ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ আনন্দে মুজিবনগরে পর্যটকদের ঢল

সোহাগ মণ্ডল, মুজিবনগর:
  • আপলোড টাইম : ১০:০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

ঈদুল আজহার ছুটিতে হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর কমপ্লেক্স। বিশাল আম্রকাননে এই সময়ে মেহেরপুরসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের ভিড় জমছে মুজিবনগর কমপ্লেক্সে। ঈদের পরদিন থেকে জমজমাট হয়ে ওঠা মুজিবনগর কমপ্লেকক্স আরো ২ থেকে ৩ দিন পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত হয় থাকবে।
স্বাধীনতার সূতিকাগার মুজিবনগর কমপ্লেক্স নকশা অনুযায়ী পুরো কাজ এখনও শেষ না হলেও বিনোদন পিয়াসীদের জন্য অন্যতম আকর্ষণের জায়গা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এখানে মোটরসাইকেল, নছিমন, করিমন, আলগামন, আলমসাধুসহ বিভিন্ন যানবাহনযোগে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সীরা ছুটে আসছেন। স্থানীয় দর্শনার্থী ছাড়াও চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর, মাগুরা, ফরিদপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ এখন মুজিবনগরে ভিড় জমাচ্ছে।
ভ্রমণপিয়াসী মানুষের ভিড়ে মুখরিত মুজিবনগর কমপ্লেক্সে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ভিত্তিক বাংলাদেশের মানচিত্র, স্মৃতি সৌধ, আম্রকানন, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিভিন্ন মুর‌্যাল, সরকারি শিশু পরিবার, শাপলা চত্ত্বরসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা। মুজিবনগরের নৈসর্গিক সৌন্দরে‌্য মুগ্ধ এখানে আগত পর্যটকরা।
মাগুরা থেকে আগত পর্যটক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের ছুটির একটি দিনের জন্য এখানে এসে ভিন্ন ধরনের আমেজ পাচ্ছি। বিনোদনের জন্য স্ব-পরিবারে ঘুরেতে এসেছি। সন্তানদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সেক্টর ভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে পারছি। তবে কমপ্লেক্সটি নকশা অনুযায়ী পরিপূর্ণতা পেলে পর্যটকের সংখ্যা আরো ব্যাপকহারে বাড়তো।’
কুষ্টিয়া দৌলতপুর থেকে আসা কলেজ শিক্ষার্থী মইনুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে পর্যাপ্ত টয়লেট, পানির ব্যবস্থা, বসার যায়গা না থাকায় দর্শনার্থীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিশুদের বিনোদনের জন্য কিছু খেলনার ব্যবস্থা রাখা জরুরি।’
ঈশ্বরদী থেকে আগত ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘মুজিবনগরে এসে বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রীসভা গঠন ও শপথের স্থান এবং মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ভিত্তিক মানচিত্র দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ছি। এটাইতো আমাদের স্বাধীনতার সূতিকাগার। এখানে এসে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাস জানতে পারলাম। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে জানতে পারলাম সেই সাথে ঈদের আনন্দ বেশি উপভোগ করতে পারলাম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঈদ আনন্দে মুজিবনগরে পর্যটকদের ঢল

আপলোড টাইম : ১০:০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

ঈদুল আজহার ছুটিতে হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর কমপ্লেক্স। বিশাল আম্রকাননে এই সময়ে মেহেরপুরসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের ভিড় জমছে মুজিবনগর কমপ্লেক্সে। ঈদের পরদিন থেকে জমজমাট হয়ে ওঠা মুজিবনগর কমপ্লেকক্স আরো ২ থেকে ৩ দিন পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত হয় থাকবে।
স্বাধীনতার সূতিকাগার মুজিবনগর কমপ্লেক্স নকশা অনুযায়ী পুরো কাজ এখনও শেষ না হলেও বিনোদন পিয়াসীদের জন্য অন্যতম আকর্ষণের জায়গা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এখানে মোটরসাইকেল, নছিমন, করিমন, আলগামন, আলমসাধুসহ বিভিন্ন যানবাহনযোগে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সীরা ছুটে আসছেন। স্থানীয় দর্শনার্থী ছাড়াও চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর, মাগুরা, ফরিদপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ এখন মুজিবনগরে ভিড় জমাচ্ছে।
ভ্রমণপিয়াসী মানুষের ভিড়ে মুখরিত মুজিবনগর কমপ্লেক্সে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ভিত্তিক বাংলাদেশের মানচিত্র, স্মৃতি সৌধ, আম্রকানন, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিভিন্ন মুর‌্যাল, সরকারি শিশু পরিবার, শাপলা চত্ত্বরসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা। মুজিবনগরের নৈসর্গিক সৌন্দরে‌্য মুগ্ধ এখানে আগত পর্যটকরা।
মাগুরা থেকে আগত পর্যটক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের ছুটির একটি দিনের জন্য এখানে এসে ভিন্ন ধরনের আমেজ পাচ্ছি। বিনোদনের জন্য স্ব-পরিবারে ঘুরেতে এসেছি। সন্তানদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সেক্টর ভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে পারছি। তবে কমপ্লেক্সটি নকশা অনুযায়ী পরিপূর্ণতা পেলে পর্যটকের সংখ্যা আরো ব্যাপকহারে বাড়তো।’
কুষ্টিয়া দৌলতপুর থেকে আসা কলেজ শিক্ষার্থী মইনুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে পর্যাপ্ত টয়লেট, পানির ব্যবস্থা, বসার যায়গা না থাকায় দর্শনার্থীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিশুদের বিনোদনের জন্য কিছু খেলনার ব্যবস্থা রাখা জরুরি।’
ঈশ্বরদী থেকে আগত ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘মুজিবনগরে এসে বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রীসভা গঠন ও শপথের স্থান এবং মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ভিত্তিক মানচিত্র দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ছি। এটাইতো আমাদের স্বাধীনতার সূতিকাগার। এখানে এসে মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাস জানতে পারলাম। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে জানতে পারলাম সেই সাথে ঈদের আনন্দ বেশি উপভোগ করতে পারলাম।