‘আমাকে এতিম করে সেদিন কালীগঞ্জে এসে সান্তনা দিয়ে অভিনয় করে যান। ভাঙ্গায় বসে তারা ছবি আদান-প্রদান করে। কেন তারা আমার বাবাকে নৃশংশভাবে হত্যা করলো? গ্যাস বাবু তো আমার বাবার প্রতিপক্ষ না। আমি কাউকে সন্দেহ করিনি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত, তাদের নামও আমি বলিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছে।

আমার বাবার নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিণ্টু চাচাকে আটক করেছে। তাহলে কেন এখন বলা হচ্ছে, তাদের ফাঁসানো হচ্ছে।’ গতকাল বুধবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে রঘনাথপুর বাজারে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন এমপি আনার কন্যা ডরিন।

এসময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দিন দিন ডিবির তৎপরতা কমে যাচ্ছে। আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, এখন নাকি চাপ আসছে। যার কারণে বাবা হত্যার মামলাটি কার্যক্রম দিন দিন কমে যাচ্ছে। ডিবির কার্যক্রমও কমে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এ হত্যার পেছনে থার্ড পার্টির হাত রয়েছে। আর এই থার্ড পার্টির একজন হচ্ছে গ্যাস বাবু। আমি আমার বাবার নির্মম ও নৃশংস হত্যাকারীদের বিচার চাই। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’

রাখালগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মণ্টুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠাণ্ডু। এসময় কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুজ্জামান রাসেল উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন। মানববন্ধনে কালীগঞ্জের কৃষক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।