চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্সের খসড়া ভোটার তালিকার আপত্তি শুনানি ও নিষ্পত্তি
বাদ পড়লেন ১০৫ জন সাধারণ ও ১৫ জন সহযোগী সদস্য
- আপলোড টাইম : ০৮:২৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪
- / ৬৬ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আসন্ন দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি শুনানি এবং নিষ্পত্তি হয়েছে। ৯৪৯ জন ভোটারের মধ্যে ১২০ জন ভোটারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে আপিল বোর্ড। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় চুয়াডাঙ্গা চেম্বার ভবন মিলনায়তনে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে অভিযোগকারী এবং অভিযোগকারীদের পক্ষে প্যানেল আইনজীবীরা অংশ নেন। এর আগে কয়েকজন সাধারণ সদস্য খসড়া ভোটার তালিকার ৪১৪ জন ভোটারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। তবে শেষ পর্যন্ত আপিল বোর্ড ১০৫ জন সাধারণ সদস্য ও ১৫ জন সহযোগী সদস্যকে বাতিল ঘোষণা করেন।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আসন্ন দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী বৃহস্পতিবার আপত্তি শুনানি ও নিষ্পত্তি করার নির্ধারিত দিন ছিল। এদিন বিকেল পাঁচটায় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আপিল বোর্ড বসে চেম্বার ভবন মিলনায়তনে। নির্ধারিত সময়ে অভিযোগকারী ও সম্ভাব্য প্রার্থীরা আপিল বোর্ডের শুনানিতে অংশ নেন। শুনানি করেন তিন সদস্যের আপিল বোর্ডের চেয়্যারম্যান অ্যাড. মো. শাহজাহান মুকুল, সদস্য অ্যাড. আকসিজুল ইসলাম রতন ও সদস্য তসলিম উদ্দীন ফিরোজ।
অভিযোগকারীদের মধ্যে সাইফুল হাসান জোয়ার্দ্দার (ভোটার নম্বর ৭২), মো. আলাউদ্দীন হেলা (ভোটার নম্বর ৭৬), সালমান হাসান জোয়ার্দ্দার (ভোটার নম্বর ১১) এবং রোকনুল হাসান (ভোটার নম্বর ৩৭) উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের পক্ষে প্যানেল আইনজীবী অ্যাড. সেলিম উদ্দীন খান, অ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাস, অ্যাড. শামসুজ্জোহা, অ্যাড. তালিম হোসেন প্রমুখ শুনানিতে অংশ নেন।
এসময় চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক, সহসভাপতি মঞ্জুরুল আলম মালিক লার্জসহ বেশ কয়েকজন পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে অংশ নিয়ে আইনজীবীরা বিভিন্ন প্রশ্ন করলে আপিল বোর্ড স্পষ্ট করে জানায় দায়িত্বের বাইরে কিছু করার এখতিয়ার তাদের নেই। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে আপিল বোর্ড অভিযোগকারীদের মধ্যে একজন প্রতিনিধি আলাউদ্দীন হেলা (ভোটার নম্বর ৭৬), প্যানেল আইনজীবী ও জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকউিটর (পিপি) অ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাস ও চেম্বারের সচিব খায়রুল ইসলামকে নিয়ে আলাদাভাবে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম করেন। খসড়া ভোটার তালিকার ৬৯৯ জন সাধারণ ভোটারের মধ্যে আপত্তি থাকা ২৬৭ জন ও ২৫০ জন সহযোগী ভোটারের মধ্যে আপত্তি থাকা ১৪৭ জনসহ মোট ৪১৪ জন ভোটারের প্রত্যেকের কাগজপত্র নিয়ে পুনরায় যাচাই-বাছাই করা হয়। প্রায় চার ঘণ্টার কাছাকাছি সময় যাচাই-বাছাই শেষে রাত ১০টার দিকে আপিল বোর্ড আপত্তি শুনানি ও নিষ্পত্তির ঘোষণা দেন।
আপিল বোর্ডের চেয়্যারম্যান অ্যাড. মো. শাহজাহান মুকুল বলেন, ‘বাদ যাওয়া সদস্যরা আবারও আপিল করতে পারবে কি না, সেটা আমরা বলতে পারব না। আপিল বোর্ডের দায়িত্ব আগামীকাল শুক্রবার (আজ) শেষ হবে। তবে নতুন করে কোনো অভিযোগ বা কোনো কার্যক্রম নেয়া বা দেয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। নির্বাচন কমিশন যে কাজগুলো করবে, সেই কাজের পছন্দ-অপছন্দ বিষয়গুলো আপিল বোর্ডের কাছে আপত্তি আকারে উস্থাপন করবে, সেটির সমাধান করাই আপিল বোর্ডের কাজ। বাতিল হওয়াদের বেশির ভাগের কারো কারো ট্রেড লাইসেন্স, কারো কারো টিন সার্টিফিকেট যথাযথ না থাকায় তাদেরকে বাতিল করা হয়েছে। আমাদের কাছে আর কোনো সুযোগ নেই। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে কি নেই, এটা আপিল বোর্ডের কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের কাছে দেখার বিষয় যথাযথভাবে টিন সার্টিফিকেট ও ট্রেড লাইসেন্স আছে কি না। প্রতিষ্ঠান আছে কি নেই, সেটা ট্রেড লাইসেন্স প্রদানকারীর দেখার বিষয়।’