ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খালকুলা গ্রামে ফাতেমা খাতুন (৪২) নামে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শ^াসনালী কেটে গুরুতর জখম করা হয়েছে নিহত ফাতেমা খাতুনের পুত্রবধূ বিথি খাতুনকে। গতকাল শুক্রবার ভোর রাতে সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের খালকুলা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়। এদিকে, পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই বাড়ির দুই নির্মাণ শ্রমিককে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন- দুর্গাপুর গ্রামের সাবেক চরমপন্থি নেতা বাদল মন্ডলের ছেলে সাগর হোসেন ও পশ্চিম ঝিনাইদহ গ্রামের ফেলু সরকারের ছেলে সুশান্ত সরকার ওরফে কুটি। আটককৃতরা নিহতদের বাড়িতে বিভিন্ন সময় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন বলে জানা গেছে।

গান্না ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার খালকুলা গ্রামের ছাবদার হোসেন জানান, খালকুলা গ্রামের অবেদ আলী সৌদি আরব ও তার ছেলে মেহেদী মালয়েশিয়া থাকেন। ওই বাড়িতে বসবাস করতেন আবেদ আলীর স্ত্রী ও পুত্রবধূ। রাজমিস্ত্রী সাগর ও সুশান্ত বিভিন্ন সময় তাদের বাড়িতে পারিশ্রমিকে কাজ করতেন। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর খবর শুনে রাতে দুজন ডাকাতি করতে বাড়ির ওয়াল ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় আবেদ আলীর স্ত্রী ফাতেমা তাদের চিনে ফেলায় প্রথমে তাকে গলাকেটে হত্যা করে। এসময় পাশের ঘরে শুয়ে থাকা পুত্রবধূ বিথি খাতুন ছুটে এলে তার শ^াসনালী কেটে দেয়। মৃত্যু হয়েছে ভেবে সাগর হোসেন ও সুশান্ত সরকার নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্গার লুট করে পালিয়ে যায়।

এদিকে, বিথী খাতুন রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতিবেশী ওবাইদুল ও ইসরাইলের বাড়িতে ছুটে যায় এবং কাগজ-কলম চাই। কাগজ কলম নিয়ে বিথি দুই হত্যাকারীর নাম লিখে দেয়। গ্রামবাসী বিষয়টি স্থানীয় বেতাই পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা আমির হোসনকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার ও হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করে। প্রতিবেশী ওহিদুল ইসলাম জানান, বিথীকে শ^াসনালীর কেটে দেয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে।

হত্যার বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন উদ্দিন জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা তাদের বাড়িতেই বিভিন্ন সময় রাজমিস্ত্রির কাজ করতে বলে গ্রামবাসীর কাছ থেকে শুনেছি। তাদেরকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পুরো ঘটনা জানা যাবে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।