ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কার্পাসডাঙ্গায় স্বামীর সন্ধান চেয়ে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদক:
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় আর্স বাংলাদেশ এনজিও’র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আব্দুল হামিদ জিন্নাহ নিখোঁজের ঘটনায় তার সন্ধান পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্ত্রী হুছনিয়ারা। গতকাল রোববার বিকেল চারটার দিকে কার্পাসডাঙ্গার আরামডাঙ্গা বটতলা মোড়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান চান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য হুছনিয়ারা বলেন, ‘আমার স্বামী আব্দুল হামিদ জিন্নাহ আর্স বাংলাদেশ এনজিওর কার্পাসডাঙ্গা শাখায় ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কয়েক মাস আগে আর্স বাংলাদেশ এনজিওর আরএম সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস আমার স্বামীকে বদলির জন্য চাপ দিতে থাকেন। আমরা এখানে কেবল মাত্র এক বছর আসার কারণে ও আমার ছোট দুটি বাঁচ্চা এখানের একটি স্কুলে লেখাপড়া করায় যাতে বদলি না হয়, সে জন্য আমার স্বামী হেড অফিসে যোগাযোগ করে বদলি বন্ধ করেন। এতে চরম ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন আরএম সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস। এর জের ধরে নানা কৌশল করে ৪ মাস আগে আমার স্বামীকে আরএম সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস ও জেড এম সাহেব আমাদের ওপর চাপ দিতে শুরু করেন। একপর্যায়ে রিজায়েন লেটারে স্বাক্ষর করার জন্যও বলা হয়। যদি স্বাক্ষর না করে, তাহলে কারো চাকরি থাকবে না বলেও জানায়।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী নিয়মিত অফিস করত। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে আমার স্বামী অফিসে গেলে আরএম সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস জানায় তার চাকরি নেই। আমার স্বামী এর কারণ জানতে চাইলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার স্বামীকে বের করে দেই। গত শনিবার সকালে আরএম সঞ্জয় কুমারসহ অফিসের স্টাফরা মিলে আমার স্বামী জিন্নাহকে মুঠোফোনে অফিসে ডাকে। আমার স্বামী চাকরি না থাকায় অফিসে যাবে না জানায়। পরে আরএম সঞ্জয় কুমার ও জেড এম-এর নির্দেশক্রমে আর্স বাংলাদেশ এনজিওর কার্পাসডাঙ্গা ব্রাঞ্চের একাউন্টিং রুমা খাতুন, কর্মী আলামিন হোসেন, মনিরুল ইসলাম, নতুন শাখা ম্যানেজার রাজু (জিন্নাহর পরবর্তী ম্যানেজার) মিলে আমাদের ভাড়া বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আমি আমার স্বামীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। দুদিন ধরে আমার স্বামীর সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করতে পারিনি। দুই শিশু সন্তান নিয়ে আমি চরম অনিশ্চয়তায় দিন পার করছি। আমার স্বামীকে ফিরে পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। সেই সাথে আমি এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

কার্পাসডাঙ্গায় স্বামীর সন্ধান চেয়ে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় আর্স বাংলাদেশ এনজিও’র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আব্দুল হামিদ জিন্নাহ নিখোঁজের ঘটনায় তার সন্ধান পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্ত্রী হুছনিয়ারা। গতকাল রোববার বিকেল চারটার দিকে কার্পাসডাঙ্গার আরামডাঙ্গা বটতলা মোড়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান চান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য হুছনিয়ারা বলেন, ‘আমার স্বামী আব্দুল হামিদ জিন্নাহ আর্স বাংলাদেশ এনজিওর কার্পাসডাঙ্গা শাখায় ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কয়েক মাস আগে আর্স বাংলাদেশ এনজিওর আরএম সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস আমার স্বামীকে বদলির জন্য চাপ দিতে থাকেন। আমরা এখানে কেবল মাত্র এক বছর আসার কারণে ও আমার ছোট দুটি বাঁচ্চা এখানের একটি স্কুলে লেখাপড়া করায় যাতে বদলি না হয়, সে জন্য আমার স্বামী হেড অফিসে যোগাযোগ করে বদলি বন্ধ করেন। এতে চরম ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন আরএম সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস। এর জের ধরে নানা কৌশল করে ৪ মাস আগে আমার স্বামীকে আরএম সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস ও জেড এম সাহেব আমাদের ওপর চাপ দিতে শুরু করেন। একপর্যায়ে রিজায়েন লেটারে স্বাক্ষর করার জন্যও বলা হয়। যদি স্বাক্ষর না করে, তাহলে কারো চাকরি থাকবে না বলেও জানায়।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী নিয়মিত অফিস করত। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে আমার স্বামী অফিসে গেলে আরএম সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস জানায় তার চাকরি নেই। আমার স্বামী এর কারণ জানতে চাইলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার স্বামীকে বের করে দেই। গত শনিবার সকালে আরএম সঞ্জয় কুমারসহ অফিসের স্টাফরা মিলে আমার স্বামী জিন্নাহকে মুঠোফোনে অফিসে ডাকে। আমার স্বামী চাকরি না থাকায় অফিসে যাবে না জানায়। পরে আরএম সঞ্জয় কুমার ও জেড এম-এর নির্দেশক্রমে আর্স বাংলাদেশ এনজিওর কার্পাসডাঙ্গা ব্রাঞ্চের একাউন্টিং রুমা খাতুন, কর্মী আলামিন হোসেন, মনিরুল ইসলাম, নতুন শাখা ম্যানেজার রাজু (জিন্নাহর পরবর্তী ম্যানেজার) মিলে আমাদের ভাড়া বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আমি আমার স্বামীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। দুদিন ধরে আমার স্বামীর সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করতে পারিনি। দুই শিশু সন্তান নিয়ে আমি চরম অনিশ্চয়তায় দিন পার করছি। আমার স্বামীকে ফিরে পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। সেই সাথে আমি এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করব।’