ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৯ বছর বয়সে করেছেন ৪ বিয়ে, অবশেষে কারাগারে

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:১০:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪
  • / ৫১ বার পড়া হয়েছে

বিয়ে করাই তার নেশা। প্রতারণার মাধ্যমে একের পর এক বিয়ে করে তালাক দেন। এভাবে ২৯ বছর বয়সে তিনি করেছেন ৪ বিয়ে। বিয়ে পাগল এই প্রতারকের নাম আসিফ ইকবাল। ঢাকা ব্যাংক’র চট্টগ্রাম শাখায় অ্যাসিস্টেন্ট ক্যাশ অফিসার আসিফ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামের আকরম আলীর ছেলে। অবশেষে তৃতীয় স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় গত বুধবার বিকেলে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন আসিফ। পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণ মামলা করলে সেই মামলায় কারাগারে যান তিনি। পরে ওই স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করার শর্তে রক্ষা পান। বিয়ের কিছুদিন পর সেই মেয়েকে তালাক দেন আসিফ। এরপর বিভিন্ন নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর করেন পরকীয়া। ২০২১ সালের ২৬ জুলাই ২য় স্ত্রী থাকা অবস্থায় তৃতীয়বার বিয়ে করেন ঝিনাইদহ শহরের বনানীপাড়ার ফাতেমা খাতুনকে। বিয়ের পর তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঝিনাইদহে অবস্থান করেন প্রতারক আসিফ। তৃতীয় স্ত্রী ফাতেমা একাধিক বিয়ের খবরটি জেনে ফেলায় ২য় স্ত্রীকে তালাক দেন আসিফ। ফাতেমাকে নিয়ে ঘর করতে থাকেন আসিফ। এ অবস্থায় আবারো পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। প্রতিবাদ করায় তৃতীয় স্ত্রী ফাতেমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন আসিফ। এক পর্যায়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ফাতেমাকে তালাক দিয়ে উম্মে হাবীবা প্রান্তি নামে আরেক যুবতীকে চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে ঘরে আনেন আসিফ। নিরুপায় হয়ে তৃতীয় স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ঝিনাইদহের একটি আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
আসিফের তৃতীয় স্ত্রী ফাতেমা খাতুন গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, আসিফ একজন নারীলোভী, প্রতারক ও যৌতুক লোভী। ২য় স্ত্রী থাকা অবস্থায় আমাকে বিয়ে করেছিল। আমার পর আরও এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। তার নেশা বিয়ে করা। এমনকি ৪র্থ বিয়ের পরও ফেসবুকে পরিচয় আরেক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক করেছে। শুনছি জেল থেকে বেরিয়ে তাকেও বিয়ে করবে। তিনি আসিফের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাড. বজলুর রহমান খবর নিশ্চিত করে জানান, ফাতেমা খাতুন নাকে এক নারীর মামলায় আসিফকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

২৯ বছর বয়সে করেছেন ৪ বিয়ে, অবশেষে কারাগারে

আপলোড টাইম : ১০:১০:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

বিয়ে করাই তার নেশা। প্রতারণার মাধ্যমে একের পর এক বিয়ে করে তালাক দেন। এভাবে ২৯ বছর বয়সে তিনি করেছেন ৪ বিয়ে। বিয়ে পাগল এই প্রতারকের নাম আসিফ ইকবাল। ঢাকা ব্যাংক’র চট্টগ্রাম শাখায় অ্যাসিস্টেন্ট ক্যাশ অফিসার আসিফ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামের আকরম আলীর ছেলে। অবশেষে তৃতীয় স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় গত বুধবার বিকেলে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন আসিফ। পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণ মামলা করলে সেই মামলায় কারাগারে যান তিনি। পরে ওই স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করার শর্তে রক্ষা পান। বিয়ের কিছুদিন পর সেই মেয়েকে তালাক দেন আসিফ। এরপর বিভিন্ন নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর করেন পরকীয়া। ২০২১ সালের ২৬ জুলাই ২য় স্ত্রী থাকা অবস্থায় তৃতীয়বার বিয়ে করেন ঝিনাইদহ শহরের বনানীপাড়ার ফাতেমা খাতুনকে। বিয়ের পর তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঝিনাইদহে অবস্থান করেন প্রতারক আসিফ। তৃতীয় স্ত্রী ফাতেমা একাধিক বিয়ের খবরটি জেনে ফেলায় ২য় স্ত্রীকে তালাক দেন আসিফ। ফাতেমাকে নিয়ে ঘর করতে থাকেন আসিফ। এ অবস্থায় আবারো পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। প্রতিবাদ করায় তৃতীয় স্ত্রী ফাতেমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন আসিফ। এক পর্যায়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ফাতেমাকে তালাক দিয়ে উম্মে হাবীবা প্রান্তি নামে আরেক যুবতীকে চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে ঘরে আনেন আসিফ। নিরুপায় হয়ে তৃতীয় স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ঝিনাইদহের একটি আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
আসিফের তৃতীয় স্ত্রী ফাতেমা খাতুন গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, আসিফ একজন নারীলোভী, প্রতারক ও যৌতুক লোভী। ২য় স্ত্রী থাকা অবস্থায় আমাকে বিয়ে করেছিল। আমার পর আরও এক মেয়েকে বিয়ে করেছে। তার নেশা বিয়ে করা। এমনকি ৪র্থ বিয়ের পরও ফেসবুকে পরিচয় আরেক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক করেছে। শুনছি জেল থেকে বেরিয়ে তাকেও বিয়ে করবে। তিনি আসিফের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাড. বজলুর রহমান খবর নিশ্চিত করে জানান, ফাতেমা খাতুন নাকে এক নারীর মামলায় আসিফকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।