ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় বিষপানে যুবকের আত্মহত্যা

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৪:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪
  • / ৪৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় বিষপানে রাকিব হোসেন (২২) নামের এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতাল থেকে বাড়ি নেওয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিষপানে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রাকিব চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের জালসুকা গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় রাকিব হোসেনের মামা আশাদুল হক বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে, গতকাল বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে রাকিবের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাকিব হোসেন মাদকাসক্ত ছিলেন। গত ১১ জুলাই বনিবনা না হওয়ায় রাকিবের স্ত্রী সুরিয়া খাতুন তাকে তালাক দেন। কিন্তু রাকিব তালাক না মেনে গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সুরিয়াকে ফিরিয়ে আনতে যান। কিন্তু সুরিয়া রাকিবের সঙ্গে আর সংসার করবে না জানিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেন। ওইদিন বিকেলে ডিঙ্গেদহ খেজুরা সড়কে ডিঙ্গেদহ এলাকার কিছু ছেলেরা রাকিবকে এ বিষয়ে নিয়ে হেনস্তা করে। এরই মধ্যে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিষপান করেন রাকিব। বিষপানের বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত তিনটার দিকে অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নেওয়ার পথে ডিঙ্গেদহে পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়।
আরও জানা যায়, সুরিয়া রাকিবের সঙ্গে ফিরে না যেতে চাইলে সে পাগলামি শুরু করেন। বিভিন্ন দেয়াল ও ইটের সাথে মাথা ঠুকতে থাকের। গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ জড়ো হয় তার পাগলামি দেখতে। রোববার বিষয়টির সমাধান করা হবে বলে গ্রামবাসীরা তাকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে শংকরচন্দ্র ইউপি সদস্য আবুল কালাম জানান, রাবিক বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিঙ্গেদহ খেজুরা রোডে গাঁজা বিক্রয় করতে এলে স্থানীয়রা তাকে ধরে আমার কাছে নিয়ে আসে। গ্রামবাসীরা তাকে পুলিশে দিতে বললেও তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। এসময় রাকিবের বড় ভাই সেখানে এলে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না শর্তে তার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

চুয়াডাঙ্গায় বিষপানে যুবকের আত্মহত্যা

আপলোড টাইম : ০৯:২৪:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় বিষপানে রাকিব হোসেন (২২) নামের এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসাতাল থেকে বাড়ি নেওয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিষপানে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রাকিব চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের জালসুকা গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় রাকিব হোসেনের মামা আশাদুল হক বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে, গতকাল বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে রাকিবের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাকিব হোসেন মাদকাসক্ত ছিলেন। গত ১১ জুলাই বনিবনা না হওয়ায় রাকিবের স্ত্রী সুরিয়া খাতুন তাকে তালাক দেন। কিন্তু রাকিব তালাক না মেনে গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সুরিয়াকে ফিরিয়ে আনতে যান। কিন্তু সুরিয়া রাকিবের সঙ্গে আর সংসার করবে না জানিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেন। ওইদিন বিকেলে ডিঙ্গেদহ খেজুরা সড়কে ডিঙ্গেদহ এলাকার কিছু ছেলেরা রাকিবকে এ বিষয়ে নিয়ে হেনস্তা করে। এরই মধ্যে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিষপান করেন রাকিব। বিষপানের বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত তিনটার দিকে অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নেওয়ার পথে ডিঙ্গেদহে পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়।
আরও জানা যায়, সুরিয়া রাকিবের সঙ্গে ফিরে না যেতে চাইলে সে পাগলামি শুরু করেন। বিভিন্ন দেয়াল ও ইটের সাথে মাথা ঠুকতে থাকের। গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ জড়ো হয় তার পাগলামি দেখতে। রোববার বিষয়টির সমাধান করা হবে বলে গ্রামবাসীরা তাকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে শংকরচন্দ্র ইউপি সদস্য আবুল কালাম জানান, রাবিক বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিঙ্গেদহ খেজুরা রোডে গাঁজা বিক্রয় করতে এলে স্থানীয়রা তাকে ধরে আমার কাছে নিয়ে আসে। গ্রামবাসীরা তাকে পুলিশে দিতে বললেও তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। এসময় রাকিবের বড় ভাই সেখানে এলে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না শর্তে তার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।