ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুজিবনগরে মাছ লুটের মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

প্রতিবেদক, মুজিবনগর:
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪
  • / ৬১ বার পড়া হয়েছে

মুজিবনগর উপজেলার তারানগর গ্রামের আরিফ মাস্টার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে পদ্ম বিলের মাছ লুটের মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই গ্রামের দক্ষিণ পাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিলের ধারে এ মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এর আগে গত বুধবার বিকেলে মাছ লুটের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন উলফাত শেখ।

মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরিফ মাস্টার জানান, সরকারি সম্পত্তি ছাড়াও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি লিজ নিয়ে সকলেই মাছ চাষ করে আসছিলেন। ২০২৩ সালে লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বেআইনিভাবে উলফাত শেখ একটি রিট করেন মহামান্য হাইকোর্ট। আদালত স্থগিতাদেশ দেন। কিন্তু সেটি উলফাত শেখের পক্ষে নয়। ওই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা রুজু করা হয়েছে।

প্রকৃত জমির মালিক অন্তত ৬৭ জন ৬০ বিঘা সম্পত্তি সমিতির লিপন জাকারিয়ার কাছে লিজ প্রদান করেন। ওই সম্পত্তির জল করে মাছ ছাড়া হয়েছে। সেই মাছের পরিচর্যা করা হয়। অথচ উলফাত শেখ সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে সরকারি বিলের মাছ লুটের অভিযোগ দিয়েছেন যা মিথ্যা ও বানোয়াট। এ নিয়ে মুজিবনগর থানায় বৈঠক করতে হয়। সেসময় উলফাত শেখ ও তার লোকজন উপস্থিত হননি।

তিনি আরও বলেন, উলফাত শেখ ও তার লোকজন সমিতির লোকজনকে সব সময় ফাঁকি দিয়েছেন। সরকারি কোষাগারে লিজের টাকা ট্রেজারি চালানে উল্লেখ করা হলেও সমিতির লোকজনকে হিসেব দেওয়া হয়েছে ১৭ লাখ টাকার। ২০০৯ সাল থেকে তারা কোনো সঠিক হিসাব না দেওয়ায় সমিতিতে ফাটল ধরে। বর্তমানে উলফাত শেখের পরিবারের লোকজনই রয়েছে তার সমিতিতে।

সমিতির সদস্যরা তাদের ন্যায্য পাওয়া চাইতে গেলে নানা ধরনের হুমকি দেন। অথচ উল্টো আমাদের (আরিফ মাস্টারের) বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ছত্র ছায়ায় থেকে আরিফ মাস্টার ও তার লোকজন মাছ লুট করছে বলে যে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন লিপন জাকারিয়া, জমির মালিক কলিমদ্দীন, আয়ুব হোসেন ও মুস্তাকিম মল্লিক। তারা উলফাত শেখের মাছ লুটের মিথ্যা অভিযোগ এনে করা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ করেন ও উলফাত শেখের বিচার দাবি করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

মুজিবনগরে মাছ লুটের মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ০৮:৪৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

মুজিবনগর উপজেলার তারানগর গ্রামের আরিফ মাস্টার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে পদ্ম বিলের মাছ লুটের মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই গ্রামের দক্ষিণ পাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিলের ধারে এ মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এর আগে গত বুধবার বিকেলে মাছ লুটের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন উলফাত শেখ।

মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরিফ মাস্টার জানান, সরকারি সম্পত্তি ছাড়াও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি লিজ নিয়ে সকলেই মাছ চাষ করে আসছিলেন। ২০২৩ সালে লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বেআইনিভাবে উলফাত শেখ একটি রিট করেন মহামান্য হাইকোর্ট। আদালত স্থগিতাদেশ দেন। কিন্তু সেটি উলফাত শেখের পক্ষে নয়। ওই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা রুজু করা হয়েছে।

প্রকৃত জমির মালিক অন্তত ৬৭ জন ৬০ বিঘা সম্পত্তি সমিতির লিপন জাকারিয়ার কাছে লিজ প্রদান করেন। ওই সম্পত্তির জল করে মাছ ছাড়া হয়েছে। সেই মাছের পরিচর্যা করা হয়। অথচ উলফাত শেখ সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে সরকারি বিলের মাছ লুটের অভিযোগ দিয়েছেন যা মিথ্যা ও বানোয়াট। এ নিয়ে মুজিবনগর থানায় বৈঠক করতে হয়। সেসময় উলফাত শেখ ও তার লোকজন উপস্থিত হননি।

তিনি আরও বলেন, উলফাত শেখ ও তার লোকজন সমিতির লোকজনকে সব সময় ফাঁকি দিয়েছেন। সরকারি কোষাগারে লিজের টাকা ট্রেজারি চালানে উল্লেখ করা হলেও সমিতির লোকজনকে হিসেব দেওয়া হয়েছে ১৭ লাখ টাকার। ২০০৯ সাল থেকে তারা কোনো সঠিক হিসাব না দেওয়ায় সমিতিতে ফাটল ধরে। বর্তমানে উলফাত শেখের পরিবারের লোকজনই রয়েছে তার সমিতিতে।

সমিতির সদস্যরা তাদের ন্যায্য পাওয়া চাইতে গেলে নানা ধরনের হুমকি দেন। অথচ উল্টো আমাদের (আরিফ মাস্টারের) বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ছত্র ছায়ায় থেকে আরিফ মাস্টার ও তার লোকজন মাছ লুট করছে বলে যে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন লিপন জাকারিয়া, জমির মালিক কলিমদ্দীন, আয়ুব হোসেন ও মুস্তাকিম মল্লিক। তারা উলফাত শেখের মাছ লুটের মিথ্যা অভিযোগ এনে করা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ করেন ও উলফাত শেখের বিচার দাবি করেন।