ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরিণাকুণ্ডুতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ১০:৫১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪
  • / ৫৭ বার পড়া হয়েছে

কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলামিনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হরিণাকুণ্ডু থানাকে মামলা রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে হরিণাকুণ্ডু থানা গত ২৪ মে মামলা রেকর্ড করে আদালতে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।

আলামিন উপজেলার সোনারদাইড় গ্রামের মো. হান্নান মোল্লার ছেলে। ইউপি সদস্যের পাশাপাশি তিনি ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজে মাস্টাররুলে চাকরিও করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর আলামিন সোনারদাইড় গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এছাড়া তিনি নানা স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইলে আলামিন অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, বিয়ে যা হয়েছিল সেটা সম্পূর্ণ ভুয়া। সেদিন কাজী ডেকে মৌখিক বিয়ে হয়েছিল। ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী জানান, আলামিন ও তার বাড়ি একই ইউনিয়নে। তিনি ব্যক্তিগত কাজে চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদে গেলে আলামিন তার মোবাইল নম্বর রেখে দেন এবং নানা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে কথা বলতো। এক সময় তিনি নিজের হাত কেটে আমার নাম লেখে। তার আবেগি কথায় আমি প্রেমের সম্পর্ক করি। এক দিন তিনি আমাকে যশোরে আলামিনের এক ভাবির বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সেখানে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। সেখানে আমি অনেক কান্নাকাটি করলে তার ভাবী ও আলামিন আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়।

তিনি আরও বলনে, এরপর একদিন কাজী ডেকে আমাকে বিয়ে করেছে বলে জানান। বিয়ের কথা জানালে আমি তার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতো মেলামেশা করতে থাকি। একপর্যায়ে আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে বললে তিনি অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, আমি তো বিয়ে করিনি। সবই নাটক ছিল। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ধর্ষক আলামিনকে শেল্টার দিচ্ছে। যে কারণে তিনি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। সঠিক বিচার না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন তিনি।

চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে আলামিনকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু আলামিন প্রথমে ওই মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হলেও পরে অস্বীকার করেছে। যার কারণে আমি এ ঘটনা থেকে বের হয়ে গেছি। আলামিন এখণ পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাকে খুঁজছে। তার সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। সে ইউনিয়ন পরিষদেও আসে না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

হরিণাকুণ্ডুতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

আপলোড টাইম : ১০:৫১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলামিনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হরিণাকুণ্ডু থানাকে মামলা রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে হরিণাকুণ্ডু থানা গত ২৪ মে মামলা রেকর্ড করে আদালতে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।

আলামিন উপজেলার সোনারদাইড় গ্রামের মো. হান্নান মোল্লার ছেলে। ইউপি সদস্যের পাশাপাশি তিনি ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজে মাস্টাররুলে চাকরিও করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর আলামিন সোনারদাইড় গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এছাড়া তিনি নানা স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইলে আলামিন অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, বিয়ে যা হয়েছিল সেটা সম্পূর্ণ ভুয়া। সেদিন কাজী ডেকে মৌখিক বিয়ে হয়েছিল। ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী জানান, আলামিন ও তার বাড়ি একই ইউনিয়নে। তিনি ব্যক্তিগত কাজে চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদে গেলে আলামিন তার মোবাইল নম্বর রেখে দেন এবং নানা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে কথা বলতো। এক সময় তিনি নিজের হাত কেটে আমার নাম লেখে। তার আবেগি কথায় আমি প্রেমের সম্পর্ক করি। এক দিন তিনি আমাকে যশোরে আলামিনের এক ভাবির বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সেখানে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। সেখানে আমি অনেক কান্নাকাটি করলে তার ভাবী ও আলামিন আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়।

তিনি আরও বলনে, এরপর একদিন কাজী ডেকে আমাকে বিয়ে করেছে বলে জানান। বিয়ের কথা জানালে আমি তার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতো মেলামেশা করতে থাকি। একপর্যায়ে আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে বললে তিনি অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, আমি তো বিয়ে করিনি। সবই নাটক ছিল। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ধর্ষক আলামিনকে শেল্টার দিচ্ছে। যে কারণে তিনি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। সঠিক বিচার না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন তিনি।

চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে আলামিনকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু আলামিন প্রথমে ওই মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হলেও পরে অস্বীকার করেছে। যার কারণে আমি এ ঘটনা থেকে বের হয়ে গেছি। আলামিন এখণ পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাকে খুঁজছে। তার সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। সে ইউনিয়ন পরিষদেও আসে না।