন জানান।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানার, শহরের স্বর্ণকার পট্টির গিনি হাউজের কর্মচারী মিঠুন কুরিয়ারে আসা একটি কার্টুন নিয়ে দোকানে ফিরছিলেন। তিনি সরকারি কেসি কলেজের পেছনের গলিতে পৌঁছালে ৬ জন ছিনতাইকারী ওই কার্টুন ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এসময় ঝিনাইদহ সদর থানা-পুলিশের সদস্যরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করেন এবং একটি কার্টুন জব্দ করেন।

পুলিশ দেখে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। পুলিশ কার্টুন খুলে তাতে ১৮১ ভরি স্বর্ণালংকার পায়। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় উদ্ধারকৃত সোনার গহনা জব্দ করে ঝিনাইদহ শহরের গিনি হাউজের মালিক অনিমেষ মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। ঝিনাইদহ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান জানান, তিনি ঘটনার সময় পাশেই ছিলেন। এসময় দেখি মিঠুন নামের এক যুবককে মারধর করে কার্টুনটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি ছিনতাইকারীদের আটক করার চেষ্টা করলে তারা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহিন উদ্দীন জানান, সোনার গহনা ছিনতাই চেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মোজাম্মেল হকের ছেলে সাগরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ছিনতাই ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান বলেন, দুটি ঘটনা ঘটেছে। একটি ছিনতাইয়ের আর অন্যটি সোনা পাচার। যেহেতু কুরিয়ার সার্ভিসে করে সোনা আনা হচ্ছিল, তাই সোনার গহনাগুলো পুলিশ জব্দ করেছে। সোনার মালিক অনিমেষ মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ শহরের সোনার দোকানগুলো এখন সোনা পাচারের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মালিকদের নামে বিভিন্ন স্থান থেকে কুরিয়ারে সোনার গহনা বুকিং দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে এই সোনা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে গন্তব্যে। এদিকে সোনা পাচার দিয়ে এমপি আনারসহ একাধিক ব্যক্তি খুন হওয়ায় পাচারকারী পাচারের ধরণ পাল্টিয়েছে বলে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে কুরিয়ারে আসা ২ কোটি টাকার সোনার গহনা ছিনতাইয়ের চেষ্টা

এক ছিনতাইকারীসহ গহনার মালিক স্বর্ণ ব্যবসায়ী আটক

আপলোড টাইম : ১১:৫৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

ঝিনাইদহে কুরিয়ারে আসা ১৮১ ভরি সোনার গহনা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাগর নামের এক ছিনতাইকারী ও গহনার মালিক অনিমেষ মজুমদারকে আটক করেছে পুলিশ। ছিনতাইকারীদের পিটুনিতে আহত হয়েছেন মিঠুন নামের এক দোকান কর্মচারী। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার ঝিনাইদহ শহরের কেশবচন্দ্র কলেজ (কেসি) এলাকায়। উদ্ধারকৃত সোনার গহনার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা হবে বলে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহিন উদ্দীন জানান।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানার, শহরের স্বর্ণকার পট্টির গিনি হাউজের কর্মচারী মিঠুন কুরিয়ারে আসা একটি কার্টুন নিয়ে দোকানে ফিরছিলেন। তিনি সরকারি কেসি কলেজের পেছনের গলিতে পৌঁছালে ৬ জন ছিনতাইকারী ওই কার্টুন ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এসময় ঝিনাইদহ সদর থানা-পুলিশের সদস্যরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করেন এবং একটি কার্টুন জব্দ করেন।

পুলিশ দেখে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। পুলিশ কার্টুন খুলে তাতে ১৮১ ভরি স্বর্ণালংকার পায়। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় উদ্ধারকৃত সোনার গহনা জব্দ করে ঝিনাইদহ শহরের গিনি হাউজের মালিক অনিমেষ মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। ঝিনাইদহ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান জানান, তিনি ঘটনার সময় পাশেই ছিলেন। এসময় দেখি মিঠুন নামের এক যুবককে মারধর করে কার্টুনটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি ছিনতাইকারীদের আটক করার চেষ্টা করলে তারা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহিন উদ্দীন জানান, সোনার গহনা ছিনতাই চেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মোজাম্মেল হকের ছেলে সাগরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ছিনতাই ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান বলেন, দুটি ঘটনা ঘটেছে। একটি ছিনতাইয়ের আর অন্যটি সোনা পাচার। যেহেতু কুরিয়ার সার্ভিসে করে সোনা আনা হচ্ছিল, তাই সোনার গহনাগুলো পুলিশ জব্দ করেছে। সোনার মালিক অনিমেষ মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ শহরের সোনার দোকানগুলো এখন সোনা পাচারের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মালিকদের নামে বিভিন্ন স্থান থেকে কুরিয়ারে সোনার গহনা বুকিং দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে এই সোনা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে গন্তব্যে। এদিকে সোনা পাচার দিয়ে এমপি আনারসহ একাধিক ব্যক্তি খুন হওয়ায় পাচারকারী পাচারের ধরণ পাল্টিয়েছে বলে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।